জুন ১৮, ২০১৭ - Women Words

Day: জুন ১৮, ২০১৭

বাপ্পি-ই আমার জীবনের সব

বাপ্পি-ই আমার জীবনের সব

শাওলী দেব অন্তি কখনো বাবা দিবস বা মা দিবসে স্পেশাল কিচ্ছু করা হয়নি আমার। মা চলে যাওয়ার পরে এই দিবস গুলোই আমার কাছে এখন অনেক কিছু। বাপ্পি (বাবা) আর মা আমার পৃথিবী ছিলো, আছে আর থাকবেও। আমি ছিলাম মা অন্তপ্রাণ। মা ছাড়া আমার চলতই না। অবাক লাগে যখন ভাবি যে এখন থেকে সবসময় একাই তো থাকা লাগবে। মা দিবসে মা কে কোনো একবার একটা কলম gift করলেও বাপ্পি কে কখনোই কিচ্ছু দেওয়া হয় নি বা wish ও করিনি। এখন বাপ্পি-ই আমার জীবনের সব। ছোটবেলায় যখন বই প্রথম হাতে পেয়েছিলাম তখন বই হাতে নিয়ে ঘুরতাম এই আশায় যে কেউ একজন আমাকে পড়িয়ে দিবে। বাপ্পির কাছে গেলে বাপ্পি বলতেন, "মা’র কাছে ফর গিয়া" (মা’র কাছে গিয়ে পড়)।আর মা বলতেন "আমি সবজি কাটরাম দেখরায় না? ফুরিরে থুরা ফড়াইলেই ত পার। ফরে দেখবায় নে আর পড়তে চাইতো নায়" (আমি সবজি কাটছি দেখছ না? মেয়েকে একটু পড়ালেই তো পার।পরে দেখবে আর পড়তে চাইবে না)। সত্যিই এখন আর পড়তে চাই না। বড় হওয়
আমার কমরেড বাবা

আমার কমরেড বাবা

শান্তা মারিয়া আমার বাবা শুধু আমার জনক নন। তিনি আমার আদর্শ। তার কাছেই শিখেছি মানুষকে শুধুমাত্র মানুষ হিসেবে শ্রদ্ধা করতে। তিনি আমাকে গীতা, ত্রিপিটক, বাইবেল, কোরান এবং মার্ক্সবাদ পড়িয়েছেন। নারী-পুরুষ তো বটেই সকল মানুষের সাম্যতে বিশ্বাস রাখতে বলেছেন। তিনি বলতেন প্রতিটি মানুষের নিজের প্রতি, পরিবারের প্রতি এবং সমাজ ও বিশ্বপ্রকৃতির প্রতি কর্তব্য রয়েছে। নারী বা পুরুষ যাই হোক তাকে শুধু নিজের পরিবার, টাকা উপার্জন বা নিজের নাম খ্যাতি নিয়ে থাকলে চলবে না। তাকে সমাজ ও প্রকৃতির প্রতিও দায়িত্ব পালন করতে হবে। এটাই মানবধর্ম। লেখার শুরুতেই কমরেড তকীয়ূল্লাহ সম্পর্কে কিছু কথা না বললেই নয়। জ্ঞানতাপস ড.মুহম্মদ শহীদুল্লাহর চতুর্থ পুত্র আবুল জামাল মুহম্মদ তকীয়ূল্লাহ। আমাদের সমাজে কোনো কোনো মানুষ আছেন যাঁরা তাঁদের সততা, নিষ্ঠা ও আদর্শের আলোয় চারপাশকে আলোকিত করেও রয়ে যান প্রচারের পাদপ্রদীপের আড়ালে। ফোকাসের বাইরে থা
আমার বাবা

আমার বাবা

ফাহমিদা ফাম্মী প্রচণ্ড রোদে যেমন একটা বড় ছায়ার প্রয়োজন হয়, জীবনেও তেমনি সব বিপদ আপদ থেকে উদ্ধার পেতে না হোক-অন্তত সান্ত্বনার জন্য বাবা কে প্রয়োজন হয়। আম্মুর মুখ থেকে শোনা, বয়স তখন আমার দেড় বছর... আম্মু সরকারি চাকরি করেন সেই সুবাদে প্রতিদিন ভোর বেলা ওঠে অফিসে চলে যেতে হত, আর আব্বুর তখনও চাকরি হয় নাই, বিভিন্ন অফিসে ইন্টারভিউ দিয়ে বেড়াচ্ছেন আর আমি ছিলাম নিশাচর... এখনো তাই আছি। সারারাত জেগে থাকতাম, আম্মু অনেক চেষ্টা করেও সময় মত ঘুম পাড়াতে পারতেন না। তখন না পেরে বাবার কাঁধে চাপিয়ে দিতেন আর আব্বু আমাকে কাঁধে চেপে আল্লাহ আল্লাহ যপতেন... সেই আল্লাহ আল্লাহ শব্দটা এখনো আমার কানে বাজে। প্রত্যেকবার জন্মদিনের বেশ দিন কয়েক আগে থেকেই ঘ্য্যনর ঘ্যানর করতে থাকতাম আম্মু কেক কাটবো, কেক কাটবো, আম্মু চোখ গরম করে বলতেন এত ধিঙি হয়েও কেক কাটতে হয় নাকি! আমরা ছোট বেলা জন্মদিন কবে তাই জানতাম না আর তুমি কেক কাঁটার