ডিসেম্বর ৩১, ২০১৬ - Women Words

Day: ডিসেম্বর ৩১, ২০১৬

২০১৬ সালে বেড়েছে নারী নির্যাতন

২০১৬ সালে বেড়েছে নারী নির্যাতন

এ বছর নারী নির্যাতনের সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনি এর মাত্রা ও ধরনে ছিল ভয়াবহতা। ২০১৬ সালে নারী উত্ত্যক্ত, যৌন হয়রানি, নির্যাতন, হত্যা ও সালিসের মাধ্যমে শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা আগের বছরের চেয়ে বেশি ছিল। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০১৬ ও আসকের পর্যালোচনামূলক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় শিশু নির্যাতনের মাত্রা ও ধরনে ভয়াবহতাও অব্যাহত ছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নারী নির্যাতন বা নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নানা উদ্যোগ থাকার পরও কমছে না নারী নির্যাতন। নির্যাতনের অনেক ঘটনায় মামলা হলেও বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতার কারণে অনেকে আপস-মীমাংসা করতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৬ সালে ধর্ষণের শিকার হয় ৭২৪ জন নারী । এর মধ্যে ধর্ষণের পরে ৩৭ জনকে হত্যা করা হয় ও ধর্ষণের কারণে আত
‘লিপ সেকেন্ড’: ২০১৭ সাল আসবে একটু দেরিতে

‘লিপ সেকেন্ড’: ২০১৭ সাল আসবে একটু দেরিতে

'লিপ ইয়ারে' যেমন একটি বাড়তি দিন যুক্ত হয়, তেমনি 'লিপ সেকেন্ডে' যুক্ত হয় একটি বাড়তি সেকেন্ড। এবছরে এরকম একটি সেকেন্ড যুক্ত হচ্ছে। ফলে নতুন বছর এবার আসবে এক সেকেন্ড বিলম্বে। পৃথিবীর ঘূর্ণনে শ্লথ গতির কারণে পিছিয়ে পড়া পুষিয়ে দিতেই এই সেকেন্ডটি যুক্ত হচ্ছে। অতিরিক্ত এই এক সেকেন্ড সময় যোগ করা হবে নতুন বছর শুরু হওয়ার আগে, মধ্যরাতে, ঘড়িতে যখন ঠিক ২৩:৫৯:৬০ বাজবে, সেই সময়ে। ফলে ২০১৭ সাল আসতে একটু দেরি হবে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবী যখন নিজে একবার ঘোরে তখন তার গতি কম বেশি হতে পারে। ফলে কোন একটি দিন অন্য একটির চাইতে বড় বা ছোট হতে পারে। আর সময়ের এই ব্যবধান যখন খুব বেশি বেড়ে যায়, তখনই যোগ করা হয় অতিরিক্ত এই একটি সেকেন্ড, যাতে সবকিছুর মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় থাকে। এই 'লিপ সেকেন্ড' শেষবারের মতো হয়েছিলো ২০১৫ সালের জুন মাসে। আর এনিয়ে মোট ২৭ বার এধরনের ঘটনা ঘটছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, স্ট্যা
একজন অনুপ্রেরণীয় ঊর্বশী যাদব

একজন অনুপ্রেরণীয় ঊর্বশী যাদব

প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টের একটি উক্তি হল, 'নারীরা অনেকটা টি-ব্যাগের মতো... আপনি জানতেও পারবেন তিনি কতটা শক্তিশালী যত ক্ষণ না তাঁকে গরম জলে ফেলা হচ্ছে।' কথাটি একদম সত্যি। তাঁর কথার প্রতি সুবিচার করছেন ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের গুরগাঁও শহরের বাসিন্দা ঊর্বশী যাদব। অসুস্থ স্বামী এবং দুই সন্তানকে একার হাতে সামলাচ্ছেন তিনি। গুরগাঁও-র সেক্টর ১৪-তে গুলাব রেস্তোরাঁ-র ঠিক বিপরীতে একটি ঠেলায় ছোলে-কুলচা বিক্রি করেন তিনি। প্রাক্তন সেনাকর্মীর পুত্রবধূ এবং একদা বড় চাকুরিজীবী অমিতের স্ত্রীর পরিচয় নিয়েই তিনি এই পেশা বেছে নিয়েছেন। এর জন্য তাঁকে বহুবার হেনস্থাও হতে হয়েছে। তবুও লেগে থেকেছেন। বিমুদ্রাকরণের মেয়াদ শেষ হয়েছে গতকাল। এর মাঝে বহু মানুষ সমস্যায় পড়েন। যেমনটা পড়েছেন ঊর্বশী-ও। ঊর্বশী এক সময় শিশুদের পড়াতেন। তাই তাঁর মধ্যে শিক্ষক সত্তা এখনও জাগ্রত। ডিজিটাল লেনদেন তাঁর পক্ষে করা বিশেষ কঠিন
পদত্যাগ করলেন ভারতের তৃতীয় লিঙ্গের অধ্যক্ষ

পদত্যাগ করলেন ভারতের তৃতীয় লিঙ্গের অধ্যক্ষ

পদত্যাগ করেছেন ভারতের তৃতীয় লিঙ্গের প্রথম এবং একমাত্র অধ্যক্ষ মানবী বন্দ্যোপাধ্যায়। পদত্যাগের সময় সহকর্মী-স্টাফ ও শিক্ষার্থীদের অসহযোগিতার কাছে ‘হেরে যাওয়া’র কথাই বলেছেন কৃষ্ণনগর উইমেন্স কলেজের শীর্ষ ব্যক্তি। যদিও রূঢ় আচরণ ও অসহযোগিতামূলক মনোভাবের অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থী-শিক্ষকরা মানবীর দিকেই অভিযোগের আঙ্গুল তাঁক করেছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়াব্লুমস এবং ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি মানবীর পদত্যাগের খবরটি নিশ্চিত করেছে। ৫১ বছর বয়সি মানবী ১৮ মাস আগে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োজিত হয়েছিলেন কৃষ্ণনগর উইমেন্স কলেজে। ভারতে সৃষ্টি হয়েছিল লিঙ্গ-বৈষম্যবিরোধিতার অনন্য এক ইতিহাস। ইন্ডিয়া ব্লুমসের খবরে বলা হয়েছে, গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগর উইমেন্স কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকা মানবী সহকর্মী-স্টাফ ও শিক্ষার্থীদের অসহযোগিতাকে কারণ দেখিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। বিবিসি জানি
নতুন দিনে, নতুন করে ভাবতে হবে…

নতুন দিনে, নতুন করে ভাবতে হবে…

ফজিলাতুন নেছা শাপলা কথায় আছে, কুসন্তান যদিও হয়-কুমাতা কখনও নয়। মা সন্তানের খারাপ চেয়েছেন, এরকম মা জগত সংসারে খুব কমই আছেন। কিন্তু মায়েরা সন্তানদের নিয়ে নানা বিড়ম্বনায় পড়েন, এরকম উদাহরণ আছে ভুড়ি ভুড়ি। দশ মাস দশ দিন সন্তান পেটে ধরে, পৃথিবীর আলো দেখানোর পর থেকে পুরো শৈশব জুড়ে মায়েদের নাওয়া-খাওয়া হারাম হয়, তার শিশুটিকে যত্ন-আত্তি করে বড় করে তুলতে। কারণ তখন শিশু থাকে সম্পূর্ণ পরনির্ভর। মা’র তাকে খাইয়ে দিতে হয়, ঘুম পাড়াতে হয়। গোসল করিয়ে দিতে হয় এরকম আরো কত কি! সেটা লিখে শেষ করা যাবেনা। শিশু যেই না দশ, এগারোতে পড়ে-মা তখন কেবলই ভাবতে শুরু করেন, যাক বাবা; শিশুটি এতদিনে একটু ঝরঝরে হতে শিখেছে, এখন নিশ্চই তার কষ্টটা একটু কমবে। তার শিশুটি ধীরে ধীরে বড় হয়ে উঠছে। ব্যাস! তখনই শুরু হয়ে যায় নতুন খেলা। একটু কান পাতলেই চারিদিকে শোনা যায়, গুঞ্জন। এই মা বলেন, গত বছরও ছেলে আমার কথা শুনত, এবছর আর শুনছে না। ওই