গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারার অভিযোগ থেকে কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাহমিদ হাসিব খান ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম নূর নবী এই আদেশ দেন।
আদালতে গত ২৮ সেপ্টেম্বর এক প্রতিবেদন জমা দিয়ে তাহমিদকে ৫৪ ধারার অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদন জানায় পুলিশ। তদন্তে তাহমিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় তাঁকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়। এই আবেদনের ওপর আজ বুধবার শুনানি হয়। শুনানি শেষে এই আদেশ দেন আদালত।
গুলশান হামলার ঘটনায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তাহমিদ। আদালত গত ২ অক্টোবর তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। ওই দিন রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
তাহমিদের মতো হাসনাত করিমও ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তবে ১৩ আগস্ট তাঁকে হলি আর্টিজানে হামলার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
গত ১ জুলাই হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। জঙ্গিরা দেশী-বিদেশী নাগরিকদের জিম্মি করে ২০ জনকে হত্যা করে। জঙ্গিদের ছোড়া বোমায় পুলিশের দুই কর্মকর্তাও নিহত হন। ২ জুলাই সকালে সেনা কমান্ডোরা অভিযান চালিয়ে রেস্তোরাঁটি থেকে ১৩ জনকে উদ্ধার করেন। তাঁদের মধ্যে আটজনকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হলেও হাসনাত ও তাহমিদ ছাড়া অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
৮ জুলাই পুলিশ হাসনাত ও তাহমিদকে ছেড়ে দেওয়ার কথা জানায়, কিন্তু তাদের পরিবারের সদস্যরা জানান যে তাঁরা বাসায় ফিরে যাননি।
গুলশানের ওই রেস্তোরাঁয় ১ জুলাইয়ের জিম্মি দশার একটি ভিডিওচিত্র প্রকাশের পর হাসনাতের বিরুদ্ধে হামলায় সম্পৃক্ততার সন্দেহের কথা উঠে আসে ফেইসবুকে। গুলশানের ঘটনার একদিন আগে দেশে ফিরেন তাহমিদ। ঘটনার দিন ইফতারের পর বন্ধুদের সঙ্গে তিনি ওই ক্যাফেতে গিয়েছিলেন বলে পরিবারের ভাষ্য।
ঘটনার কয়েকদিন পর ঢাকার পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া এই দুজনের হামলায় সম্পৃক্ততার সন্দেহের কথা জানিয়েছিলেন।