যাত্রাবাড়ীতে জোড়া খুনের ঘটনায় ২ জনের মৃত্যুদন্ড - Women Words

যাত্রাবাড়ীতে জোড়া খুনের ঘটনায় ২ জনের মৃত্যুদন্ড

ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে এক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী ও কিশোরী গৃহকর্মীকে হত্যার দায়ে ওই গৃহকর্মীর ভাই ও তার এক বন্ধুকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দুই আসামিকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।

মঙ্গলবার ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রহমান সরদার এই রায় ঘোষণা করেন।

আদালতের পেশকার আবুল কালাম আজাদ জানান, দুই আসামি সাঈদ হাওলাদার ও রিয়াজ নাগরালী এ সময় কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

উত্তর যাত্রাবাড়ীর কলাপট্টির একটি বাসা থেকে ২০১৫ সালের ২৪ মার্চ রাতে অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল কুদ্দুসের স্ত্রী রওশন আরা বেগম (৬৩) এবং গৃহকর্মী কল্পনার (১২) গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস ১৯৯৪ সালে মারা যান। তাদের দুই মেয়ে ও তিন ছেলের সবাই বিদেশে থাকেন। কল্পনাকে নিয়ে তিন তলা ওই বাড়ির দ্বিতীয় তলায় থাকতেন রওশন আরা।

রওশনের ভাই মোয়াজ্জেম হোসেন পরদিন যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে বলেন, কল্পনার পরিচিতরা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে বলে তার সন্দেহ।

হত্যাকাণ্ডের দুদিন পর শাহজাহানপুর থেকে কল্পনার ভাই সাঈদ হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে যাত্রাবাড়ি পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন, দশ হাজার টাকা চাওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বন্ধু রিয়াজকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ওই হত্যাকাণ্ড ঘটান।

টেবিল থেকে ছুরি নিয়ে রওশন আরার গলায় চালিয়ে দেওয়ার ঘটনা কল্পনা দেখে ফেলায় তাকেও হত্যার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেন তার ভাই।

পুলিশ সে সময় বলেছিল, বোনের কাজের সুবাদে ওই বাসায় প্রায়ই যাওয়া আসা ছিল সাঈদের। রওশন আরাকে তিনি ‘নানু’ ডাকতেন।

হত্যাকাণ্ডের পর ওই বাসা থেকে ১৪ হাজার টাকা, ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায় আসামিরা। গ্রেপ্তার হওয়ার পর তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন।

এ মামলার তদন্ত শেষে যাত্রাবাড়ী থানার উপ পরিদর্শক ইকবাল হোসেন আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।

বাদীপক্ষে মোট ১১ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়।

সূত্র: বিডিনিউজ২৪