আমার বাবা ও অবুঝ ‘আখদ আলী’
ফাহমিদা খান ঊর্মি
এক.
আমরা তিনবোন। আমাদের কোন ভাই নেই। কিন্তু তা নিয়ে কোনদিন আক্ষেপ করতে দেখিনি বাবাকে। বরং তিনি সবসময় গর্ব করে বলেন, ‘আমার মেয়েরাই আমার ছেলে।’
আমাকে তিনি তাঁর বড় ছেলে ভাবতে পছন্দ করেন। সেই ছোটবেলা থেকে আমাদেরকে তিনি ‘স্বনির্ভর’ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। উদাহরণ দিয়েই বলি, চার বছর আগের ঘটনা। স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে আমার কলেজ আঙ্গিনায় পা রাখার দিন, তারিখটাও বেশ মনে আছে ২০১২ সালের ২ জুলাই। নিজের জেলা শহরের কলেজে আমি রওয়ানা হলাম বাবার হাত ধরে। কিন্তু বাবা আমাকে নিয়ে কলেজ পর্যন্ত গেলেন না। দূর থেকে হাতের আঙুলে দেখিয়ে দিয়ে বললেন, ‘এই যে তোমার কলেজ। যাও।’ এভাবে মাঝ রাস্তায় আমাকে ছেড়ে দিয়ে তিনি যে চলে আসবেন তা আমার ভাবনায় ছিলো না। তিনি আমাকে একা রেখে চলে গেলেন। আমি অবাক হয়ে চেয়ে দেখলাম তাঁর চলে যাওয়া। নতুন এলাকা, নতুন কলেজ। আশেপাশের মুখগুলোও অচেনা। আমার ভীষণ কান্না পেল। ইচ্ছে হ