খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলায় ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ - Women Words

খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলায় ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

কলেজছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিস  হত্যাচেষ্টা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। সিলেটের মহানগর মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে সোমবার ১৭ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

সিলেটের এমসি কলেজের অধ্যক্ষ নিতাই চন্দ্র চন্দ, উপাধ্যক্ষ হায়াতুল ইসলাম আখঞ্জি, খাদিজার বাবা মাসুক মিয়া, চাচা আবদুল কুদ্দুস, এমসি কলেজের সিকিউরিটি গার্ড রাশেদুল করীম, খাদিজাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধারকারী ইমরান কবীর ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার অতিকুল গণিসহ আরও কয়েকজন সাক্ষ্য দেন।

বেলা ১১টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত তাদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালতের বিচারক মো. সাইফুজ্জামান হিরো ।  এ সময় আদালতে আসামি কাঠগড়ায় মামলার আসামি বদরুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) মাহফুজুর রহমান জানান, মামলায় ৩৭ জন সাক্ষী। এর মধ্যে প্রথম দিন ১৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। ১১ ডিসেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

গত ৩ অক্টোবর বিকেলে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজাকে এমসি কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রে বিএ (পাস) পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার সময় চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন বদরুল। ঘটনার পর জনতা ধাওয়া করে বদরুলকে ধরে পুলিশে দেন। খাদিজাকে সংকটাপন্ন অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সাভারে পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) চিকিৎসা নিচ্ছেন।

গত ৪ অক্টোবর এ ঘটনায় খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে সিরেটের শাহপরান থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বদরুলকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় বদরুলকে গ্রেপ্তারের পরদিন তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলা হওয়ার ১ মাস ৫ দিনের মাথায় শাহপরান থানার উপপরিদর্শক হারুনুর রশিদ গত ৮ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেন। গত ২৯ নভেম্বর অভিযোগ গঠন করা হয়।