সে চলে গেল, বলে গেল না
ফজিলাতুন নেছা শাপলা
সে ঢেউয়ের মত ভেসে গেছে, চাঁদের আলোর দেশে গেছে। যেখান দিয়ে হেসে গেছে, হাসি তার রেখে গেছে রে।
খুব দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আজ লিখতে বসেছি। একটুও লেখার মত অবস্থায় নেই আমি। তবুও লিখছি, লেখাটা যদি কারো কাজে লাগে।
মেয়েটাকে একটু একটু চিনতাম। প্রজাপতির মত ছিল।খুব আদুরে।চঞ্চল। চোখ-মুখ আলোকিত। কী মায়াময় চেহারা! হঠাৎই মেয়েটা চলে গেল নাফেরার দেশে।কি তার সুখ, কী তার দুঃখ কিছুইজানা গেলনা। অভাগী জানলনা, একদিন সে আগুন হতে পারত। জ্বলে ওঠার আগেই দপ করে নিভে গেল। কতটুকু জেনেছিল সে জীবনের?
১৮ বছর বয়স মানেই মানেনা কোনো বাধা।এই বয়সে যা খুশি তাই করে ফেলা যায়, অতকিছু ভাবা্ভাবির সময় ওদের নেই।যদিও মেয়েটার ১৮ হয়নি তার বয়স ছিল মাত্র ১৫। মেয়েটা এক গভীর বেদনা নিয়ে, সবকিছু অমীমাংসিত রেখে, ‘বসন্তের বাতাসটুকুর মত প্রাণের পরে পরশ রেখে চলে গেল, কিছু বলে গেলনা’।যে চলে গেছে, তাকে নিয়ে আর লিখতে চাইনা।