ডাক বিভাগের গাড়িতে প্রথমবারের মত নারী চালক - Women Words

ডাক বিভাগের গাড়িতে প্রথমবারের মত নারী চালক

প্রথমবারের মত বাংলাদেশ ডাক বিভাগের গাড়িতে নারী চালক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। উনিশটি নতুন গাড়ির দশটিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাদেরকে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম রোববার ঢাকার ডাক ভবন চত্বরে ১০টি গাড়ির চাবি তুলে দেন দশজন নারী চালকের হাতে।

ডাক বিভাগের ‘ডাক পরিবহন ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্পের আওতায় নতুন ১১৮টি যানবাহনের ২০ শতাংশে নারী চালক থাকবেন বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

উনিশটি যানবাহন যুক্ত হওয়া সাফল্যের একটুখানি ঝলক দেখার মতো জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, যানবহনগুলো একনেকে অনুমোদনের পর দ্রুত যেন চলে আসে তার জন্য তাগাদা দিচ্ছিলাম। যানবাহনগুলো ডাক বিভাগের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নববর্ষের উপহার।

প্রকল্পের আওতায় ২০ শতাংশ নারী চালক নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশনা ছিল বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

তারানা হালিম বলেন, এটি খুব সুন্দর দৃষ্টান্ত হবে। আমাদের মেয়েরা হেভি ভেহিকেল চালনার জন্য প্রশিক্ষিত ও সঠিক লাইসেন্সপ্রাপ্ত ।

নারী চালকরা যখন গ্রামাঞ্চলে বা শহরের রাস্তায় এই গাড়িগুলো চালাবেন তখন সেটি হবে দর্শনীয়, প্রশংসা করার মতো একটি কাজ।’

নারী চালকরা যেন নিয়োগপত্র ও বেতন-ভাতা সঠিক নিয়মে পান সে বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।

প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে ৯টি ওপেন বডি পিকআপ ভ্যান ও ১০টি কাভার্ডভ্যান সরবরাহ করা হয়েছে জানিয়ে তারানা বলেন, অবশিষ্ট গাড়িগুলো আগামী জুন মাসের মধ্যে পাওয়া যাবে। গাড়ি কেনার পাশাপাশি এ প্রকল্পের আওতায় ৩৩টি গ্যারেজ নির্মাণ করা হবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ডাক বিভাগের সড়কপথে নিজস্ব পরিবহন না থাকায় ভাড়া বা চুক্তির মাধ্যমে ডাক পরিবহন করতে হচ্ছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে বাণিজ্যিক পার্সেল ও লজিস্টিক পরিবহন ব্যবস্থার প্রবর্তন হবে।
 
প্রতিটি ডাকঘরে সেবার ধরন বাড়ানোর কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। পোস্ট অফিসগুলোকে ‘বিশেষ ব্যাংক’ হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনাও সরকারের রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘পোস্ট অফিস বিশেষ ব্যাংক হিসেবে যাত্রা শুরু করলে পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। এজন্য সমস্ত কাজ শেষ হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফাইল পাঠাব। তিনি বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন, আমরা এখন বিস্তারিত পাঠাব।’

প্রস্তাবিত পোস্ট ব্যাংক নিয়ে নিজের কিছু স্বপ্নের কথাও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন তারানা হালিম।

“বিশেষ একটি কাজ করতে চাই। এখানে প্রত্যেক বাবা-মা তাদের কন্যার লেখাপড়ার জন্য মাত্র পাঁচ টাকা দিয়ে একটি ফিক্সড ডিপোজিট হিসাব খুলতে পারবেন।

“সরকারের কাছে আমরা প্রস্তাব করব, সেখানে একটু যদি ইনসেনটিভ দেয়, তাহলে কন্যার বয়স যখন ১৮ বছর হবে তখন সেটি আমরা কন্যার হাতে তুলে দিতে চাই। এই অংশটি দিয়ে সে ভবিষ্যতে লেখাপড়ার জীবনটি কনটিনিউ করতে পারবে।”