জুন ১৭, ২০১৬ - Women Words

Day: জুন ১৭, ২০১৬

আতঙ্ক থাকলেও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান চলছে

আতঙ্ক থাকলেও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান চলছে

হিন্দু পুরোহিত এবং সেবক হত্যার পর এবার ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী ধ্রুভেশানন্দ মহারাজকে চিঠি দিয়ে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে৷ বলা বাহুল্য, এ সব হত্যা এবং হুমকির ঘটনায় আতঙ্কে আছেন বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা৷ বুধবার তথকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর নামে পাঠানো চিঠিতে রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষকে বলা হয়, ‘‘বাংলাদেশ একটি ইসলামি রাষ্ট্র৷ এখানে ধর্মপ্রচার করতে পারবি না৷ ধর্মপ্রচার করা হলে ২০ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যে তোকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হবে৷'' এ বিষয়ে স্বামী ধ্রুভেশানন্দ মহারাজ বলেন, ‘‘হুমকির পর আমাদের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে৷ যাঁরা মিশনে আসেন তাঁদের তল্লাশি করা হয়৷ আমরা আতঙ্কে থাকলেও আমাদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ঠিকমত করছি৷ তাতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না৷'' তিনি জানান, ‘‘এর আগেও বালিয়াটি রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছিল৷ সারাদেশে রামকৃষ্ণ মিশনের ১৪টি শাখা আছে৷ এছ
ব্রিটিশ এমপি হত্যা: সন্দেহভাজন ব্যক্তি কে?

ব্রিটিশ এমপি হত্যা: সন্দেহভাজন ব্যক্তি কে?

ব্রিটেনে বিরোধী লেবার পার্টির এমপি জো কক্সকে হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে টমি মেয়ার নামে স্থানীয় এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে। হামলাকারী সন্দেহে আটক ব্যক্তির সঙ্গে কট্টর ডানপন্থী মতাদর্শের দলের যোগাযোগ ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। টমি মেয়ার নামে স্থানীয়ভাবে পরিচিত ওই ব্যক্তির সঙ্গে উগ্র ডানপন্থী মতাদর্শের দল ও গোষ্ঠির যোগাযোগের খবর জানা যাচ্ছে। জানা গেছে ১৯৮০র দশকে আমেরিকার শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদী একটি দলের সঙ্গে এই সন্দেহভাজনের সম্ভবত যোগাযোগ ছিল। সার্দান পভার্টি ল' সেন্টার নামে আমেরিকার একটি নাগরিক আন্দোলন সংগঠন বলছে তাদের কাছে এমন রেকর্ড আছে যাতে দেখা যাচ্ছে টমাস মেয়ার নামে ৫২ বছরের এক ব্যক্তি ন্যাশানাল অ্যালায়েন্স দলের কাছ থেকে সতের বছর আগে একটি ম্যানুয়েল কিনেছিলেন যাতে পিস্তল তৈরির পদ্ধতি দেওয়া ছিল। যেখানে এমপি জো কক্সের ওপর বৃহস্পতিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে সেখানে কয়েকজন প্রত্যক্ষ
বউকে ‘হাল্কা’ প্রহার চলতে পারে : পাকিস্তানি ধর্মীয় নেতা

বউকে ‘হাল্কা’ প্রহার চলতে পারে : পাকিস্তানি ধর্মীয় নেতা

এমাসের গোড়ায় পাকিস্তানের ইসলামী আদর্শ বিষয়ক কাউন্সিলের প্রধান সুপারিশ করেছিলেন স্বামীরা বউদের ‘‘হাল্কা’’ প্রহার করতে পারে। আইনগত বাধ্যবাধ্যকতা না থাকলেও এই বক্তব্য পাকিস্তানে বিতর্কের ঝড় তুলেছে। দেশটির নারী অধিকার আন্দোলনকারীরা আশংকা করছেন পাকিস্তানের সমাজে যখন নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার হার খুবই বেশি, তখন এইধরনের আইনের সুপারিশ নারীর ওপর পুরুষদের সহিংসতা, নির্যাতন আরও বাড়বে। বিবিসি কথা বলেছে কাউন্সিলের প্রধান মুহাম্মদ খান শেরানির সঙ্গে। সেই কথা তুলে ধরা হলো- মুহাম্মদ খান শেরানি : কোন মহিলা যদি বৈবাহিক জীবনে তার দায়িত্ব পালন না করে, তাহলে প্রথমে তাকে পরামর্শ দিতে হবে। তাতে কাজ না হলে মহিলার আত্মীস্বজনের সঙ্গে বলতে হবে। সেটাও কাজ না করলে তার সঙ্গে এক বিছানায় শোয় বন্ধ করতে হবে। এসব কিছুই ব্যর্থ হলে, শেষ উপায় হিসেবে হাল্কা প্রহার চলতে পারে। বিবিসি : একজন পুরুষ যদি তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্
ক্যান্সারের সঙ্গে বসবাস

ক্যান্সারের সঙ্গে বসবাস

মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১) শহীদ জননী জাহানারা ইমাম এই নামে একটি বই লিখেছিলেন, আজকের লেখাটির জন্যে আমি তাঁর বইয়ের নামটি ব্যবহার করছি, আমার মনে হয় আমি যে কথাগুলো বলতে চাইছি তার জন্য এর থেকে বেশী উপযুক্ত আর কোনো নাম হতে পারে না। দেশের পাবলিক পরীক্ষার সময় আমি কিছু বাড়তি ই-মেইল পাই। ছেলেমেয়েরা তখন পরীক্ষায় ফাঁস হয়ে যাওয়া প্রশ্নগুলো আমার কাছে পাঠায়। আমি তখন তাদের লিখি পরীক্ষা হয়ার পরও যদি দেখা যায় আসলেই প্রশ্নগুলো মিলে গেছে তাহলে তারা যেন সত্যিকারের স্ক্যান করে আমাকে পাঠায়। আমি নিয়মিতভাবে তাদের উত্তর পাই- গত দুটো পরীক্ষায় ১০০ ভাগ মিল। পরীক্ষার ঘণ্টা খানেক আগে সব প্রশ্নই ফাঁস হয়ে যায় তখন ছেলেমেয়েরা উত্তর রেডি করে পরীক্ষা দিতে যায়। কোন কোন কলেজে ঘটনাগুলো ঘটে আমি সেটা জানি। চেষ্টা করলে সেই কলেজের কোন শিক্ষক এটা করেন মনে হয় সেটাও আমি বের কর ফেলতে পারব কিন্তু এখন পর্যন্ত এর জন্যে কোন শিক্ষক, ছাত্র বা
চিতায় বসবাস

চিতায় বসবাস

সুশান্ত পাল : কীরে পাগলী! বিয়ের ছবিতে তোকে দেখতে তো পুরো রাজকন্যার মতো লাগছে! : হয়তোবা! কিন্তু বাবার ঘরের রাজকন্যাটা অন্যঘরে বড় কষ্টে আছে, দাদা। : মানে? : কাউকে বলতে পারি না, তোমাকে বলি। : বল। : দাদা, তোমার মনে আছে, আমি প্রায়ই বলতাম, ও আমাকে কথায় কথায় শুধু মারে। : হুম। : দাদা, তুমি বলেছিলে, ওকে ছেড়ে দে। ওর মধ্যে এটা থাকলে বিয়ের পরেও যাবে না। আমি বিশ্বাস করিনি কখনও, উল্টো তোমার সাথে অভিমান করেছিলাম। : তুই তো বলতিস, ও তোকে আদর করে গায়ে হাত তোলে। : হ্যাঁ দাদা। খুব ইমোশনালি ব্ল্যাকমেইলও করতো। যখন যা ইচ্ছে, তখন তা-ই করতো। তোমাকে বলতাম, মনে আছে, দাদা? : হ্যাঁ। আমি তোকে বলতাম, সরে আয়। তুই এটা শুনে অনেকদিন কথাও বলিসনি আমার সাথে। : ঠিক। অন্ধ ছিলাম গো, দাদা। ভাবতাম, সব ঠিক হয়ে যাবে। ভালোবাসতাম যে! : তো, এখন কী হয়েছে? : কিছু না, দাদা। সবাইকে যে বলাও যায় না। বাবাকে বলিনি, মা গায়ের কালো কালো দাগ দেখে