গর্ভপাতের আবেদন ধর্ষিত কিশোরীর, অতঃপর... - Women Words

গর্ভপাতের আবেদন ধর্ষিত কিশোরীর, অতঃপর…

নানির ছেলেবন্ধুর দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ১১ বছর বয়সী মেয়ে। ১৯ সপ্তাহ পার হওয়ার পর সে জানতে পারে যে সে অন্ত্বঃসত্তা। তৎক্ষণাৎ ওই কিশোরী সিদ্ধান্ত নেয় গর্ভপাতের।

আর্জেন্টিনায় কেবল দুই ধরনের ক্ষেত্রে গর্ভপাত করা যায়। প্রথমত, ধর্ষণের শিকার হলে এবং দ্বিতীয়ত মায়ের শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হলে।

স্বাভাবিকভাবেই ওই কিশোরীর গর্ভপাত করাতে চিকিৎসকদের দুঃশ্চিন্তার কারণ ছিল না। তার পরেও চিকিৎসকদের গড়িমসিতে ২৩ সপ্তাহে গড়ায় ওই কিশোরীর গর্ভকাল।

কিন্তু ততদিনে গর্ভপাত করানো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। অবশেষে ২৪ সপ্তাহে ওই কিশোরীর পেট কেটে বাচ্চা বের করা হয়। অপরিণত ওই বাচ্চা পেট কেটে বের করার পর শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়।

আর্জেন্টিনার মানবাধিকার কর্মী থেকে শুরু করে নারী অধিকার আদায়ে লড়াইকারীরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এমনকি এ নিয়ে মানববন্ধন থেকে শুরু করে বিক্ষোভও হয়েছে।

তবে চিকিৎসকরা বলছেন, ওই কিশোরীর প্রকৃত অভিভাবক কে, সেটা নিশ্চিত হতেই দেরি হয়েছে। কারণ, কিশোরীর মা বলছেন মেয়ের গর্ভপাত করাবেন। কিন্তু সেখানে স্বাক্ষর রয়েছে নানির। আর যেহেতু নানির বয়ফ্রেন্ডের হাতে কিশোরী ধর্ষিত হয়েছে। সে কারণে তার নানির কথায় ভরসা পাওয়া যাচ্ছিল না।