ধর্ষিত বিলকিসকে ৫৯ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ - Women Words

ধর্ষিত বিলকিসকে ৫৯ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ

২০০২ সালে ভারতের গুজরাট দাঙ্গার সময় দেশটির সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্য বিলকিস বানু গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। সোমবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট গুজরাট দাঙ্গায় ধর্ষিত এই নারীকে ৫০ লাখ রূপি (বাংলাদেশি ৫৯ লাখ ৭৫ হাজার ৭৫৬ টাকা প্রায়) ক্ষতিপূরণ, সরকারি চাকরি ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন। একই সঙ্গে আদালতের এই আদেশ বাস্তবায়নে দুই সপ্তাহের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে।

চলতি বছরের এপ্রিলে দেশটির এই সুপ্রিমকোর্ট একই ধরনের আদেশ জারি করেছিল। কিন্তু গুজরাট সরকার সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে পিটিশন দায়ের করেছিল। সোমবার সেই পিটিশন খারিজ করে দিয়ে বিলকিস বানুকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি চাকরি ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে গুজরাট রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন।

গুজরাট সরকার সুপ্রিম কোর্টকে জানায়, রাজ্যে ইতোমধ্যে একটি ক্ষতিপূরণ প্রকল্প চলমান রয়েছে। জবাবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক বলেন, কিন্তু গুজরাট সরকার সুপ্রিম কোর্টের আগের আদেশ এখনো বাস্তবায়ন করেনি।

২০০২ সালের ৩ মার্চের দাঙ্গার সময় গুজরাটের আহমেদাবাদের কাছের রাঁধিকপুর গ্রামে একদল উত্তেজিত জনতা বিলকিস বানুর পরিবারের ওপর হামলা চালায়। সেই সময় বিলকিস বানু পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা থাকলেও দাঙ্গাকারীরা তাকে গণধর্ষণ এবং তার পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করে। দাঙ্গায় বিলকিস বানুর আড়াই বছর বয়সী কন্যাসহ তার পরিবারের ১৪ সদস্য খুন হন। আড়াই বছরের ওই শিশুকে বিলকিস বানুর কোল থেকে কেড়ে নিয়ে হত্যা করা হয়।

২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি দেশটির একটি বিশেষ আদালত বিলকিসকে গণধর্ষণ ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার দায়ে ১১ অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। তবে এই মামলা থেকে পুলিশ ও চিকিৎসকসহ আরো সাত আসামি খালাস পান।

পরে ২০১৭ সালের ৪ মে আদালত দায়িত্বে অবহেলা ও প্রমাণ ধ্বংসের চেষ্টার অভিযোগে পাঁচ পুলিশ সদস্য এবং দুই চিকিৎসককে আবারো দোষী সাব্যস্ত করেন। একই বছরের ১০ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট দুই চিকিৎসক ও চার পুলিশ সদস্য রায়ের বিরুদ্ধে পিটিশন দায়ের করলে সুপ্রিম কোর্ট তা খারিজ করে দেন। আদালত জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পরিষ্কার প্রমাণ রয়েছে। পুলিশের এক সদস্য আদালতের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা থেকে বিরত ছিলেন। সূত্র : জাগো নিউজ