সে দিনের আতঙ্ক তাড়া করে আজও
দেশকল্যাণ চৌধুরী
কাবুলে চিকেন স্ট্রিটে সহকর্মী মারাইয়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যখন গাড়িতে উঠছি, সূর্য ডুবে অন্ধকার নেমে এসেছে। দু’পাশে দুই স্থানীয় দেহরক্ষী, হাতে তাদের স্বয়ংক্রিয় রাইফেল। আফগান রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে আমার তখনকার কর্মস্থল সামান্যই দূরে। কিন্তু গাড়িতে সকলেরই মুখ গম্ভীর। দেহরক্ষীরা আগেই ঠারেঠোরে জানিয়ে দিয়েছে— আমরা রয়েছি বটে, কিন্তু তেনারা হামলা চালালে এই দু’জনের ফৌজ কিছুতেই রুখতে পারবে না।
সে দিন কিছু হয়নি বটে, কিন্তু আফগানিস্তানে যাঁরা যে কাজেই যান না কেন, দুরু দুরু বক্ষ তাঁদের নিত্যসঙ্গী। আমার ধারণা, আগা খান ফাউন্ডেশনের হয়ে মহিলা ও শিশুদের উন্নয়নে কাজ করতে যাওয়া জুডিথ ডিসুজাও এর বাইরে ছিলেন না।
চিকেন স্ট্রিটকে কাবুলের নিউ মার্কেট এলাকা বলা যায়। কিন্তু আফগান সহকর্মী শ মারাই তার বোনের বিয়ে উপলক্ষে তাঁর বাড়িতে যখন নিমন্ত্রণ করেন, শ্বেতাঙ্গ সহকর্মীদের যাওয়া হয়ে ওঠেনি। পরের দিন