বুশরা হত্যা মামলায় ৪ আসামীর সবাই খালাস - Women Words

বুশরা হত্যা মামলায় ৪ আসামীর সবাই খালাস

কলেজছাত্রী রুশদানিয়া বুশরা ইসলামকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এম এ কাদের ও তাঁর স্ত্রী যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রুনা আক্তার খালাস পেয়েছেন। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আসামিদের আপিল মঞ্জুর করে এই রায় দেয়া হয়। একই সঙ্গে নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ও পরে হাইকোর্টে খালাস পাওয়া আরও দুজনের খালাস আদেশ বহাল রাখা হয়েছে।

তাঁরা হলেন শেখ শওকত আহমেদ ও শেখ কবির আহমেদ। তাঁরা দুজনেই এম এ কাদেরের শ্যালক।

ঢাকার পশ্চিম হাজীপাড়ার ৩ নম্বর ডিআইটি রোডের বাড়িতে নিজের শোয়ার ঘরে ২০০০ সালের ১ জুলাই দিবাগত রাতে বুশরাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।

পুলিশ এবং বুশরার পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছিল, বাড়ির মালিকানা নিয়ে আত্মীয়স্বজনের মধ্যে বিরোধের জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। এম এ কাদের নিহত বুশরার দূর সম্পর্কের খালু। তিনি সে সময় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ছিলেন। বুশরার বাবা সিরাজুল ইসলাম অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা।

আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খোন্দকার দিলীরুজ্জামান। আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।

খোন্দকার দিলীরুজ্জামান জানান, রায়ের কপি পাওয়ার পর পর্যালোচনা করে রিভিউয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

শেখ শওকত আহমেদ ও শেখ কবির আহমেদকে খালাস দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এই খালাস আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেছিল। এই আপিল খারিজ করে দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খোন্দকার দিলীরুজ্জামান বলেন, হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুজনকে খালাস দিয়েছিলেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেছিল। তা খারিজ হয়েছে। ফলে দুজনের খালাস আদেশ বহাল রয়েছে। অন্যদিকে, হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা এম এ কাদের ও যাবজ্জীবন পাওয়া রুনা আক্তার আপিল করেছিলেন। তাঁদের আপিল মঞ্জুর করেছেন আদালত। ফলে তাঁরাও খালাস পেলেন।

বুশরা হত্যা মামলায় ২০০৩ সালের ৩০ জুন  বিচারিক আদালত রায় দেন। রায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও রুনা আক্তারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করেন। ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য হাইকোর্টে আসে। ২০০৭ সালের ২৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে শওকত আহমেদ ও কবির আহমেদ খালাস পেলেও অপর দুজনের দণ্ড বহাল থাকে।

সূত্র: প্রথম আলো