সন্তান জন্মের পূর্বাপর মায়েদের করণীয় - Women Words

সন্তান জন্মের পূর্বাপর মায়েদের করণীয়

শিশু জন্মদানের পর গর্ভাবস্থা এবং প্রসবের কঠিন কাজ থেকে মায়ের শরীর পূর্বাবস্থায় ফিরতে শুরু করে। প্রসবের কয়েক সপ্তাহ পরই মায়েদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসে।অনেকের রক্তের অস্বাভাবিক গ্লুকোজ ঘুরতে থাকে। মা হিসেবে আপনার শরীরের কার্যক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা পেতে সক্ষম না হওয়ার ঘটনা আপনাকে বিভ্রান্ত ও ভেঙে পড়তে উৎসাহিত করতে পারে। ভালো হয় আপনার রক্তের গ্লুকোজ মাত্রা কোন পর্যায়ে রয়েছে তা ঘন ঘন পরীক্ষা করা। যাতে রক্তে গ্লুকোজের উঁচু বা নিচু মাত্রা এড়াতে পারেন। এটি করতে হবে যতক্ষণ না আপনি বুঝতে পারেন আপনার শরীরে কতটুকু ইনসুলিন প্রয়োজন। যদি আপনার টাইপ-২ ডায়াবেটিস থাকে, তবে চিকিৎসকই নির্ধারণ করবেন সন্তান প্রসবের পর কোন ওষুধটি প্রয়োগ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সাধারণত গর্ভাবস্থার পূর্বে আপনি যে ওষুধ গ্রহণ করেছিলেন সেই ওষুধই দেওয়া হয়, যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনার ডায়াবেটিস ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ আসে। যদিও সন্তানকে বুকের দুধ দেওয়ার সময় এটি পরিবর্তিত পারে। সন্তান প্রসবের পর শিশুর সঙ্গে বাড়িতে প্রথম সপ্তাহে আপনি ক্লান্ত বোধ করতে পারেন। ঘটনার আগে ও পরে ঘুমের অভাব এবং প্রাত্যহিক সময়সূচিতে ব্যত্যয় ঘটার কারণে এটি হতে পারে। অস্বাভাবিক ঘুমের ধরনগুলো খাবার গ্রহণের ধরনের ভেতর দিয়ে ঘুমের সমস্যাকে আরো বাড়িয়ে দিতে পারে। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিচু হওয়াটাও একটি বিপদ। ফলে গ্লুকোজ প্রতিক্রিয়া দূর করা আপনার শিশুর নিরাপত্তার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ, যা আপনাকে বিভ্রান্ত করতে পারে। এসব কারণেই আপনার রক্তের গ্লুকোজ ঘন ঘন পরীক্ষা করা দরকার। এটি রক্তের গ্লুকোজ মাত্রার সঙ্গে আপনার শরীরে ইনসুলিন ডোজের সামঞ্জস্য করতে সহায়তা করবে। আপনার শিশুর আগমনের সাথে সাথে, শিশুর যত্ন নেওয়ার জন্য আপনাকে নিজের যত্ন নিতে হবে। গর্ভাবস্থায় আপনার রক্তের গ্লুকোজ মাত্রাগুলি লক্ষ্য রাখতে সহায়তা করে এমন অভ্যাসগুলোর ওপর নির্ভর করতে হবে। এসব বিষয় সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য অনুসরণে কয়েকটি টিপস: বিষণ্নতার লক্ষণগুলো পর্যবেক্ষণ করুন। যদি লক্ষণগুলো আপনার কাছে স্পষ্ট হয় তাহলে যে আপনার স্বাস্থ্যের যত্ননেয় তার সঙ্গে কথা বলুন। স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং সঠিক পুষ্টি গ্রহণ করুন। ঘন ঘন রক্তের গ্লুকোজ মাত্রা পরীক্ষা করুন। ঘুম পেলেই ঘুমিয়ে পড়ুন। যখনই আপনার বাচ্চা ঘুমিয়ে পড়বে অথবা বা অন্য কারো কাছে যত্নে থাকবে তখনই নিজে বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টা করুন। প্রতিদিন কিছু সময় নিজের জন্য রাখুন। উষ্ণ গোসল করুন, বই পড়ুনকিংবা বন্ধুর সঙ্গে হাঁটুন। প্রকৃত বন্ধু কিংবা পরিবারের কাছ থেকে সাহায্য অফার গ্রহণ করুন। অকৃত্রিমসাহায্য খোঁজ করুন। বুকের দুধ ডায়াবেটিস আছে এমন নারীদের জন্য সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানো ভালো, কিন্তু এটি আপনার রক্তের গ্লুকোজ নির্ধারণ কিছুটা কঠিন করে তুলতে পারে। বুকের দুধ খাওয়ানোর কারণে রক্তের গ্লুকোজের নিচু মাত্রা প্রতিরোধে সহায়তা করার জন্য টিপসগুলো চেষ্টা করা যেতে পারে: নার্সিংয়ের সময়হালকা খাবার গ্রহণ। পর্যাপ্ত তরল পান করুন (নার্সিংয়ের সময় এক গ্লাস পানি কিংবা ক্যাফেইনমুক্ত পানীয়) রক্তে গ্লুকোজের নিচু মাত্রার চিকিত্সার সময় কিছু একটা কাছে রাখুন যাতে আপনার শিশুকে খাওয়ানো বন্ধ করতে না হয়। বুকের দুধ খাওয়ানো গর্ভাবস্থায় আপনার প্রাপ্ত ওজন কমাতে সাহায্য করবে। যদিও আপনি এটি খুব দ্রুত করার চেষ্টা করবেন না। বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় আপনি সঠিক পরিমাণে তরল, প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজগুলো গ্রহণ করুন। খাদ্য ও পুষ্টি বিষয়ে অভিজ্ঞ কারো সঙ্গে পরামর্শ করে খাদ্যগ্রহণ পরিকল্পনা উপযোগী করতে হবে যাতে আপনি সঠিক পদ্ধতিতে ওজন হ্রাস করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে বুকের দুধ খাওয়ানোর ঘটনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

সূত্র: কালের কন্ঠ