নির্বাচনে পরাজয়ের জন্য মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (এফবিআই) পরিচালক জেমস কমিকে দায়ি করলেন হিলারি ক্লিনটন। হিলারির অভিযোগ, নির্বাচনের মাত্র এক সপ্তাহ আগে তার ইমেইল নিয়ে পুনরায় তদন্তের হঠাৎ ঘোষণা নির্বাচনী প্রচারণার শক্তি নষ্ট করে দিয়েছিল।
পার্টির দাতাদের সঙ্গে হিলারির ফাঁস হওয়া এক টেলিফোন আলাপ থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
হিলারি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে রাষ্ট্রীয় তথ্য আদানপ্রদানে ব্যক্তিগত ইমেইল সার্ভার ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০১৫ সালে প্রথম তার বিরুদ্ধে অভিযোগটি উঠলেও তদন্তের পর গুরুতর কিছু পাওয়া যায়নি বলে এফবিআই জানিয়েছিল। এ কারণে তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না আনার সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি।
তবে নির্বাচনের মাত্র দশদিন আগে জেমস কমি কংগ্রেসকে জানান তিনি নতুন কিছু ইমেইল এর সন্ধান পেয়েছেন এবং সেগুলো নিয়ে পুনরায় তদন্ত করবেন।
তবে নির্বাচনের মাত্র দুদিন আগে আবারো এক চিঠিতে জানিয়েছিলেন যে গুরুতর কিছু পাওয়া যায়নি বলে তিনি তার পূর্ববর্তী অবস্থানেই ফিরে যাচ্ছেন।
রিপাবলিকান পার্টির সমর্থকরা অনেকেই বলছিলেন, হিলারি ক্লিনটনকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সহায়তা দেয়া হচ্ছে যাতে তার বিরুদ্ধে কোন তদন্ত না হয়।
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসনে ২০০৯ থেকে ১৩ সাল পর্যন্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন হিলারি ক্লিনটন।
নির্বাচনে হারের পর থেকে তাকে প্রকাশ্যে খুব একটা দেখা যাচ্ছে না।
তবে বিশ্লেষকরা মনে করেন, নির্বাচনের আগমুহূর্তে ইমেইল কেলেঙ্কারির বিষয়টি আবার উঠে আসার কারণে হিলারি ক্লিনটনের উপর আমেরিকানদের বিশ্বাসের ঘাটতি তৈরি হয়েছিলো। এই ঘটনাটি অনেক ভোটারের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে তারা বলছেন।
হিলারি বলেছেন, জেমস কমির এসব অভিযোগের পর প্রচারণার গতি বরং আরো বাড়িয়ে দেয়া উচিত ছিলো।