রাজাকার ইদ্রিস আলীর মৃত্যুদণ্ড - Women Words

রাজাকার ইদ্রিস আলীর মৃত্যুদণ্ড

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শরীয়তপুরের রাজাকার ইদ্রিস আলী সরদারকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আজ সোমবার বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দী।

পলাতক ইদ্রিসের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর এলাকায় গণহত্যা, হত্যা, অপহরণ, আটকে রেখে নির্যাতন-ধর্ষণ, দেশত্যাগে বাধ্য করাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগ আনা হয়।

রায় ঘোষণার পর ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জেয়াদ আল মালুম বলেন, ইদ্রিসের বিরুদ্ধে আনা চারটি অভিযোগের সবই প্রমাণিত হয়েছে। দুটি অভিযোগে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। একটি অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। আরেকটি অভিযোগে দেওয়া হয়েছে সাত বছরের কারাদণ্ডাদেশ।

গত বছরের ১৪ জুন সোলায়মান-ইদ্রিসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। ওইদিনই রাতে গোয়েন্দা পুলিশ সোলায়মান মোল্লাকে গ্রেপ্তার করলেও ইদ্রিস সরদার পলাতক। তবে সোলায়মান মোল্লা ওরফে সোলেমান মৌলভী গ্রেপ্তারের পর অসুস্থ হয়ে মারা যান। এজন্য তাকে মামলার দায় থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

গত বছরের ২৯ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে সাত খণ্ডে ৮৫২ পাতার তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ ও প্রসিকিউশনে হস্তান্তর করেন তদন্ত সংস্থা।

ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত রায় আসা ২৭টি মামলার ৪৬ আসামির মধ্যে মোট ২৮ যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ সাজার আদেশ হল।

শরীয়তপুর সদর উপজেলার পশ্চিম কাশাভোগ গ্রামের ইদ্রিস আলী সরদার স্থানীয় রুদ্রকর নিনমনি হাই স্কুল থেকে ১৯৬৬ সালে এসএসসি পাস করেন। ওই স্কুলে পড়ার সময়ই তিনি জামায়াতে ইসলামীর তখনকার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের সঙ্গে যুক্ত হন।

প্রসিকিউশনের তদন্ত সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ইদ্রিস ছাত্র সংঘের স্থানীয় নেতায় পরিণত হন। ছাত্রসংঘের অন্য অনেক নেতাকর্মীর মত তিনিও পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগিতায় গড়ে তোলা রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন এবং যুদ্ধাপরাধে অংশ নেন।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও তিনি জামায়াতের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন বলে তদন্ত সংস্থার ভাষ্য।

সূত্র: প্রথম আলো, বিডিনিউজ২৪, বাংলা ট্রিবিউন