স্বপ্নপূরণে মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন - Women Words

স্বপ্নপূরণে মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

স্বপ্ন বাস্তবায়নের আশা জাগিয়ে রোববার সকালে মেট্রোরেল প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি তিনি বাস র‍্যাপিড ট্রানজিটের (বিআরটি) বাস ডিপো নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুটি কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের একটি স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে।’ মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ শেষ হলে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার পথ ৩৮ মিনিটে পাড়ি দিতে পারবেন যাত্রীরা।

মূলত ঢাকার যানজট দূরীকরণ ও নগর যোগাযোগব্যবস্থাকে আধুনিক করে গড়ে তোলাই এই দুটি প্রকল্পের উদ্দেশ্য। শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকায় যে পরিমান মানুষের বাস, সেই তুলনায় তুলনায় সড়কের অভাব আছে। তাই আধুনিক যোগাযোগব্যবস্থার মাধ্যমে অনেক মানুষের যাতায়াত সহজ করার জন্য কাজ করতে হবে। নগরবাসীর যাতায়াত সহজ করতে বিভিন্ন প্রকল্প নিয়েছে এবং নিচ্ছে তাঁর সরকার । ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন প্রকল্পের উদ্বোধন বিষয়ে তিনি বলেন ‘ঈদের আগেই সুখবর পাওয়া যাবে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কও চার লেন করা হবে।’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ ভৌগোলিক অবস্থানের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সেতুবন্ধ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। সড়ক, নৌ ও আকাশপথের যোগাযোগব্যবস্থাকে উন্নত করতে সরকার কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, মেট্রোরেলের মোট রুট থাকবে ছয়টি । এর মধ্যে রুট-৬ অর্থাৎ উত্তরা থেকে শাপলা চত্বরের কাজ আগে শেষ হবে। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে। ২০১৯ সালের মধ্যে রুট-৬-এর উত্তরা থেকে আগারগাঁও এবং ২০২০ সালে শাপলা চত্বর পর্যন্ত মেট্রোরেল নির্মাণকাজ শেষ হবে। প্রতি ঘণ্টায় মেট্রোরেল দুপাশে ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করবে। ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘের এই মেট্রোরেলের নির্মাণকাজে ব্যয় হবে ২২ হাজার কোটি টাকা। বিআরটি প্রকল্পের আওতায় রয়েছে গাজীপুর থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। গাজীপুর থেকে ঢাকার যোগাযোগব্যবস্থা দ্রুত ও সহজ করতে এই কাজে ব্যয় হবে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা। এই প্রকল্পের অধীনে কয়েকটি উড়ালসড়ক এবং বাসের জন্য আলাদা রুট করা হবে।

সূত্রঃ প্রথম আলো