ডিসেম্বর ২০, ২০১৮ - Women Words

Day: ডিসেম্বর ২০, ২০১৮

সিকৃবির প্রথম নারী ডিন হলেন সানজিদা

সিকৃবির প্রথম নারী ডিন হলেন সানজিদা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার একযুগ পর প্রথম নারী ডিন পেয়েছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি)।সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. সানজিদা পারভিন রিতুকে কৃষি প্রকৌশলী ও কারিগরি অনুষদের ডিন হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। রোববার এক অফিস  আদেশের মাধ্যমে তাঁকে এ নিয়োগ দেওয়া হয়। আজ সোমবার (৩ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে ডিনের দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়। ডিনের দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে তিনি সদ্য বিদায়ী ডিন প্রফেসর ড. পীযুষ কান্তি সরকারের স্থলাভিষিক্ত হন। নবনিযুক্ত ডিন ড. সানজিদা পারভিন রিতু ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি পাস করেন। ২০০০ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনার বিষয়ে এমএস ও ২০১২ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর কর্মজীবনের শুরুটা হয় ১৯৯৯ সালে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসাবে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে (BRRI) এবং একই প্রতিষ্ঠানে ২০০৬ সাল থেকে ঊর্ধ্বতন ব
বিশ্বভ্রমণে ইরানী নারী সুপার বাইকার

বিশ্বভ্রমণে ইরানী নারী সুপার বাইকার

ইরানী নারী সুপার বাইকার মারাল ইয়াজারলো-প্যাট্রিক। তিনি এখন বিশ্বরেকর্ড ভঙ্গকারী সুপার বাইকার হিসেবে পরিচিত। ইরানে নারীদের প্রতি আচরণ পরিবর্তনে বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ শুরু করেছেন। ইরানে আব্রু আইনের জন্য নারীদের মোটরগাড়ি চালানো নিষিদ্ধ। তবে তিনিই প্রথম নারী যিনি কোনরকম আটকাদেশ ছাড়া দেশটিতে মোটরবাইক নিয়ে প্রবেশ করেছেন। -বিবিসি
তিন নারীকে সম্মাননা দিল সিলেট উইমেন্স চেম্বার

তিন নারীকে সম্মাননা দিল সিলেট উইমেন্স চেম্বার

তিন নারী উদ্যোক্তাকে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে সিলেট উইমেন্স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ। নির্ভীক নারী উদ্যোক্তা হিসেবে সাংবাদিক বিলকিস আক্তার সুমি, তরুণ নারী উদ্যোক্তা হিসেবে রন্ধন শিল্পী সাবরিনা খান ও সৃজনশীল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে কণ্ঠশিল্পী লাভলী দেবকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির আয়োজনে নগরীর পুলিশ লাইনস উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গতকাল শুক্রবার বসন্ত উৎসব ১৪২৩ অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবেই সকালে তিন নারী উদ্যোক্তার হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আব্দুল মোমেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড.এ কে মোমেন বলেন, পুরুষের পাশাপাশি নারীরা এক সাথে কাজ করলে দেশ ও সমাজ এগিয়ে যাবে। নারীদের কাজে পুরুষদের সহায়তার আহ্বান জানান তিনি। মমতাজ হারবাল প্রডাক্টের সহায়তায় দিনব্যাপী আয়োজিত উৎসবে নারী উদ্যোক্তাদের রকমারি
প্রতিবন্ধীদের স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে এলেন নেহা

প্রতিবন্ধীদের স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে এলেন নেহা

ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখতেন সারা পৃথিবী ঘুরবেন। কল্পনায় ভর করে চলে যেতেন বইয়ের পাতায় দেখা সুন্দর জায়গাগুলোয়। স্কুলে সব বন্ধুরা যখন গল্প করত যে গরমের ছুটিতে কোথায় ঘুরতে গিয়েছিল তখন চুপ করে শোনা ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না মেয়েটার। কারণ যত ইচ্ছাই থাকুক না কেন, ছোটবেলা থেকে কোনদিনই বাবা-মার সঙ্গে ঘুরতে যেতে পারেনি মেয়েটি। neha 1 -womenwords তার একমাত্র কারণ ছিল তার বাবা-মায়ের শারীরিক প্রতিবন্ধকতা। এক-দুবার ঘুরতে গিয়েছিলেন পরিবারের সঙ্গে। কিন্তু সর্বদাই তাকে আর তার পরিবারকে নানা সমস্যায় পড়তে হয়েছে। সাহায্যের পরিবর্তে শুধুমাত্র সমবেদনাই জানিয়েছে সবাই। তাই একসময় ঘুরতে যাওয়ার সাহসই হারিয়ে ফেলেছিলেন দিল্লির নেহা অরোরা। কিন্তু জীবনযুদ্ধে হারার পাত্রী নন তিনি। তার মতো যাতে অন্য কেউ এই পরিস্থিতির শিকার না হন তাই নিজের কর্পোরেট চাকরি ছেড়ে ট্রাভেল এজেন্সি খুলেছেন নেহা। নাম দিয়েছেন ‘প্ল্যানেট অ্যাবলেড’।
যেভাবে ১০০ কোটি টাকার মালিক হলেন তিনি!

যেভাবে ১০০ কোটি টাকার মালিক হলেন তিনি!

কোনও গল্প নয়। সমাজের পিছিয়ে পড়া আদিবাসী এক নারীর জীবনের লড়াইয়ের কাহিনী। যিনি জীবনে শত বাধা সত্ত্বেও উঠে দাঁড়িয়ে বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন। শুধু নিজের জন্য নয়, সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের জীবনের মানোন্নয়নে এগিয়ে এসেছেন। কিশোরী বয়সে মাত্র দুই টাকা রোজে দিন শুরু করে এখন তিনি কোটি টাকার মালিক, অন্যতম নারী উদ্যোক্তা। তিনি কল্পনা সরোজ। ভারতের মহারাষ্ট্রের আকোলা জেলায় একটি ছোট গ্রাম রূপরখেড়ায় ১৯৬১ সালে এক দলিত পরিবারে তার জন্ম। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, ১২ বছর বয়স হতে না হতেই কল্পনার বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর কল্পনা চলে যান মুম্বাই। তবে শ্বশুরবাড়িতে ভালো পরিবেশ ও খাওয়া পাওয়া তো দুরস্থান, কল্পনার উপরে রীতিমতো অত্যাচার করা হতো। এই অবস্থা ছয় মাস চলার পরে তার বাবা মেয়েকে নিয়ে গ্রামে ফিরে যান। তবে কোনও মেয়ে শ্বশুর বাড়ি থেকে ফিরে এলে সেইসময়ে গ্রামের সমাজ তাঁকে হীন দৃষ্টিতে দেখত। কল্পনার সঙ্গেও স
চা বিক্রি করে কোটিপতি

চা বিক্রি করে কোটিপতি

যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের এক নারী শুধু c। তার নাম ব্রুক এডি। খবর এনডিটিভি। শুধু তাই নয়, উঠতি ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রথম পাঁচে নিজের জায়গা পাকা করে নিয়েছেন। সফল ব্যবসায়ী হিসেবে খেতাবও পেয়েছেন তিনি। ঘটনার শুরু ২০০২ সালের। ব্রুক এডি ভারতে ঘুরতে এসেছিলেন। ঘুরতে এসে ভারতীয় চা খেয়ে রীতিমতো ওই চায়ের প্রেমে পড়ে গেলেন। ভেবেছিলেন নিজের দেশ যুক্তরাষ্ট্রেও এ রকম চা পাবেন তিনি। তবে চার বছর পর দেশে ফিরে হতাশ হতে হয়েছিল ব্রুককে। কোথাও ভারতীয় চায়ের মতো স্বাদ পাননি তিনি। তাই উদ্যোগটা নিয়েছিলেন। খুলেছিলেন নিজের ভারতীয় চায়ের স্টল। নাম ভক্তি চা। একজন মার্কিনী হয়ে ভারতীয় চায়ের স্টল খুলে ২০০৭ সাল থেকে যে ব্যবসা শুরু করেন তিনি । আর এখন ২০১৮ সালে এসে তিনি কোটিপতি। যুক্তরাষ্ট্রের একটি ম্যাগাজিনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রুকের বিশেষত্ব চায়ের ইনফিউশন। ভারতীয় চা’কে মার্কিনী মোড়কে পেশ করেন ব্রু
মডেল কন্যার আত্মহত্যা : একজন গ্রেপ্তার

মডেল কন্যার আত্মহত্যা : একজন গ্রেপ্তার

গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন মডেল সাবিরা হোসাইন। আজ মঙ্গলবার (২৪ মে) ভোর ৫টা নাগাদ মিরপুরের রূপনগরে সাবলেটে বাসা থেকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সাবিরার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই বাসায় সাবিরা একাই থাকতেন। ফেসবুকে নিজের আত্মহত্যার বিষয়ে ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন তিনি। আত্মহত্যার আগে ফেসবুক দেওয়া স্ট্যাটাস থেকে ধারণা করা হচ্ছে, প্রেমঘটিত কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।সাবিরা হোসাইন বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজের মডেলিং এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন একই সাথে মোহনা টেলিভিশন এবং পরবর্তীতে গান বাংলা টেলিভিশনের মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।sabira-hossain-3-Women-words এ ঘটনায় প্রেমিক নির্ঝরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে নির্ঝর ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে রূপনগর থানায় মামলা দায়ের করেন সাবিরার মা দিলশাদ কাদির। এরপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার সকালে আত্মহত্যার আগে প্রেমিক নির্ঝর সিনহা
পরকীয়া নিয়ে ভারতের সুপ্রীম কোর্টের রায় ও কিছু কথা

পরকীয়া নিয়ে ভারতের সুপ্রীম কোর্টের রায় ও কিছু কথা

তমিস্রা তিথি পরকীয়া নিয়ে বেশ হুলুস্থুল হলো ভারতীয় সুপ্রীম কোর্টের রায়ে। পরকীয়া কি জানার আগে জানতে হবে মানুষের প্রবনতাকে, প্রায় সব সমাজবিজ্ঞানীরা স্বীকার করেছেন মানুষের প্রবণতা হলো বহুগামিতা। এখন বহুগামিতা ব্যাপার টা কি? বহুগামিতা মানে শুধুই যৌনতা নয় বা যৌনতা নির্ভর নয়। আদিম মানুষ দলবদ্ধ থেকেছে, তখন পরিবার প্রথার উদ্ভব হয়নি, মানুষের জীবন ছিলো প্রকৃতির আইনে চালিত। প্রকৃতি ও প্রবণতা তাকে যা বলেছে, সে তার ঐ প্রবনতা বা ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে চলেছে। তারপর সম্পত্তির ধারণা বিকাশ লাভ করলো, সৃষ্টি হলো ট্রাইব বা কৌম, কৌমের অধিপতি তার সম্পত্তি নারীদেরকে রক্ষা করতেন! নারী তখন তার সবটুকু মর্যাদা হারিয়ে হয়ে গেলো সম্পত্তি। ধর্ম এসে নারীর শরীর কেন্দ্রিক সতীত্ব ধারণার জন্ম দিলো। নারীর ডানা কেটে তাকে খাঁচায় পুরে পুরুষ সমাজ, ধর্মের হর্তাকর্তা সবাই বেশ নিশ্চিন্ত হলেন, কিন্তু নিজেরা কেমন যেনো ‘ঘরকা মুরগী ডাল
বাংলাদেশের ২ হাজার মেয়েকে মুখ খুলতে হবে: তসলিমা

বাংলাদেশের ২ হাজার মেয়েকে মুখ খুলতে হবে: তসলিমা

প্রখ্যাত নারীবাদী লেখিকা তসলিমা নাসরিন শুরু থেকেই #মিটু আন্দোলনের সমর্থন দিয়ে আসছেন। তিনি নিজেই তার জীবনের অনেক নিপীড়নের গল্প প্রকাশ করেছেন বইয়ের পাতায়। এবার তিনি মুখ খুললেন বাংলাদেশে #মিটু আন্দোলন নিয়ে। এখন পর্যন্ত দুজন নারী সোশ্যাল সাইটে ‘যৌন হয়রানির শিকার হওয়া’র দাবি করে সোশ্যাল সাইটে মুখ খুলেছেন। তসলিমার মতে, এই প্রতিবাদীর সংখ্যা আরও বেশি হওয়া উচিত। নিজের ভেরিফায়েড ফেসুক অ্যাকাউন্টে তসলিমা লিখেছেন, ‘বিশ্বজোড়া #মিটু আন্দোলন চলছে। বাংলাদেশের মাত্র দুটি মেয়ে মুখ খুলেছে। দুটি নয়, দুই হাজার মেয়েকে মুখ খুলতে হবে। মেয়ে দুটি বিদেশে থাকে। বিদেশ থেকে নয়, বাংলাদেশ থেকে বলতে হবে কোন নামি দামি ভদ্রলোক তাদের যৌন হেনস্থা করেছে। বলেছে বলে কাউকে নিশ্চয়ই তসলিমার মতো নিগৃহীত হতে হবে না। যদি হতে হয় তাহলে বুঝতে হবে সমাজ সামান্যও বদলায়নি। দুইশ বছর আগে যা ছিল, দুইদশক আগে যা ছিল, এখনও তাই আছে।’
লজ্জিত হই কিন্তু দমে যাই না…স্বপ্ন দেখতে ভালো লাগে

লজ্জিত হই কিন্তু দমে যাই না…স্বপ্ন দেখতে ভালো লাগে

ফজিলাতুন্নেসা শাপলা দেশে ফেরার পর যখনই শিক্ষা ক্ষেত্রে কোন ভালো উদাহরণ দিতে গেছি, তখনই আমাকে নানা রকম প্রতিকূল ভাবনার মুখোমুখি হতে হয়েছে। শুনতে হয়েছে,“বাংলাদেশ তো আর জাপান না। খামোখা ঐ দেশের উদাহরণ এই দেশে টেনে এনে কী লাভ?”অনেকেই নানাভাবে আমাকে লজ্জা দেন। আমি তাতেও দমে যাই না। লজ্জিত হইনা। বারবার করে নানা উদাহরণ টেনে আনি। কারণ জাপানও আমাদের মতো অবস্থায় ছিলো। জাপানিজরা আচার আচরণে বরাবরই ছিলো গোঁড়া এবং শিক্ষা ব্যবস্থা ছিলো আমাদের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার মতো। জাপানিজ শিক্ষা ব্যবস্থাকে পূণর্গঠণ করা হয়েছে খুব বেশি দিন হয়নি। জাপান মানেই চোখে ভেসে ওঠে সামুরাইদের চেহারা। একসময় জাপানিজরা নিষ্ঠুর জাতি হিসেবে গোটা বিশ্বে পরিচিত ছিল। অন্যদের কাছে থেকে জাপানিজদের শিক্ষা-দীক্ষা নেবার ব্যাপারে ছিল চরম উন্নাসিকতা। এদো (edo) পিরিয়ডে পশ্চিমাদের সাথে মেশার ব্যাপারে আইন ছিল খুব কড়া। কোন জাপানিজ লেখা-পড়া