অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার তদন্ত বন্ধ করছে সুইডেন - Women Words

অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার তদন্ত বন্ধ করছে সুইডেন

উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার তদন্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুইডেন। সুইডেনের পাবলিক প্রসিকিউশন দফতরের পরিচালক জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেছেন।

২০১০ সালে উইকিলিকস যুক্তরাষ্ট্রের বিপুল সংখ্যক কূটনৈতিক নথি ফাঁস করে দিলে স্পর্শকাতর বিভিন্ন ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ও অবস্থানের তথ্য গণমাধ্যমে চলে আসে। ফলে তাতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেকায়দায় পড়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। ওই সময়ই বিশ্বব্যাপী আলোচনায় আসেন অ্যাসাঞ্জ।

ওই বছরই সুইডেনে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন দুই নারী। এক পর্যায়ে সুইডিশ পুলিশ অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

সুইডেনের অনুরোধে যুক্তরাজ্যের পুলিশ ২০১০ সালের ৭ ডিসেম্বর অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তার করলেও নয় দিন পর কঠিন কয়েকটি শর্তে জামিন পান তিনি।

পাসপোর্ট জমা রেখে দিনরাত গোড়ালিতে ইলেকট্রনিক ট্যাগ পরা অবস্থায় এক বন্ধুর বাড়িতে থাকার এবং প্রতিদিন থানায় হাজিরা দেওয়ার শর্তে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

এরপর অ্যাসাঞ্জ উচ্চ আদালতে গেলেও তাকে সুইডেনের কাছে হস্তান্তরের পক্ষে রায় আসে। ওই অবস্থায় ২০১২ সালের ১৯ জুন লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে ঢুকে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন অ্যাসাঞ্জ।

জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ সব সময় তাঁর বিরুদ্ধে আনা ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন।

তবে সুইডিশ কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে তদন্ত বন্ধ করলেও তিনি এখনো গ্রেপ্তারের ঝুঁকির মধ্যেই আছেন। ইকুয়েডরের দূতাবাস ছেড়ে বেরিয়ে এলে তাকে বৃটিশ কর্তৃপক্ষ গ্রেপ্তার করে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়ে দিতে পারে।