মুক্তমত Archives - Page 5 of 10 - Women Words

মুক্তমত

মধ্যবর্তিনী (পর্ব: ২)

মধ্যবর্তিনী (পর্ব: ২)

সুদীপ্তা ভট্টাচার্য্য রুমকি বেশিরভাগ প্রেমের বিয়ের ক্ষেত্রে এই মানসিকতার শাশুড়িরা উন্মাদের মতো আচরণ করেন।মরার উপর খাড়ার ঘা হিসাবে কাজ করে বিয়ের আগে ছেলের সাথে গড়ে উঠা বউ এর বন্ডিং।ছেলে বউ এর গোলাম হয়ে যাচ্ছে এই আশঙ্কায় তারা কি পরিমাণ নিচে নেমে যান তা তারা একবারো ভাবেন না।অথচ এটুকু বোঝেন না বিয়ের আগে বিশ্বাস, আস্থা, নির্ভরতা গড়ে ওঠার একমাত্র কারণ মধ্যবর্তিনী হয়ে প্রতিটা মুহূর্তে প্যাচ লাগানোর অন্যের সুযোগের অভাব।অথচ সেই সম্পর্কটাই ধ্বংস হয়ে যায় বিয়ের পর অসুস্থ মানসিকতার অনেক শাশুড়ির কারণে।এতে শুধু একটা সংসারই ভাঙে না,ভাঙে মন, ধ্বংস হয় জীবন।সন্তান যদি থাকে তাহলে এই নোংরামিটা পাপের পর্যায়ে পড়ে আমার মতে। মাতৃঋণ শোধের মাধ্যম যদি স্ত্রী-সন্তানহীন জীবনযাপন হয় তাহলে মায়ের সাথে পুত্রেরও চিকিৎসা প্রয়োজন অতিসত্বর। আমাকে সেদিন একজন একটা ছবি দেখিয়েছিল যেখানে বিবাহিত পুত্র স্ত্রী-সন্তানহীন হয়ে তার বাব
মধ্যবর্তিনী (পর্ব: ১)

মধ্যবর্তিনী (পর্ব: ১)

সুদীপ্তা ভট্টাচার্য্য রুমকি মধ্যবর্তিনী মানে মধ্যে অবস্থানকারী।আমার মতে বিবাহিত দম্পতির মধ্যে যে নারীই অবস্থান করেন অবিবেচকের মতো তাকেই মধ্যবর্তিনীর মর্যাদায় ভূষিত করা যায়।তিনি other কিংবা mother যে নারী ই হোন না কেন।দুইজন মানুষের বিবাহিত সম্পর্কে যদি প্রত্যেক ক্ষেত্রে মধ্যবর্তিনী হয়ে  কোন ছেলের  মাও পাকাপোক্ত আসন গেড়ে বসে থাকেন তাহলে এই সম্পর্কের ভিতটা তখন গড়ে উঠার আগেই ভাঙবে তা মোটামুটি নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। মায়ের অবস্থান ও মর্যাদা কি তা একটা মায়ের সঠিকভাবে বুঝা উচিৎ পুত্রের বিয়ের নাম মুখে নেয়ার সাথে সাথেই, যা অনেকই বুঝতে সক্ষম নন।একজন  শাশুড়ির জন্য কোন ব্যাপারইনা একটা সম্পর্ক নষ্ট করতে অবদান রাখা যদি তিনি এমনটা করতে চান।সব ছেলের মা যেমন এমন নন তেমনি সব ছেলের মা এমন মানসিকতার বাইরেও নন।এ ধরনের মানসিকতার মায়েদের পুত্ররা যদি একদিনের জন্যেও পুত্রবধূর রূপ ধারণ করতে পারতো তাহলে বুঝতে পারতো মা
বাঁচো বন্ধু, কষ্ট কিসের?

বাঁচো বন্ধু, কষ্ট কিসের?

খলিলুর রহমান ফয়সাল একটা মেয়ে আমার কারণে মরতে চেয়েছিল। আই রিপিট, একটা মেয়ে আমার কারণে মরতে চেয়েছিল। যেদিন আমি এটি জেনেছি সেদিন বুক ফাটিয়ে খোদার কাছে বলেছিলাম, খোদা মেয়েটিকে বাঁচিয়ে দাও, আর পারলে আমার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দাও। খোদা আমার কথা সেদিন শুনেছিলেন। বুক ফাটিয়ে খোদার কাছে যা চেয়েছি, খুব কমবারই তিনি আমাকে নিরাশ করেছেন। আম্মা মারা যাওয়ার পরপর বাসা থেকে আমাকে ফোন দেয়া হলো, তিনি খুব অসুস্থ আমি যাতে তাড়াতাড়ি বাসায় চলে আসি। বুকটা দরাম করে উঠলো, এক ঘন্টা আগে ফোনে আমি যার আওয়াজ শুনলাম সে অসুস্থ হয় কি করে? তখনি বুঝলাম মা আমার নাই, নয়তো যাবে যাবে করছে। খোদার কাছে বুক ফাটিয়ে চাইলাম, মায়ের আর অবাধ্য হবো না খোদা, মা কে ফেরাও। খোদা সে রাতে আমার কথা রাখেন নি। তবে মেয়েটার বেলা রেখেছিলেন। মেয়েটা আমাকে খুব ভাল বাসতো, সে আমাকে বর হিসেবে চাইতো। তবে আমি কখনো স্ত্রী হিসেবে তাকে চাইতাম না। খুব জিদ ছিল তার।
কলকাতা বইমেলার স্থানান্তর নিয়ে নাখোশ তসলিমা

কলকাতা বইমেলার স্থানান্তর নিয়ে নাখোশ তসলিমা

৪৩তম আন্তর্জাতিক বইমেলা কলকাতায় শুরু হয়েছে । সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে বৃহস্পতিবার এ বইমেলার উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বইমেলাটি নতুন স্থানে করার বিরোধিতা করেছেন বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখক তসলিমা নাসরিন। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি বিষয়টি নিয়ে লিখেছেন। তসলিমা নাসরিনের সেই স্ট্যাটাসটি এখানে হুবহু তুলে ধরা হলো- ‘কলকাতার ময়দান থেকে বইমেলাকে সরিয়ে দিয়ে বইমেলার সর্বনাশ করা হয়েছে। মানুষ আজকাল বই পড়ছে না, বাংলা বই তো আরো পড়ছে না, এমন সময় বইমেলাকে চোখের আড়াল করে দেওয়া মানে সামান্য যেটুকু পড়ার উৎসাহ মানুষের ছিল, সেটুকুকেও কফিনে ঢুকিয়ে দেওয়া। ময়দান আর্মিদের। আর্মিরা নাকি মনে করে বইমেলায় দূষণ হয় খুব, সে কারণে ময়দানে বইমেলা বন্ধ। আর্মিদের যা কিছু মনে করার অধিকার আছে। কিন্তু যারা আর্মি নয়, তাদের তো আর্মিদের জানিয়ে দিতে হবে যে, বইমেলা ময়দানেই হবে, কারণ বইম
ভুল ততক্ষণ ভুল না, যতক্ষণ শিখছ

ভুল ততক্ষণ ভুল না, যতক্ষণ শিখছ

আশিক রাহমান সহজে কাউকে বিশ্বাস করা মানুষ গুলি বার বার প্রতিজ্ঞা করে কাউকে বিশ্বাস না করার। অল্পতে কষ্ট পাওয়া মানুষ গুলা অল্পতেই তুষ্ট হতে চায় বেশি পাবার আকাঙ্খায় বার বার কষ্ট পাবার ভয়ে। কাউকে ভুলতে চাওয়া মানুষ গুলা বার বার কষ্ট পায় তাকেই মনে করে। বোকা মানুষ গুলা চালাক হতে যেয়ে বার বার বোকা হয়। অল্পতে রেগে যাওয়া মানুষ গুলার রাগ পড়ে গেলে নিজে নিজেই কষ্ট পায়। পৃথিবীর সবাই যখন নিজেকে চালাক ভাবে কিছু মানুষ তখন নিজেদের বোকা ভাবে কেন? নিজের দুর্বলতা পুরোপুরি জেনেও কেন কিছু মানুষ বার বার কষ্ট পায়? কেন রাগ পড়ে যাবার পর অনুশোচনা করেও বার বার সে রেগে যায়? কেন হাজারবার প্রতিজ্ঞা করেও বার বার বিশ্বাস ভঙ্গের কষ্ট পায়? হাজার বার কালোকে সাদা বললে তা সাদা হয়ে যায়না, লক্ষ কোটিবার বললেও কালো কালোই থাকে। পৃথিবীর সবাই মিলে ভোট দিলেও একটা মিথ্যা কখনো সত্য হয়ে যায়না। সত্য সত্যই থাকে। মানুষ গুলার সাথে
ভাষার মাস, বইয়ের মাস ফেব্রুয়ারি

ভাষার মাস, বইয়ের মাস ফেব্রুয়ারি

মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১. ফেব্রুয়ারি মাস এসে গেছে। পৃথিবীর সব দেশেই বিশেষ একটা দিবস সেই একটা দিনের মাঝেই আটকে থাকে। আমরা যেহেতু আবেগের জন্য বিখ্যাত, তাই একটা দিবসকে স্মরণ করে আমরা সারা মাস ধরে সেটি পালন করি। ডিসেম্বর মাস আমাদের বিজয়ের মাস, আগস্ট মাস শোকের মাস এবং ফেব্রুয়ারি মাস হচ্ছে ভাষার মাস। আমি অনেককেই বলতে শুনেছি শুধু আমরাই ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছি। এটি কিন্তু সত্যি নয়। আসামের বরাক উপত্যকায় বাংলা ভাষার জন্য আন্দোলন করায় ১৯৬১ সালের মে মাসের ১৯ তারিখ ১১ জনকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছিল, তার মাঝে কমলা নামে ১৬ বছরের একটি মেয়ে ছিল, যে মাত্র আগের দিন তার ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষা শেষ করেছিল। সংখ্যার দিক দিয়ে সবচেয়ে হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছিল সাউথ আফ্রিকায়, ১৯৭৬ সালের জুন মাসের ১৬ তারিখ, প্রায় সাত শত স্কুলের ছেলেমেয়েকে হত্যা করা হয়েছিল, তাদের ভাষা আন্দোলন থামানোর জন্যে। পৃথিবীর অনেক ভাষা আন্দোলনের মাঝে
‘ঘরজামাই’ নয় প্রসঙ্গ মানবিক বোধের

‘ঘরজামাই’ নয় প্রসঙ্গ মানবিক বোধের

অদিতি দাস মানুষের আগ্রহের কোন সীমা পরিসীমা নেই। প্রয়োজনে, নিতান্ত প্রয়োজন নেই এমন বিষয়েও তাদের জানার তুমুল আগ্রহ। নিজের গুরুত্বপূর্ণ সময়টুকুও অনেকে অনায়াসে ব্যয় করে ফেলেন অন্যের বিষয়ে নাক গলিয়ে। আত্মীয়, বন্ধু কিংবা পাশের ফ্ল্যাটে আসা ভাড়াটিয়া নিয়েও কৌতুহলি হন অকারণে। আর সেলিব্রেটি কেউ হলে তো রেহাই নেই। তাদের একান্ত ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কেও আদ্দ্যেপান্থ জানা চাই। সেই জানার  'ক্ষুধা' নিবারণে গণমাধ্যমগুলোও 'যা নজরে আসে' কিংবা 'নজরের বাইরের’ বিষয়গুলোও দিব্যি প্রকাশ করে। যেমনটা সম্প্রতি সময়ে বলিউড তারকা দীপিকা পাড়ুকোন ও রণবীর সিংকে নিয়ে।  ‘দীপিকার বাড়িতে গিয়ে থাকছেন রণবীর’-তা নিয়ে গণমাধ্যম থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে চর্বিত চর্বন। বিয়ের পর নিজের বাড়িতে না থেকে স্ত্রী দীপিকার বাড়িতে গিয়ে উঠেছেন রণবীর। তা নিয়ে যে যার মতো মন্তব্য করছেন অনেকে। গবেষণা চলছে তিনি  ‘ঘরজামাই' হলেন কিনা? রণ
এই গ্লানি কোথায় রাখি?

এই গ্লানি কোথায় রাখি?

মুহম্মদ জাফর ইকবাল আমি প্রতি দুই সপ্তাহ পর পর পত্রপত্রিকায় লিখি। এই সপ্তাহের জন্যেও লিখতে বসেছিলাম। সবেমাত্র একটা ইলেকশন শেষ হয়েছে, মোটামুটি সবাই জানতো আওয়ামী লীগের মহাজোট জিতে আসবে কিন্তু ফলাফল দেখে আমরা সবাই কম-বেশি চমকে উঠেছি। সত্যি সত্যি দেশের সব মানুষ আওয়ামী লীগের পক্ষে চলে গিয়েছে নাকি এর মাঝে অতি উৎসাহী মানুষের অবদান আছে বোঝার চেষ্টা করছিলাম। একটা জিনিস স্পষ্ট, এই দেশে এখন মানুষ মন খুলে কথা বলতে ভয় পায়, পত্রপত্রিকাও যথেষ্ট সতর্ক। সবকিছু মিলিয়ে আমি আমার নিজের মতো করে কিছু একটা লিখে প্রায় শেষ করে এনেছি, তখন হঠাৎ করে সংবাদপত্রে একটা সংবাদে চোখ আটকে গেলো। নোয়াখালীর সুবর্ণচর এলাকায় চার সন্তানের জননীকে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার জন্যে গণধর্ষণ করা হয়েছে (আজকাল প্রায়ই গণধর্ষণ শব্দটি চোখে পড়ে কিন্তু এখনও আমি এটাতে অভ্যস্ত হতে পারিনি, বাংলা ভাষায় এর চাইতে ভয়ঙ্কর কোনও শব্দ আছে কিনা আমার জানা নেই)
মেয়েরা স্বামীর অবহেলায় এক সময় বদলে যেতে থাকে

মেয়েরা স্বামীর অবহেলায় এক সময় বদলে যেতে থাকে

আশিক রাহমান আমার কাছে মেয়েদের পুতুলের মত লাগে। উহু খেলার পুতুল না, আহ্লাদি পুতুল। পুতুল খেলার বয়স এক সময় পেরিয়ে যায়, ছোট বেলার আদরের পুতুল বড় বেলায় কোনো কাজে আসেনা। কিন্তু মেয়েদের প্রয়োজন কখনোই ফুরায় না। জীবনের শেষ বয়সটাতেও নিজেকে অসহায় মনে হয় যদি সারাজীবনের বুড়িটা পাশে না থাকে। একদম ছোট বেলা থেকে, যখন ছেলেরা খাবার নিয়ে কাড়াকাড়ি করতাম তখনও দেখতাম মেয়েদের একটু পটাতে পারলে পুরো টিফিন বক্সটাই দিয়ে দিত। আমি খুব অবাক হই কত অল্পতে মেয়েরা খুশি হয়ে যায়! পাহাড় পর্বত জয় করেও যেখানে অনেকের খুশি লাগেনা, মেয়েরা সেখানে ছাদের কিনারায় দাঁড়াতে পেরেই বেজায় খুশি। পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে পাঁচ টাকার এক গোলাপ খোঁপায় গুজে দিলে মেয়েটা খুশিতে কেঁদে দেয়। কত ছোট তাদের চাওয়া গুলো, কত ছোট ছোট খুনসুটি, মান অভিমান! সামান্য এক বক্স চকলেট পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে যায় আবার একটু খানি ইগনোর করলে চোখে পানি চলে আসে। সামান্য একটু
ভালো থেকো মা অন্যলোকে

ভালো থেকো মা অন্যলোকে

রোমেনা লেইস কুচবিহারের হেমকুমারীতে ১৯৩৪ সালের এক শীতে আমার মায়ের জন্ম।ব্যবসায়ী বাবার প্রথম সন্তান।রাবেয়া খাতুন। সবার খুব আদরের।আমার মায়ের কাছেই ডুয়ার্সের চা বাগানের গল্প শুনেছি।আংড়াভাসা নদী আর  ‘নয়া নয়া বথুয়া নুন তেল পায় ‘...শুনে শুনে বড় হয়েছি।পরে সমরেশ মজুমদারের বণর্নায় সে ছবি মিলিয়ে নিয়েছি।স্কুলে ভর্তি করার জন্য পরবর্তীতে হলদিবাড়িতে আমার নানা বাড়ি কিনেছিলেন।আমার মায়ের সাথে হলদিবাড়ি একবার বেড়াতে যাবার কথা ছিলো কিন্তু আর যাওয়া হয়ে উঠলো না। আমার মায়েরা চারবোন, দুইভাই। মায়ের পরে এক ভাই।তারপর একবোনের পরে আরো এক ভাই।সবার শেষে আরো দুই বোন।শৈশব কৈশোর খেলাধুলা,স্কুলে যাওয়া, আনন্দ, হাসি, গান, গল্পে কেটে যাচ্ছিলো দিন।হিন্দু মুসলিম কোন ভেদাভেদ নাই।মিলে মিশে বেশ আত্মীয় পরিজনের মত দিন কাটছিলো।মায়ের বড়চাচাকে ডাকেন বড়বাজান।তাঁর তিনছেলে। বড়চাচীকে ডাকতেন বড়মা।।একান্নবর্তী পরিবারে সব ভাইবোন।আর অন্য চাচাকে