আত্মহত্যার প্ররোচনায় সিফাতের স্বামীর ১০ বছরের জেল - Women Words

আত্মহত্যার প্ররোচনায় সিফাতের স্বামীর ১০ বছরের জেল

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ওয়াহিদা সিফাতকে আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে তাঁর স্বামীকে ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ সোমবার এই রায় ঘোষণা করেন।

সিফাতের শ্বশুর–শাশুড়িসহ বাকি তিনজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

আলোচিত মামলার রায়ে আদালত বলেছেন, সিফাতকে হত্যা করার অভিযোগ প্রমাণত হয়নি। যৌতুক চাওয়ার ঘটনাও প্রমাণিত হয়নি। তবে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁর স্বামী মো. আসিফকে ১০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।

সিফাতকে ১০ বছরের সাজার পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

খালাস পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন সিফাতের শ্বশুর আইনজীবী মো. হোসেন রমজান, শাশুড়ি নাজমুন নাহার এবং ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান জুবায়েদ রহমান।

রায়ের পর সিফাতের মা ফারজানা বানু বলেন, তাঁরা এ রায়ে মোটেও সন্তুষ্ট নন। সিফাত আত্মহত্যা করেননি। তাঁকে খুন করা হয়েছিল। এই রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা উচ্চ আদালতে যাবেন।

রায় ঘোষণার সময় আসিফকে আদালতে হাজির করা হয়। বাকি তিনজন আসামিও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৯ মার্চ সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগরের মহিষবাথান এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে ওয়াহিদা সিফাতের মৃত্যু হয়। তাঁর আড়াই বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। ঘটনার চার দিন পর ওয়াহিদার চাচা মিজানুর রহমান খন্দকার রাজপাড়া থানায় ২০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ এনে মামলা করেন। মামলায় সিফাতের স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে আসামি করা হয়। পুলিশ পরে এই তিনজন এবং সিফাতের মরদেহের প্রথম ময়নাতদন্তকারী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক জুবায়দুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। মামলাটি পরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।

যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ১২ ফেব্রুয়ারি মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।