সমালোচনার মুখে ইরানের মন্ত্রী সভায় তিন নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট অন্তর্ভুক্ত - Women Words

সমালোচনার মুখে ইরানের মন্ত্রী সভায় তিন নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট অন্তর্ভুক্ত

মন্ত্রী সভায় কোন নারী সদস্যকে না রাখায় সমালোচিত হওয়ার পর ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানি তিন নারীকে ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং একজনকে নাগরিক অধিকার বিষয়ক সহকারী নিয়োগ করেছেন।

নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে পরিবার ও নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে মাসুমে এবতেকার, আইন বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে লেইয়া জোনেদি, আইন বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে লেইয়া জোনেদি এবং নাগরিক অধিকার বিষয়ে প্রেসিডেন্টের সহকারীর দায়িত্বে শাহীনদক্ত মোলাভার্দি।

ইরানে ১৯৭৯ সালে ইসলামী বিপ্লবের পর দেশটির মন্ত্রিসভায় নিয়োগ পান মাত্র একজন নারী সদস্য ।

নাগরিক অধিকার বিষয়ে প্রেসিডেন্টের সহকারীর দায়িত্ব পাওয়া শাহীনদক্ত মোলাভার্দি বলেছেন পুরো পুরুষ সদস্যের এই মন্ত্রিসভা এটাই বুঝিয়ে দেয় যে ”আসলেই কোন অগ্রগতি নেই।”

সংস্কারবাদীরা বলছিলেন, নতুন মন্ত্রিসভায় নারীদের অনুপস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে হাসান রোহানি ইরানের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কাছে নতি স্বীকার করেছেন।

ইরানে গঠিত মন্ত্রিসভাকে এমপিরা চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন না, কারণ গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোয় কারা বসবেন তা নির্ধারণ করা হয় সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেইনির অনুমোদনসাপেক্ষে।

হাসান রোহানি তার প্রতিদ্বন্দ্বী কট্টরপন্থী এব্রাহিম রাইসিকে পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মে মাসে। তিনি ইরানে নাগরিক স্বাধীনতা উন্নত করার এবং পশ্চিমের সাথে সম্পর্ক আবার নতুন করে গড়ে তোলার অঙ্গীকার দিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে ‘নারী, মধ্যপন্থা ও উন্নয়ন’ এই শীর্ষক এক সম্মেলনে হাসান রৌহানি দেশটির রাজনীতি এবং সংস্কৃতিতে নারীদের আরও বেশি উপস্থিতির আহ্বান জানান।

ইরানে ১৯৭৯র ইসলামী বিপ্লবের পর একমাত্র যে নারী মন্ত্রিসভার সদস্য পদ পেয়েছিলেন তিনি হলেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মার্জিয়ে দাস্তজারদি। তিনি রোহানির পূর্বসূরী মাহমুদ আহমেদিনিজাদের সরকারে স্বাস্থ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন ২২০৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত।

সূত্র : বিবিসি