মাহবুবুল হক শাকিলের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। শাকিল ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী।
শোক জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাহবুবুল হক শাকিল রাজধানীর গুলশানের একটি রেস্তোরাঁয় মঙ্গলবার হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ইন্না লিল্লাহি….রাজিউন।তার বয়স হয়েছিল ৪৭ বছর।
মৃত্যুকালে তিনি শোকাহত স্ত্রী, এক কন্যা, অসংখ্য আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব, শুভাকাংখী রেখে গেছেন। তার পিতা এডভোকেট জহিরুল হক খোকা ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগ বর্তমান সভাপতি।
তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেসসচিব আসিফ কবির। দুপুরের দিকে গুলশান-২-এর সামদাদো জাপানিজ কুইজিন নামের রেস্তোরাঁয় মাহবুবুল হক শাকিল মারা যান।
ঘটনাস্থল ঘুরে এসে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘শাকিল আর আমাদের মাঝে নেই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।’
বিকেলের দিকে ওই রেস্তোরাঁর সামনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের বলেন, শাকিলের মরদেহ বারডেমের হিমঘরে রাখা হবে। আগামীকাল বুধবার তাঁর ময়নাতদন্ত করা হবে। পরে বেলা ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে তাঁর প্রথম জানাজা হবে। সেখান থেকে মরদেহ তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহের বাগমারায় নেওয়া হবে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর এই বিশেষ সহকারীর মৃত্যুসংবাদ শুনে সামদাদোতে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, ইহসানুল করিম, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিন, আওয়ামী লীগের ও সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান,৭১ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু, এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী মুন্নী সাহা ও সাংবাদিক জুলফিকার আলী মানিকসহ পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে, জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সামদাদো রেস্তোরাঁর পাঁচ কর্মীকে নিয়ে গেছে গুলশান থানা-পুলিশ।
সূত্র: প্রথম আলো, সমকাল