ফাহমিদা খান ঊর্মি Archives - Women Words

Tag: ফাহমিদা খান ঊর্মি

আমি শুধু নারীই নই, আমি একজন মানুষ

আমি শুধু নারীই নই, আমি একজন মানুষ

ফাহমিদা খান ঊর্মি কিছুদিন আগে ডিপার্টমেন্টের ফিল্ডওয়ার্কের কাজ শেষ করে আমরা পাঁচজন সিএনজি অটোরিকশার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমাদের সংগৃহীত ডাটাগুলো নিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরতে হবে। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর একটা অটো পাওয়া গেল। টুপ করেই হয়ত উঠে বসা যেত। কিন্তু বাঁধ সাধল আমাদের ‘নারী’ পরিচয়টা। আমরা পাঁচজনই মেয়ে ছিলাম কিনা। সিনএনজির পেছনে তিনজন বসার ব্যবস্থা। বড়জোর কষ্টেসিষ্টে না হয় চারজন বসা গেল, কিন্তু বাকি একজন? সে চাইলেই তো আর সামনে চালকের পাশে বসতে পারবে না। মেয়ে কিনা! সময় স্বল্পতা আর সিএনজি সংকটের কারণে আমি ভুলে গেলাম আমার সেই ‘সীমাবদ্ধতা’টুকু। কিন্তু যখনই আমি চালকের পাশের সিটটাতে বসতে গেলাম অমনি চালক লোকটা এমন একটা ভঙ্গিমায় আমার দিকে তাকালো যেন আমি বেহেশত থেকে বিতাড়িত কোনো এক পাপি নারী। পাত্তা দিলাম না। যাই হোক, আস্তে আস্তে আমার ৩২০ একরের ক্যাম্পাসে ঢুকলাম। কিন্তু আমি দুঃখজন
কেউ একজন আমাকে অনেক ভালোবাসতেন

কেউ একজন আমাকে অনেক ভালোবাসতেন

ফাহমিদা খান ঊর্মি দাদুমণির বড় ছেলের বড় মেয়ে আমি। মানে পরিবারের প্রথম নাতনী। প্রথম হিসেবে স্বভাবতই সবার আলাদা আদর-যত্ন পেয়ে এসেছি জন্মের পর থেকেই। তার উপর জন্মের পর প্রথম তিন বছর পর্যন্ত যেহেতু পরিবারে আমি একমাত্র শিশু ছিলাম সেহেতু সব ব্যাপারে আমাকে নিয়ে তাদের বাড়াবাড়ি ছিল। তবে দাদীর বেলা সেটা যেন বাড়াবাড়ি পর্যায়েরই ছিল। যে বাড়াবাড়িগুলো না করলেও হতো। যেমন ছোটবেলা উনি কখনো আমাকে মাটিতে খেলতে দিতেন না। শুধু তাই নয় দিনে ৫-৬ বার আমার কাপড় বদলে দিতে হত। কয়েক ঘন্টা পরপর কাপড় বদলে দেরী হলে আম্মুকে সে কি বকাঝকা। শরীরে নাকি রোগ জীবাণু বাসা বাঁধবে! উনার কিছুটা মানসিক সমস্যা ছিল। অন্য দশজন মানুষের মত তাই অত বোধ-বুদ্ধি ছিল না। তিনি আমাকে ফ্লোরে চক দিয়ে আঁকাআঁকি শেখাতেন। বেশি শেখাতেন ভূত-পেত্নি আঁকা। যার উপর রাগ হত ভূত/পেত্নি বানিয়ে তার ছবি আঁকতেন। তার সাথে যুদ্ধ খেলতাম আমরা। বন্দুক কিংবা তলোয়ারের ছবি