আইএস ঘাঁটি থেকে ফেরার আকুতি বাংলাদেশি তরুণীর - Women Words

আইএস ঘাঁটি থেকে ফেরার আকুতি বাংলাদেশি তরুণীর

বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ নাগরিক শামীমা বেগম। দুই বান্ধবীর সঙ্গে ২০১৫ সালে লন্ডন থেকে তুরস্ক হয়ে সিরিয়ায় যান জঙ্গি সংগঠন ইসলামী স্টেটে (আইএস) যোগ দিতে। এরপর চার বছর পার হয়েছে। আইএসের ঘাটিতে থাকা শামীমা এখন গর্ভবর্তী। আকুতি জানিয়েছেন, তিনি ফিরতে চান।

টাইমস অব লণ্ডন পত্রিকায় শামীমার সাক্ষাৎকারের অডিও রেকর্ডিংসহ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সাক্ষাৎকারে ১৯ বছর বয়সী শামীমা বলছেন, ‘আমি স্কুল থেকে পালিয়ে আইএস’এ যোগ দেয়া সেদিনের সেই ১৫ বছরের একটি সাধারণ কিশোরী নই। তাছাড়া আমি সেখানে যাওয়া নিয়ে আমার কোনো অনুশোচনাও নেই। তবে আমি দেশে ফিরতে চাই।’

সিরিয়ায় একটি শরণার্থী শিবির থেকে শামিমা জানিয়েছেন, তিনি এখন ৯ মাসের গর্ভবতী। সন্তানের জন্যই দেশে ফিরতে চান তিনি। তার আরও দুটি সন্তান ছিল। তবে তাদের দু’জনেই মারা গেছে। তার সঙ্গে আইএসে যোগ দেয়া দুই বান্ধবীর একজন বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন। তবে অপর বান্ধবীর সম্পর্কে কিছু জানেন না তিনি।

২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাজ্য আইএসে যোগ দিতে সিরিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন শামিমা বেগম। তখন তার বয়স ছিল ১৫ বছর। আর তার সঙ্গে ছিলেন তার বান্ধবী আমিরা আব্বাস। তারও বয়স ছিল তখন ১৫ বছর। আর তাছাড়া খাদিজা সুলতানা নামের ১৬ বছর বয়সী আরেক বান্ধবীও তাদের সঙ্গে ছিলেন। তারা তিনজনই লন্ডনের বেথনাল গ্রিন একাডেমীর শিক্ষার্থী ছিলেন।

তারা তিনজন যুক্তরাজ্যের গেটওয়ে বিমানবন্দর থেকে প্রথমে তুরস্কে পৌঁছান। তুরস্কে পৌঁছানোর পর সীমান্ত পাড়ি দিয়ে সিরিয়ায় যান। সিরিয়ার শহর রাক্কায় কিছুদিন অবস্থানের পরে ২৭ বছর বয়সী এক ডাচ নাগরিকের সঙ্গে শামীমার বিয়ে হয়। ওই ব্যক্তি অন্য ধর্ম থেকে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।
বিয়ের পর ওই ব্যক্তির সঙ্গেই ছিলেন শামিমা। কিন্তু গোয়েন্দা স দু’সপ্তাহ আগে তারা বাঘিজ থেকে পালিয়ে আসেন। কিন্তু সেখানে সিরিয়ান সেনাবাহিনী তার স্বামীকে আটক করে নিয়ে যায়। তারপর থেকে স্বামীর সঙ্গে সাক্ষাৎ নেই তার। সিরিয়ায় ওই এলাকাটি ছিল ইসলামিক স্টেট নিয়ন্ত্রিত সর্বশেষ ঘাঁটি।