নারী হোটেল শ্রমিককে ধর্ষণের পর হত্যা - Women Words

নারী হোটেল শ্রমিককে ধর্ষণের পর হত্যা

যশোরে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে ছায়া খাতুন (১৯) নামে এক নারী হোটেল শ্রমিক খুন হয়েছেন। কোতোয়ালি থানার ওসি এ কে এম আজমল হুদা জানান, ধর্ষণের পর তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। রোববার সকালে শহরের মণিহার সিনেমা হল এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার হয়।

নিহত ছায়া খাতুন জেলার শার্শা উপজেলার ত্রিমোহিনী গ্রামের ইমান আলীর মেয়ে। তিনি শহরের মণিহার সিনেমা হল এলাকায় মফিজুর রহমান বাবুর হোটেলে কাজ করতেন।

বাংলাদেশ হোটেল রেস্তোরাঁ মিষ্টি বেকারি শ্রমিক ইউনিয়ন যশোর জেলার সাধারণ সম্পাদক তাইজুল ইসলাম জানান, সপ্তাহ তিনেক আগে ছায়া খাতুন ওই হোটেলে কাজ নিয়েছিলেন। ওই হোটেলের তৃতীয় তলার একটি টিনশেড ঘরে সহকর্মী আমেনা বেগম ও ছায়া থাকতেন। রোববার ভোরে তারা খবর পান ছায়াকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় ছায়ার গলায় তিনটি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃতদেহটি কাঁথা দিয়ে ঢাকা রয়েছে। এ সময় তার শরীরে কোনো পোশাক ছিল না। পরে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

কোতোয়ালি থানার এসআই মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পাই একটি মেয়ের লাশ পড়ে আছে। তার গলায় ছুরিকাঘাতের তিনটি চিহ্ন রয়েছে। মেয়েটির শরীরে কাপড় ছিল না। তবে রক্তে ভেজা একটি কাঁথা দিয়ে মৃতদেহটি ঢাকা ছিল। ঘর থেকে একটি জন্ম নিবন্ধন কার্ড পাই। সেখান থেকে তার নাম-ঠিকানা জানতে পারি। আমার ধারণা, দুর্বৃত্তরা ছায়াকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে। লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ‘

যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি এ কে এম আজমল হুদা জানান, মফিজুর রহমান বাবুর রেস্তোরাঁ কর্মী ছায়া হোটেল ভবনের তিন তলায় আরেক কর্মী আমেনা বেগমের সঙ্গে থাকতেন। দ্বিতীয় তলায় হোটেল মালিক বাবু তার স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করেন। হত্যা রহস্য উদ্ঘাটনে হোটেল মালিক মফিজুর রহমান বাবু, তার স্ত্রী নাসিমা খাতুন এবং একই হোটেলের কর্মী আমেনা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

সূত্র: কালের কন্ঠ