রাস্তাঘাটে টয়লেট না থাকলে কতটা ভোগান্তিতে পড়েন নারীরা? - Women Words

রাস্তাঘাটে টয়লেট না থাকলে কতটা ভোগান্তিতে পড়েন নারীরা?

সাইয়েদা আক্তার
বাংলাদেশ সরকার দাবীকরে, গতকয়েকদশকেজনস্বাস্থ্য খাতেযেঅগ্রগতি হয়েছেতারফলেবিশেষকরেগ্রামাঞ্চলেখোলাবাকাচাটয়লেটে মলত্যাগ নাকরারব্যাপারে একধরণেরসচেতনতা তৈরিহয়েছে। সাম্প্রতিক একগবেষণায়দেখাগেছে, বাংলাদেশে একশতাংশের কমমানুষখোলাআকাশেরনিচেমলত্যাগ করে।
কিন্তু এসব অগ্রগতি সত্ত্বেও শহরাঞ্চলে জনসংখ্যার তুলনায় পাবলিক টয়লেটের সংকটএকটিবড়সমস্যা।আরএরফলেনিত্যভোগান্তির শিকারহযনসাধারণমানুষ, বিশেষকরেবিভিন্ন শ্রেণী–পেশার নারীরা।
‘রাস্তায় বের হলে জ্যামের কারণেযেকোনজায়গায় জায়গাতে পৌছানোএকটিসময়সাপেক্ষ ব্যাপার।এইসময়েরমধ্যেযদিটয়লেটচাপে, কইযাবো? টয়লেটতোনাই।দুএকটাযদিপাওয়াও যায়, সেসবএতনোংরাথাকে,যাওয়াযায়না।‘
‘আবারপাবলিকটয়লেটে যেযাব, সেখানেকোনঅনাকাঙ্খিত ঘটনাঘটবেনা, তারকোনগ্যারান্টি নাই।ফলেরাস্তায়বেরহবারআগেথেকেইপানিবাকোনখাবারখাইনা।‘
‘টয়লেটচাপলেওসেটাচেপেরাখি, কারণঅনেকসময়মার্কেট বারেস্তোঁরাতেটয়লেটথাকলেওতারাঠিকপছন্দকরেনারাস্তাথেকেএসেকেউটয়লেটব্যবহার করবে।‘
অন–রেকর্ড কথাবলতেচাননি, এমনবেশকয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীজানালেন, অনেকসময়ভ্রাম্যমানটয়লেটপেলেওপরিচ্ছন্নতার অভাবেসেগুলোতারাব্যবহার করতেচাননা।
আবার টয়লেটের ভেতরেগোপনক্যামেরা থাকতেপারে, এমনআশংকাওরয়েছেঅনেকের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাদেকাহালিম, তারএকগবেষণায় দেখেছেন, এমনকিরাস্তায়দায়িত্ব পালনকারী ট্রাফিক পুলিশের নারীসদস্যরাও এনিয়েভোগান্তির শিকারহন।
‘আমরাঢাকাএবংচট্টগ্রাম মহানগরপুলিশের কর্মকর্তা এবংকনস্টেবল পর্যায়ে জরিপচালিয়ে দেখেছি, যারারাস্তায়কর্মরতথাকেনএমননারীপুলিশসদস্যরা টয়লেটচেপেরাখেন।এদেরঅনেকেইইউরিনইনফেকশনসহনানাধরণেরসমস্যায় ভুগছেন।‘
কিন্তু এই যেমেয়েরা দীর্ঘসময়পানিনাখেয়েথাকেন, কিংবাচেপেরাখেনপায়খানা ওপ্রস্রাব—এরকীধরণেরপ্রভাবপড়েশরীরে?
ঢাকার আহসানিয়া মিশনক্যান্সার ওজেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মাসুমানাওয়ার বলছেন, এজন্যমূত্রথলীরসংক্রমণসহ নানাধরণেরশারীরিক সমস্যায় পড়তেহয়নারীদের।
‘দীর্ঘসময়পানিনানাখেয়েথাকলেপ্রথমেই পানিশূণ্যতা হয়।এরপরটয়লেটচেপেরাখাইউরিনইনফেকশনের একটিকারণ।আরোঅনেকরোগহতেপারে।‘
‘কিডনীর কাজ পরিচালনার জন্যপানিপানজরুরি, শরীরেরবিষাক্ত উপাদানবেরকরেদেয়াএবংগ্লুকোজসহ অন্যান্যউপাদানঅ্যাবজর্ব করেকিডনী।ফলেতারকাজব্যহতহওয়ামানেপুরোশরীরেরওপরতারনেতিবাচক প্রভাবপড়বে।‘
ঢাকার দুইটি সিটিকর্পোরেশনের হিসাবঅনুযায়ী, রাজধানী শহরেপাবলিকটয়লেটের সংখ্যাএখনসবমিলিয়ে১০০টিরমত।
যদিও এই সংখ্যার একতৃতীয়াংশই ব্যবহার অনুপযোগী বলেওজানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
২০১৫ সালে দুইসিটিকর্পোরেশনের উদ্যোগে আরো৩০টিপাবলিকটয়লেটনির্মাণের উদ্যোগনেয়াহয়,যারসবগুলোএখনোচালুহয়নি।
কিন্তু কর্তৃপক্ষ কেনএব্যপারে কার্যকর ব্যবস্থা নিতেপারছেনা? জানতেচেয়েছিলাম ঢাকাদক্ষিণসিটিকর্পোরেশনেরমেয়রসাইদখোকনেরকাছে।
‘পাবলিকটয়লেটের সমস্যাআগেরমতনেই।এখননতুন৫০টিটয়লেটনির্মাণের কাজচলছে।তবেআমাদেরমূলসমস্যাজমিরসংকট।মানেনতুনটয়লেটবানাতেজমিলাগে, পানিওঅন্যান্য ইউটিলিটির সংযোগলাগে,সবম্যানেজ হলেওজমিরব্যবস্থা করাসময়–সাপেক্ষ ব্যাপার।‘
সরকারী হিসাবে এইমূহুর্তে যেশহরেরজনসংখ্যা প্রায়দুইকোটি, অর্থাৎপ্রতিবর্গকিলোমিটারে প্রায়দুইলক্ষমানুষবাসকরে,সেশহরকেমানুষের জন্যএকটুস্বস্তিকর করতেহলেপাবলিকটয়লেটের সংখ্যাবাড়ানোর জন্যকর্তৃপক্ষের আশুউদ্যোগেরকোনবিকল্পনেই।
সূত্র: বিবিসি বাংলা