মুক্তমত Archives - Page 4 of 10 - Women Words

মুক্তমত

‘ভুনা খিচুড়ি তে ইফতার’

‘ভুনা খিচুড়ি তে ইফতার’

রাহিমা বেগম একটা বাস্তব সুন্দর গল্প বলি। খুব বেশিদিন আগের না, মাত্র ৩৬৫ দিন, মানে বছরখানেক আগের ঘটনা। ঠিক এক বছর আগে সিলেটে আমাদের এক চাচাত ভাইয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে। তখনও রমজান শুরু হয়নি। রোজার কিছুদিন আগে তার এংগেজমেন্ট হয়েছে। রোজা ও ঈদের পরপরই বিয়ে হবে। দুই পরিবারের মধ্যে নতুন সম্পর্ক, নিয়মিত আসা যাওয়া। ছেলে পক্ষের অবস্থা ভাল, নিজেদের নিজস্ব বিল্ডিং আছে, মেয়ে পক্ষের ও অবস্থা অনেক ভাল। পরিবারের ভাল ব্যবসা বাণিজ্য রয়েছে। এক আত্মীয় আরেক আত্মীয় এর বাসায় আনাগোনার সময নিয়মিত মিষ্টি মিঠাই আনা হয়। বিয়ের আগেই দুই পরিবারের মধ্যে সুন্দর একটা বন্ধন তৈরি হয়ে গেল। রোজা চলে এলো। প্রথম রোজায় মেয়ের পরিবার থেকে ছেলের পরবারে হাল্কা ইফতার পাঠানো হলো। দুই পরিবার খুব খুশি। এক সপ্তাহ গেল এখন সিলেটি রেওয়াজ অনুসারে মেয়ের পরিবার থেকে মেয়ের আমৃত্যু যে যৌতুক দিয়ে যেতে হয় সেই যৌতুক দেয়ার পালা, আশা করছি বুঝতে পারছেন।
ভালোবাসার কাছে এসে মেয়েদের বুদ্ধিমত্তা হেরে যায়

ভালোবাসার কাছে এসে মেয়েদের বুদ্ধিমত্তা হেরে যায়

আশিক রাহমান মেয়েদের সিক্সথ সেন্স (ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়) প্রখর হয়। কোনো ছেলের মুখের দিকে না তাকিয়েই তারা বলে দিতে পারে কে তার দিকে কোন দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে। তারা ভয়েস শুনে বুঝতে পারে তুমি তাকে নিয়ে কখন কি ফিল করছো। তোমার একটা দুইটা মেসেজেই তোমার উদ্দেশ্য সে বুঝে নিতে পারে। সমস্যা টা হলো মেয়েরা তোমার অসৎ কামনা চট জলদি বুঝে ফেলে কিন্তু ভালোবাসার নামে লুকিয়ে রাখা প্রতারণা বুঝতে পারেনা। আর বড় বড় প্রতারক গুলা একদমই ছ্যাচড়ামি করেনা। তারা তাদের ব্যক্তিত্ব দিয়ে চারপাশে একটা ধোয়া ছড়িয়ে রাখে। সেই ধোয়ায় আবছা আবছা দৃষ্টিতে তাকে খুব জানতে ইচ্ছা করে। এই ছেলে গুলোর কাছে গিয়েই মেয়েদের সিক্সথ সেন্স ভোতা হয়ে যায়। সব কিছু বুঝে ফেলার পরেও বিশ্বাস করতে পারেনা। এই বিশ্বাস টাই প্রতারকের চেহারাটাকে ঢেকে ফেলে। প্রতারক তখন যাই করে সেটাকে শুদ্ধ মনে হয়। অথচ লম্পট আর প্রতারকের উদ্দেশ্য একটাই। লম্পট তার লালসা ঢাকতে পার
নননপুরের মেলায় একজন কমলাসুন্দরী ও একটি বাঘ আসে

নননপুরের মেলায় একজন কমলাসুন্দরী ও একটি বাঘ আসে

তিতাস পারের কোনো একটি জায়গায় হয়তো এই গল্পের শুরু। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ নয় মাসের ঘটনা পরম্পরার সাথে সেই গল্পের একটা যোগসূত্র রয়েছে। যেখানে নদীতে ভেসে আসা এক ছোট্ট শিশুকে ঘিরেই ঘটনার সূত্রপাত। শিশু জাইদুলকে ঘিরে মঙ্গল ও তার পরিবারে ঘটে যাওয়া নানান ঘটনা পরম্পরা ধীরে ধীরে একাত্তরে ঘটে যাওয়া পাকসেনা ও রাজাকারদের সাথে মুক্তিবাহিনীর ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া অনেকটা নানান লৌকিকতায়, বিভিন্ন মিথ ও স্থানীয় কৃষ্টিতে ফুটে ওঠে। আবার মনে হয় এই ঘটনায় যেসকল চরিত্র দৃশ্যমান তারচেয়েও হয়তো অদৃশ্যমান ছায়ার আড়ালে অসংখ্য চরিত্র এই নাটকের মূল সুরকে টেনে নিয়ে চলে, কখনো পাহাড়ি ঝর্নার সুরে সুরে, কখনো সমতলের গীত ও ছন্দে, কখনো নদীর ধাবমান হাওয়ায়। ঘটনার যেখানে শুরু হয়তো তারচেয়েও অনেক আগে সেই ঘটনার সূত্রপাত! একবার মনে হয় সবকিছু দৃশ্যমান, আবার মনে হয় অদৃশ্যমান চরিত্রগুলোরই বেশি উপস্থিতি। যেসকল মানুষের মিথস্ক্রিয়
‘ভারতীয় নারীরা যেন বস্তুসামগ্রী’

‘ভারতীয় নারীরা যেন বস্তুসামগ্রী’

মনিরুল ইসলাম বঙ্গের দুই অভিনেত্রী মিমি ও নুসরাত লোকসভা নির্বাচনের পদপ্রার্থী হলে তাঁদের অশ্লীল ট্রোলের শিকার হতে হয়। ভারতে প্রতি তিন মিনিটে এক জন নারীর বিরুদ্ধে ঘটে অপরাধ। তাহলে কি খুব জোর দিয়ে বলা যায়, হ্যাঁ নারীরা তাঁদের যোগ্য সম্মান পাচ্ছেন? সালটা ১৮৪২। মাইকেল মধুসূদন দত্ত তখন হিন্দু কলেজের ছাত্র। বয়স মাত্র আঠারো বছর। নারীশিক্ষা বিষয়ক প্রবন্ধ লিখে প্রথম হয়েছিলেন তিনি। সেই প্রবন্ধে তিনি লিখেছিলেন, ‘ভারতীয় নারীরা যেন বস্তুসামগ্রী—তারা আসবাবপত্রের মতো। তারা শুধু ভোগের উপকরণ মাত্র’।  পরবর্তী কালে সেই নারীসমাজ রামমোহন, বিদ্যাসাগরের মতো মনীষীদের হাত ধরে অন্ধকার ঘরের কোণ ছেড়ে মুক্তির পথ খুঁজেছে। বিশ্বজয় করার পরে, স্বামী বিবেকানন্দ ভারতবর্ষের মূল সমস্যা খোঁজার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “ভারতের দুই মহাপাপ—মেয়েদের পায়ে দলানো আর জাতি জাতি করে গরিবগুলোকে পিষে ফেলা।” তিনি বুঝেছিলেন, “মেয়েদে
ভালো মনের দাম গহনার চাইতে বেশি

ভালো মনের দাম গহনার চাইতে বেশি

আশিক রাহমান দামি গহনা মেয়েদেরকে বিশেষ কোনো দিনের জন্য সুখি করে, কিন্তু সামান্য দশ টাকার বেলি ফুলের মালা তাদের আজীবন সুখি করে। কারণ একদিনের ওই গহনার জন্য আজীবন খোটা শুনতে হয় কিন্তু ফুলের জন্য কেউ খোটা দেয়না। মেয়েরা উপহারে যতটা খুশি হয় তার চেয়ে হাজার গুণ কষ্ট পায় খোটা শুনতে। সামান্য একটা ফুল সামান্য নয় কারণ, টাকা হলে উপহার সবাই দিতে পারে, কিন্তু সুন্দর একটা মন না থাকলে কেউ কাউকে ফুল দিতে পারেনা। গহনা টা দরকার ভালো আছি সেটা দেখানোর জন্য, আর নিয়ম করে একটু অনুভূতি নিয়ে ছুঁয়ে দেয়া, দুটো ভালোবাসার কথা বলা, চুড়ি,নুপুর কিংবা লুকিয়ে আনা ফুলের দরকার হয় ভালো আছি সেটা বোঝার জন্য। কেউ কেউ দেখবা সারা গা গহনা দিয়ে মুড়িয়ে দিয়েও ভালোবাসা পায়না, আর কেউ কেউ সামান্য একটা ফুল দিয়ে জড়িয়ে ধরে কাঁদিয়ে দেয়। ভালো থাকার জন্য টাকা দরকার, ভালোবাসার জন্য মন দরকার, ভালো মনের জন্য একটা ভালো মানুষ দরকার। মানুষের অভাব
‘মুখের কুলুপ ভাঙতে হবে’

‘মুখের কুলুপ ভাঙতে হবে’

অদিতি দাস ‘ভাবি সমান, হই চৌকস, বদলাই নতুনে’ স্লোগানে পালিত হলো এবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস। প্রতিবছর নিয়ম করেই দিবসটি আসে। আমরা ঘটা করে পালন করি। আর ভাবি, ‘এবার হবে’। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে মার্কিন মুল্লুকে রাস্তায় নেমেছিলেন সুতা কারখানার নারী শ্রমিকরা। এ ঘটনাই আন্তর্জাতিক নারী দিবসের পটভূমি রচনা করে। এরপর ১৬২ বছর ধরেই নারীরা দৃশ্যত লড়ে চলেছেন নিজের সমঅধিকার আর মানুষ হিসেবে প্রাপ্ত মর্যাদাটুকু প্রতিষ্ঠা করতে। দীর্ঘ দেড়শ বছরের অধিক সময়ের সেই লড়াই আর প্রতি বছর দিবস পালনে কতটুকু কী হয় বা হয়েছে সে হিসাব আপাতত থাক। বরং সম্প্রতি সময়ের কিছু ঘটনার আলোকপাত করি। যেগুলো বিশেষ করে নারীদের পরোক্ষভাবে দারুণ প্রভাবিত করতে পারছে বলে আমার মনে হয়। এসব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র, বিক্ষিপ্ত এবং আপাত দৃষ্টিতে অতটা গুরুত্বপূর্ণ মনে না হলেও গভীরভাবে কান পাতলে সেসব ঘটনাবলী সত্যিকার অর্থেই যেন কানে কানে বলে য
নারী দিবস টা হোক নারীদের ইচ্ছা পূরণের দিন

নারী দিবস টা হোক নারীদের ইচ্ছা পূরণের দিন

আশিক রাহমান আজ শুক্রবার সবার ছুটি, আজকের রাত টা একটু লম্বা হবে, সকাল টা একটু দেরিতে হবে। অনেক গুলি পছন্দের খাবার থাকবে টেবিলে সাঁজানো। আমি নিশ্চিত আমি যখন পোস্ট টা লিখছি তখন সবার ছুটি হলেও, একটা মানুষের আজীবনে কোনো ছুটি নেই। আজ সে মানুষ টার ছুটি থাকলে, রাত টা আরো ছোট হত, সকাল টা আরো সকালে হত। হ্যা আমি তার কথাই বলছি যে মানুষ টা জেগে উঠে বলেই সবার জীবনে ছুটি আসে। আমি আমার আম্মার কথা বলছি, আমি তোমাদের আম্মার কথা বলছি। আজ মা দিবস না, বিশ্ব নারী দিবস। তবু কেন মায়ের কথা বলছি? আমার কাছে মা দিবস আর নারী দিবস একই মনে হয়। পানি যেমন যত রুপেই দেখ আদতে সে পানি, নারীও তেমন যত রুপে দেখ আদতে সে একজন মা। আজ যে মা, সেও একজন মেয়ে, সেও একজন বউ। মায়েরা মা হয়ে জন্মায় না, মেয়ে হয়েই জন্মায়। এখন যে মেয়েটাকে মেয়ে ভেবে যা খুশি করছ সেই একদিন তোমার সন্তানের জননী হবে। পৃথিবীর অনেক নারী খারাপ হতে পারে কিন্তু মায়েরা কখন
মাদাম বোভারি, আন্না কারেনিনা, রবীন্দ্রনাথের কুমু ও আজকের বাংলাদেশের মিতু

মাদাম বোভারি, আন্না কারেনিনা, রবীন্দ্রনাথের কুমু ও আজকের বাংলাদেশের মিতু

অদিতি ফাল্গুনী ১৮৫৬ সালে ফরাসী সাহিত্যিক গুঁস্তাভ ফ্ল্যবেয়ার যখন ‘মাদাম বোভারি’ উপন্যাসের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেন, গোটা দেশ জুড়ে উপন্যাসটি নিয়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। উপন্যাসের নামচরিত্র মাদাম বোভারি মফস্বলী জীবনের তুচ্ছতা ও শূন্যতা এড়াতে সাধ্যের অতীত এক জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে যায়। অক্টোবর ১, ১৮৫৬-১৫ ডিসেম্বর ১৮৫৬ সাল নাগাদ উপন্যাসটি যখন প্রথম একটি পত্রিকায় ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়, তখন পাবলিক প্রসিকিউটররা অশ্লীলতার দায়ে লেখকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ১৮৫৭ সালের জানুয়ারি মাসে উপন্যাসের জন্য লেখক আদালতে গেলে উপন্যাসটি বাস্তবিক বিখ্যাত হয়ে ওঠে। ১৮৫৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লবেয়ার আদালত থেকে ছাড়া পেলে এপ্রিল নাগাদ বইটি বেস্ট সেলার হয় এবং এটা ফ্লবেয়ারের জীবনের মাস্টারপিস ও ইতিহাসের অন্যতম প্রভাবশালী সাহিত্যকৃতি হিসেবে বিবেচিত হয়। ফ্রান্সের উত্তরের এক মফস্বল শহরে মাদাম বোভারি থাকতেন, নর্ম্যান্ডির
ভালোবাসাটা যদি অভ্যাস বানানো যায়…

ভালোবাসাটা যদি অভ্যাস বানানো যায়…

আশিক রাহমান পৃথিবীর প্রায় প্রতিটা মানুষেরই কিছু অদ্ভুত অভ্যাস থাকে। কেউ কেউ আছে দেখবে, সারাদিন ফেইসবুকে ঢুকতে না পারলে তার মনে হবে সারাদিন কি জানি করা হয় নাই। অথচ ফেইস বুকে সে কিছুই করেনা। একটু পর পর ঢুকে শুধু নিউজ ফিড টা চেক করে আবার বেরিয়ে আসে! কেউ কেউ ঘুম থেকে ওঠে এক কাপ চা না পেলে মনে হয়, এক্ষুনি বোধ হয় কেঁদে ফেলবে। আমি এমন ও মানুষ চিনি যে দিনে বিশ কাপ চা খায়। অথচ এতটা পানি তৃষ্ণাও কারো লাগেনা! গভীর রাতে সিগারেটের প্যাকেটে হাত দিয়ে এক টুকরা সিগারেট না পেয়ে, কেউ কেউ আবার ফেলে রাখা এস্ট্রে হাতিয়ে নিভিয়ে ফেলা সিগারেটের শেষ অংশ টা আবার একবার জ্বালিয়ে ভাবে- জীবন ফিরে পেল যেন! অথচ কিছুই সে পায়নি যা পেয়েছে তা হলো - ফুসফুস জ্বালিয়ে দেবার মত আরো কয়েক ফোটা নিকোটিনের বিষ! তবুও মানুষ খুশি। কারন মানুষ তার অভ্যাসে বন্দী। আচ্ছা ভেবে দেখেছ ভালোবাসাটা যদি এমন অভ্যাস বানানো যায়? বেশির ভাগ মান
মানুষের গড় আয়ুর সাতকাহন…প্রাক্তন বা অতীত

মানুষের গড় আয়ুর সাতকাহন…প্রাক্তন বা অতীত

শেখ মাহফুজা রশিদ আপনি কবি তাই প্রাক্তন শব্দটাকে আপনি ভালোবাসতেই পারেন,কারণ আপনি এই শব্দটাকে পুঁজি করে অন্তত ডজনখানেক কবিতা অথবা কবিতার দুর্দান্ত একটা সিরিজ নিখে ফেলতে পারেন। কিন্তু আপনার সহজ সরল পাঠক একটা বড়সড় ধাক্কা খেয়ে ফেলতে পারে।অথবা আনন্দে কেঁদে ফেলতে পারে আপনার প্রাক্তন প্রেমিক/প্রেমিকা, তার জন্য আপনার উৎসাহ এবং দুঃখবোধ অথবা কখনো কখনো তাকে আবারো ফিরে পাওয়ার আগ্রহ দেখানোর জন্য। তারপর হঠাৎ একদিন আপনার মুঠোফোনে বা ইমেইলে পেয়ে যেতে পারেন একটি খুদে বার্তা… পাঠিয়েছে আপনার প্রাক্তন প্রেমিক/প্রেমিকা … "অভিনন্দন!! ইশ তুমি তো দেখছি সত্যি সত্যি কবি হয়ে গিয়েছো! ভালোই তো লিখো…, লিখে যাও, একদিন দেখো সবাই তোমার কবিতা পড়বে। আমি আগেই বুঝতে পেরেছিলাম তুমি একদিন বিখ্যাত কবি হবে।" তারপর বোকা কবি লিখবে আরো ডজনখানেক কবিতা, আরো কতো কতো কবিতার সিরিজ,আরো কতো কতো কাব্যগ্রন্থ। যথারীতি সেই প্রাক্তন প্রেমিক/প্র