মেয়েদের বিয়ের বয়স শর্তহীনভাবে ১৮ রাখার দাবি - Women Words

মেয়েদের বিয়ের বয়স শর্তহীনভাবে ১৮ রাখার দাবি

নারী অধিকার কর্মীরা বলেছেন, শর্তহীনভাবে মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ রাখতে হবে। কোনো অবস্থাতেই শর্ত জুড়ে দিয়ে বিয়ের বয়স কমানো যাবে না। এটি করা হলে তা হবে সর্বনাশা।

রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ কথা বলেন তারা। মেয়েদের ন্যূনতম বিয়ের বয়স ১৮ রাখার দাবিতে নারী সাংবাদিক কেন্দ্র, পেশাজীবী নারী সমাজ, জাতীয় নারী জোট, কর্মজীবী নারী ও জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম যৌথভাবে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।

নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু বলেন, ‘বর্তমানে সরকার যে আইনের খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে, তা পাস হলে সেটি হবে দেশ, নারী সমাজ ও জাতীয় উন্নয়নের জন্য সর্বনাশা। ১৮ বছরের নিচে কোনো মেয়ের বিয়ে হলে তা হবে নারীর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। একই সঙ্গে সে অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর জন্ম দেবে। ফলে মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর হার বেড়ে যাবে। এ ছাড়া এই আইন পাস হলে দুর্বৃত্তরা সুযোগ পাবে। ব্রিটিশ শাসনামলে ১৯২৯ সালের বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনেই বিয়ের বয়স ১৮ করা হয়। এখন  অজুহাত দেখিয়ে বিয়ের বয়স কমানো হলে তা হবে ৮৭ বছর এগিয়ে এসে আবার পেছনে চলে যাওয়া।’ তিনি এই সর্বনাশা আইন না পাস করার দাবি জানান।

জাতীয় নারী জোটের পক্ষে উম্মে হাসান ঝলমল বলেন, ‘আইনের এই খসড়ায় মেয়েদের বিশেষ সুযোগে ১৮ বছরের আগে বিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সরকার এই সুযোগ দিয়ে সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশিরভাগ মেয়েই দেরিতে বিয়ে করছে। তাই মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ের সুযোগ দিয়ে আমরা ধর্ষণকারীদের হাতে আইন তুলে দিতে পারি না।’

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের পক্ষে আহসানা জামান পপি, পেশাজীবী নারী সমাজের পক্ষে নারগিস জাহান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সদস্য তাসকিনা ইয়াসমিন, দিলরুবা খান, সেবিকা দেবনাথ, ইহিতা জলিল, মাহমুদা আক্তার, মোমেনা পলি প্রমুখ।

গত ২৪ নভেম্বর বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনের খসড়া অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এতে মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ রাখা হলেও বাবা-মা চাইলে আদালতের অনুমতি নিয়ে আগেই বিয়ে দিতে পারবে এমন ধারা যুক্ত করা হয়।

সূত্র: সমকাল