ধর্ষণ নিয়ে মুম্বাই হাইকোর্টের নতুন রায় - Women Words

ধর্ষণ নিয়ে মুম্বাই হাইকোর্টের নতুন রায়

অভিনয় শাহির বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের হলে, তিনি জামিনের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু, মৃদুলা ভাটকরের আদালত তা খারিজ করে দেন এই বলে যে, কোনো মহিলা মদ্যপ অবস্থায় যৌনমিলনে হ্যাঁ বললেও, তা না-ই। ‘পিঙ্ক’ ছবিতে বলা হয়েছিল না মানে না-ই! কিন্তু একটি ধর্ষণ মামলার রায় শোনাতে গিয়ে বিচারক বললেন, হ্যাঁ মানেও না, যদি ধর্ষিতা সজ্ঞানে না থাকেন।

ঘটনাটি ভারতের পুনের। অভিনয় শাহি নামে এক ব্যক্তি, বন্ধুদের সঙ্গে মিলে তার এক সহকর্মীকে ধর্ষণ করেছে বলে মুম্বাই হাইকোর্টে মামলা রুজু হয়। এবং সেখানে অভিযুক্ত অভিনয় শাহির জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক মৃদুলা ভাটকর।

ঘটনার কথা জানাতে গিয়ে, অভিনয় শাহির পক্ষের আইনজীবী দাবি করেন যে, শাহির ওই মহিলা সহকর্মী যৌনমিলনে সম্মতি দিয়েছিলেন। এবং তিনি মদ্যপানও করেছিলেন নিজের ইচ্ছেতেই। তিনি  আরও বলেন, ওই মহিলা চারবার ককটেল পান করেন, এবং তারপরে শাহি তাঁকে বন্ধুর বাড়ি নিয়ে যায়।

যদিও, অভিযোগকারিণীর দাবি, তিনি না জেনে সেই ককটেল খেয়ে ছিলেন। অভিনয় শাহিই তার ককটেলে নেশার কিছু মিশিয়ে দিয়েছিল বলে দাবি করেন অভিযোগকারিণী। এবং তারপরই তাকে কোনো এক বন্ধুর বাড়ি নিয়ে যায় অভিনয় শাহি।

মৃদুলা ভাটকরের আদালত জামিন না মঞ্জুর করে দেন এই বলে যে, কোনও মহিলা মদ্যপ অবস্থায় যৌনমিলনে হ্যাঁ বললেও, তা নাই। কারণ, মহিলা তখন সজ্ঞানে সেই কথা বলছেন না। তিনি যদি সেই সময় চুপ থাকেন বা অনিশ্চয়তা প্রকাশ করেন, তাহলে তা-ও তাঁর অসম্মতি হিসেবেই ধরা হবে।

অভিনয় শাহির বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলায় অন্য রকম তথ্যও জানা গিয়েছে রেস্তোরাঁর ওয়েটার ও অন্যান্য লোকজনদের থেকে। তবে শেষ কথা বলেছেন জাস্টিস মৃদুলা ভাটকর। তার প্রশ্ন ছিল, মহিলা সহকর্মী যখন মদ্যপ অবস্থায় ঠিক করে দাঁড়াতেই পারছিলেন না, তখন তাকে তার বাড়িতে না পৌঁছে দিয়ে, অভিনয় শাহি অন্য কারোর বাড়িতে কেন নিয়ে গিয়েছিল?