জুন ১৯, ২০১৬ - Women Words

Day: জুন ১৯, ২০১৬

আমার বাবা ও অবুঝ ‘আখদ আলী’

আমার বাবা ও অবুঝ ‘আখদ আলী’

ফাহমিদা খান ঊর্মি এক. আমরা তিনবোন। আমাদের কোন ভাই নেই। কিন্তু তা নিয়ে কোনদিন আক্ষেপ করতে দেখিনি বাবাকে। বরং তিনি সবসময় গর্ব করে বলেন, ‘আমার মেয়েরাই আমার ছেলে।’ আমাকে তিনি তাঁর বড় ছেলে ভাবতে পছন্দ করেন। সেই ছোটবেলা থেকে আমাদেরকে তিনি ‘স্বনির্ভর’ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। উদাহরণ দিয়েই বলি, চার বছর আগের ঘটনা। স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে আমার কলেজ আঙ্গিনায় পা রাখার দিন, তারিখটাও বেশ মনে আছে ২০১২ সালের ২ জুলাই। নিজের জেলা শহরের কলেজে আমি রওয়ানা হলাম বাবার হাত ধরে। কিন্তু বাবা আমাকে নিয়ে কলেজ পর্যন্ত গেলেন না। দূর থেকে হাতের আঙুলে দেখিয়ে দিয়ে বললেন, ‘এই যে তোমার কলেজ। যাও।’ এভাবে মাঝ রাস্তায় আমাকে ছেড়ে দিয়ে তিনি যে চলে আসবেন তা আমার ভাবনায় ছিলো না। তিনি আমাকে একা রেখে চলে গেলেন। আমি অবাক হয়ে চেয়ে দেখলাম তাঁর চলে যাওয়া। নতুন এলাকা, নতুন কলেজ। আশেপাশের মুখগুলোও অচেনা। আমার ভীষণ কান্না পেল। ইচ্ছে হ
বাবাকে না বুঝে, ছেড়ে চলে গেলাম উদভ্রান্ত স্বেচ্ছাচারিতায়

বাবাকে না বুঝে, ছেড়ে চলে গেলাম উদভ্রান্ত স্বেচ্ছাচারিতায়

তিলোত্তমা মজুমদার বাবার জন্য এই বিশেষ দিন। আমার বাবা যদি আজ থাকতেন, আমি ওঁর জন্য কী করতাম? উত্তরবঙ্গের সবুজ প্রকৃতির মধ্যে তাঁর জীবনের প্রায় পুরোটাই কেটে গিয়েছিল। শেষ দুটি বছর কেবল তিনি কলকাতা শহরে বসবাস করেছিলেন। তিনি যদি জীবিত থাকতেন, আজ আমি কী করতাম? রঙিন কাগজে মোড়া উপহারের বাক্স নিয়ে তাঁর কাছে যেতাম কি? সে বাক্সে কী থাকত? কী পেলে তিনি খুশি হতেন? তাঁর যে কোনও বিলাসিতা ছিল না। সংসারে থেকেও তিনি ছিলেন সন্ন্যাসী এক জন। তাঁর সমস্ত আশা-আকাঙ্খা সুখের অভিলাষ ছিল আমাদেরই জন্য। আমরা তাঁর তিন সন্তান। আমাদের ভালবেসে বাবা নিঃশেষিত হয়েছিলেন। সেখানেই তাঁর তৃপ্তি ছিল। আজ যদি তিনি থাকতেন, আমি হয়তো তাঁর জন্য হলুদবরণ আম নিয়ে যেতাম। কিংবা ইলিশ। তিনি স্মিত মুখে বলতেন, এত খরচা করতে গেলি কেন? তোর কষ্টের রোজগার! তাঁর কষ্টার্জিত রোজগারের পাই-পয়সাটুকুও তিনি আমাদের জন্য ব্যয় করেছিলেন। কিছুই রাখেননি নিজের জ
‘বন্দুকযুদ্ধে’ এবার অভিজিৎ হত্যা মামলার আসামী নিহত

‘বন্দুকযুদ্ধে’ এবার অভিজিৎ হত্যা মামলার আসামী নিহত

ঢাকার খিলগাঁও এলাকায় শনিবার দিবাগত রাতে গোয়েন্দা পুলিশের সাথে 'বন্দুকযুদ্ধে' লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার একজন আসামী নিহত হয়েছে বলে জানাচ্ছে পুলিশ। নিহত যুবকের নাম শরিফ ওরফে হাদি বলে জানিয়েছেন ঢাকায় গোয়েন্দা পুলিশের মুখপাত্র মাসুদুর রহমান। লেখক-ব্লগার হত্যাকাণ্ডে পুলিশ যে ছয়জন সন্দেহভাজন জঙ্গির ছবি প্রকাশ এবং পুরস্কার ঘোষণা করেছিল তার মধ্যে শরিফও ছিল। তাকে সেখানে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তবে ঠিক কি পরিস্থিতিতে কথিত বন্দুকযুদ্ধটি সংগঠিত হয় এবিষয়ে বিস্তারিত কিছু এখনো জানানো হয়নি। এর আগে খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মাঈনুল ইসলাম জানান, রাত আনুমানিক তিনটার দিকে এই 'বন্দুকযুদ্ধের' ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তির মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। সূত্র : বিবিসি