মৌলভীবাজারে দুই বান্ধবীকে গণধর্ষণ, তিন আসামি গ্রেপ্তার, স্বীকারোক্তি - Women Words

মৌলভীবাজারে দুই বান্ধবীকে গণধর্ষণ, তিন আসামি গ্রেপ্তার, স্বীকারোক্তি

উইমেন্স ওয়ার্ডস ডেস্ক :: কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় এক কলেজছাত্রী ও তার বান্ধবীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আজ ১৫ জানুয়ারি বুধবার বিকেলে গ্রেপ্তার ৩ আসামিকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে আসামিরা আদালতে ১৬৪ ধারায় ধর্ষণের বিষয়টি শিকার করে নিজেদের জবানবন্দি দেয়।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে শহরের ওয়াপদা (স্টেডিয়াম) এলাকায় গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেণ দুই ধর্ষিতার একজন । ঘটনার পর থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত তিন অভিযুক্তকে আটক করে মৌলভীবাজার মডেল থানার পুলিশ।

তারা হলেন, মোস্তফাপুর ইউনিয়নের উত্তর জগন্নাথপুর এলাকার ইসমাইল মিয়ার ছেলে মুন্না মিয়া (২৬), হাসিব উদ্দিনের ছেলে আকাশ (২২) ও ছুরফ মিয়ার ছেলে হুমায়ুন (২০)।

মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে ধর্ষিতা কলেজ ছাত্রী বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেছেন। ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আসামিরা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে মৌলভীবাজার সদর উপজেলা এক কলেজছাত্রী ও তার বান্ধবীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার বিকেলের দিকে কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সামনে এসে একটি সিএনজি চালিত অটো রিকশায় কলেজ ছাত্রী (১৮) ও তার বান্ধবী (২০) উঠেন। কিছুক্ষণ পর যাত্রী বেশে চারজন ছেলে সিএনজি অটোরিকশাতে ওঠে। এরপর তারা চালককে সিএনজি ঘুরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয়। চালক তাদের কথামত গাড়ি নিয়ে চলে। ওই চারজন গাড়ির পর্দা টেনে দুই বান্ধবীর হাত ও মুখ বেঁধে ফেলে স্টেডিয়াম এলাকার পেছনে একটি ঝোঁপে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের মারধর করে মোবাইল, বই ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে তারা কৌশলে সেখান থেকে বেরিয়ে এসে পুলিশকে জানালে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ ধর্ষিতাদের আত্মীয় স্বজনকে খবর দিয়ে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে তাদের ভর্তি করেন। এ বিষয়ে ধর্ষিত কলেজ ছাত্রী বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতেই ৫ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেন। অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।