ধামরাইয়ে স্টাফবাসে ধর্ষণের পর তরুণীকে হত্যা - Women Words

ধামরাইয়ে স্টাফবাসে ধর্ষণের পর তরুণীকে হত্যা

ঢাকার ধামরাইয়ে স্টাফবাসে এক তরুণীকে (১৯) ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারপর ওই শ্রমিকের লাশ জঙ্গলে গুম করে রাখা হয়।

এ ঘটনায় স্টাফবাস চালক ফিরোজ এলাহীজ সোহেলকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার ভোরে ওই শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

বাস চালক সোহেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যার এই অভিযোগ করেছেন তরুণীর পরিবার।

নিহত তরুণীর নাম মমতাজ আকতার। তিনি ধামরাইয়ের কুসুরা ইউনিয়নের কাঠালিয়া গ্রামের শাজাহান খানের মেয়ে। ধামরাইয়ের ডাউটিয়া প্রতীক সিরামিক কারখানার শ্রমিক ছিলেন মমতাজ।

সোহেল একই সিরামিক কারখানার স্টাফবাসচালক। সে আমতা বাজারের মদিনা সুপার মার্কেট এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে থাকে। বাড়ি ঝিনাইদহ জেলায়।

পুলিশ ও মমতাজের পারিবারিক সূত্র জানায়, মমতাজ কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে বাড়ি থেকে একা বের হন। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বালিয়া ইউনিয়নের হিজুলীখোলা বাসস্ট্যান্ডে প্রতীক সিরামিকের স্টাফবাসে ওঠেন। এসময় ওই বাসে আর কোনো শ্রমিক বা আরোহী না থাকার সুযোগে চালক সোহেল মিয়া তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ওই বাসের ভেতর ওড়না দিয়ে তার মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে।

বিষয়টি জানজানি হওয়ার আশংকায় সোহেল মিয়া মমতাজের গলায় উড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর হত্যার ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ওই সিরামিক শ্রমিকের লাশটি হিজুলীখোরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে একটি ঝোঁপের (জঙ্গলের) ভেতর গুম করে রাখে।

সন্ধ্যায় মমতাজ বাড়ি না ফিরলে তার বাড়ির লোকজন তাকে এগিয়ে নিতে ওই হিজুলীখোলা বাসস্ট্যান্ডে আসেন। সেখানে না পেয়ে মমতাজের পরিবার বিষয়টি বাওয়ালীপাড়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. রাসেল মোল্লাকে জানান।

এরপর রাত ১২টার দিকে আমতা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দেয়া তথ্যমতে রাত ৩টার দিকে গুম করে রাখা ওই সিরামিক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল মমতাজকে ধর্ষণের কথা অকপটে স্বীকার করে।

এ বিষয়ে পুলিশ উপপরিদর্শক আবু সাইয়িদ বলেন, হত্যার আগে ওই সিরামিক শ্রমিককে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। এরপর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।

ধামরাই থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ওই সিরামিক শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে।

সূত্র: যুগান্তর