সিরিয়ায় যাওয়া তরুণীকে দেশে ফিরতে দেওয়া হবে না: ট্রাম্প - Women Words

সিরিয়ায় যাওয়া তরুণীকে দেশে ফিরতে দেওয়া হবে না: ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্র থেকে সিরিয়ায় গিয়ে জঙ্গিগোষ্ঠি ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দিয়েছিলেন হোদা মুথানা (২৪)। তিনি এখন দেশে ফিরতে চান।

তিনি এখন সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত কুর্দি বাহিনী পরিচালিত একটি শরণার্থীশিবিরে আছেন। তিনি কুর্দি বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন বলে জানা যায়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আইএসের প্রচারক হতে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে সিরিয়ায় যাওয়া তরুণীকে দেশে ফিরতে দেওয়া হবে না। এক টুইটবার্তায় তিনি এ কথা জানান। আজ বৃহস্পতিবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

ট্রাম্প বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন, যাতে হোদা মুথানাকে দেশে ফিরতে না দেওয়া হয়।

মাইক পম্পেও আগেই দাবি করেছেন, হোদা মার্কিন নাগরিক নন। তাই তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

তবে হোদার পরিবার ও আইনজীবীর ভাষ্য, তাঁর মার্কিন নাগরিকত্ব আছে।

হোদা যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা অঙ্গরাজ্যে বেড়ে ওঠেন। ২০ বছর বয়সে আইএসে যোগ দিতে তিনি সিরিয়ায় পাড়ি জমান। সিরিয়ায় যাওয়ার আগে হোদা তাঁর পরিবারকে জানান, তুরস্কের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছেন তিনি।

সিরিয়া আইএসের হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের দেশগুলোর অনেক নাগরিক ধরা পড়েছেন। তাঁদের ফেরত নিয়ে বিচারের মুখোমুখি করতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতি সম্প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই আহ্বানের পর ইউরোপীয় দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ইস্যুটি নিয়ে বৈঠকও করেছেন।

ট্রাম্পের ঘোষণার পর দেশে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেন হোদা। আইএসে যোগ দেওয়ায় এখন অনুতপ্ত বলে জানান তিনি। আইএসের হয়ে যা কিছু (প্রচারণা) করেছেন, তার জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

হোদার ১৮ মাস বয়সী একটি সন্তান রয়েছে। তাঁর ভাষ্য, তিনি অনুতপ্ত। কর্মের জন্য জাতির কাছে দুঃখ প্রকাশ করছেন। তিনি দেশে ফিরতে চান। তাঁর আশা, আমেরিকা তাঁকে হুমকি মনে করবে না। তাঁকে গ্রহণ করা হবে। তিনি একজন সাধারণ মানুষ। তাঁকে ব্রেনওয়াশ করা হয়েছিল। ভবিষ্যতে এমনটা আর হবে না।

যুক্তরাজ্য থেকে আইএসে যোগ দিতে সিরিয়ায় যাওয়া শামীমা বেগম নামের এক তরুণীও দেশে ফেরার আকুতি জানিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি সন্তান জন্ম দিয়েছেন। তিনি চান, তাঁর সন্তান যুক্তরাজ্যে বেড়ে উঠুক। তবে যুক্তরাজ্য সরকার শামীমার নাগরিকত্ব বাতিল করেছে। ব্রিটিশ সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে শামীমার পরিবার।

সূত্র: প্রথম আলো