সাম্প্রতিক Archives - Page 2 of 33 - Women Words

সাম্প্রতিক

যে নারীরা কোন দিন বিয়ে করেন নি, কেমন তাদের জীবন

যে নারীরা কোন দিন বিয়ে করেন নি, কেমন তাদের জীবন

শাহনাজ পারভীন ঢাকার ধানমন্ডিতে এমন এক বাড়িতে গিয়েছিলাম যে ধাঁচের পুরনো ভবন ইদানীং এই শহরে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। দরজার বেল বাজাতেই ধীর গতিতে বের হয়ে এলেন সত্তরের কাছাকাছি বয়সী ফাতেমা যোহরা। মনে হল সাথে করে যেন নিয়ে এলেন এক ধরনের নির্ঝঞ্ঝাট আবহ। পরিপাটি বসার ঘরে আসবাবের অনেকগুলোর বয়স তারই সমান। কথা শুরু হতেই হাসিমুখে জানালেন চিরকুমারী জীবন কেমন চলছে তার। "আমি খুবই, খুবই সুখী এখন পর্যন্ত। মাঠে যাই, এনজয় করি। বড় পুকুরের পাশে বসে থাকি। পুকুরে মাছের পোনা ছাড়ি। যখন যেখানে যেতে চাই চলে যাই। বিয়ে না করার সবচেয়ে বড় এক্সাইটিং পার্ট হল আমার কোনা বাইন্ডিংস নাই। আমার কোন চিন্তা নাই। আমার একটা লিবার্টি আছে যে আমাকে কেউ বলছে না তুমি এটা করছ না কেন? এটা করছ কেন? বা এটা করবে না", বলছিলেন যোহরা। বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় সকল সমাজে একজন নারী নির্দিষ্ট একটি বয়সে বিয়ে করবেন, সংসারী হবেন
তালিবানদের বিষয়ে কী জানালেন আফগান পর্ন তারকা ইয়াসমিন?

তালিবানদের বিষয়ে কী জানালেন আফগান পর্ন তারকা ইয়াসমিন?

আফগানিস্তানের নয়া শাসক তালিবানরা বিশ্বাস করে যে মেয়েদের আপাদমস্তক ঢেকে রাখা উচিত। তবে সেই আফগানিস্তানেরই একজন নারী প্রাপ্তবয়স্কদের ছবিতে অভিনয় করেন। পেশাদার ওই পর্ন তারকা বর্তমানে আফগানিস্তানে থাকেন না। তবে তালিবান শাসনের প্রথম দফায় তিনি কাবুলেই ছিলেন। তালিবানি হিংসা সামনে থেকে দেখেছেন। তাঁর নাম ইয়াসমিন আলি। ইয়াসমিনের দাবি, তিনিই আফগানিস্তানের প্রথম এবং একমাত্র পর্ন ছবির তারকা। তাঁর আগে বা পরে কেউ আফগানিস্তান থেকে প্রাপ্তবয়স্কদের ছবিতে অভিনয়ের সাহস দেখাননি। পর্ন ছবির দুনিয়ায় ইয়াসমিনের জনপ্রিয়তা আছে। ‘ওনলি ফ্যানস’ এবং ‘পর্ন হাবে’ তাঁর অভিনীত প্রাপ্তবয়স্কদের ছবি প্রায় সবসময়ই দেখা যায়। তারপরও তালিবানরা যে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারেনি, তার কারণ তাঁর সাম্প্রতিক ঠিকানা। ইয়াসমিন এখন ব্রিটেনে থাকেন। শুধু তা-ই নয়, নিজের ধর্মও ছেড়েছেন তিনি। নিজেকে এখন ‘ঈশ্বর অবিশ্বাসী’ বলে
মেয়েকে স্তন্যপান করানোর ছবি প্রকাশ করলেন ইভলিন

মেয়েকে স্তন্যপান করানোর ছবি প্রকাশ করলেন ইভলিন

মেয়ে আভার সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে ছবি দিয়ে চমকে দিলেন 'ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি'র অভিনেত্রী ইভলিন শর্মা। মেয়েকে স্তন্যপান করানোর ছবি দিয়ে অনুরাগীদের বোঝাতে চাইলেন, এ নিয়ে কোনও ছুঁতমার্গ তো তাঁর নেই-ই, বরং মা হিসেবে মেয়ে আভাকে স্তন্যপান করিয়ে তিনি নিজেকে পূর্ণ মনে করছেন। সাংবাদিকদেরকে ইভলিন বলেছেন, "আমি মা হিসেবে এ বার পরিপূর্ণ ভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারছি। নিজের সন্তানকে খাওয়ানো, তার হাসিমুখ দেখার মধ্যে যে আনন্দ, তা জেগে কাটানো সব রাতের ক্লান্তি ভুলিয়ে দেয়।" মা হওয়ার ইচ্ছে যে তাঁর বহু দিনের। অনলাইনে প্রায়শই অনুরাগীদের সঙ্গে মা হওয়া বিষয়ক ভিডিও, ছবি দিয়ে নিজের ভাবনা প্রকাশ করতেন অভিনেত্রী। ফুটফুটে এক কন্যা সন্তানের মা হয়েছেন ২০২১-এর ১২ নভেম্বর। ইনস্টাগ্রামে মেয়ের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে ইভলিন লিখেছেন, 'আমার জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় শুরু হল'। সেই পোস্টেই সদ্যোজাত ক
’তর্কের কারণে স্বামীর মারধরের শিকার হন বেশিরভাগ নারী’

’তর্কের কারণে স্বামীর মারধরের শিকার হন বেশিরভাগ নারী’

মাহবুব সরদার স্বামীর সঙ্গে তর্ক করার কারণে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নারী স্বামীর মারধরের শিকার হন বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। দেশব্যাপী নারীর প্রতি সহিংসতার ওপর করা এ গবেষণায় স্ত্রীকে মারধরের আরও কয়েকটি বিশেষ কারণ উঠে আসে। যেখানে নারীদের একটি অংশ মনে করেন রান্নার সময় খাবার পুড়িয়ে ফেললে স্বামীর মারধর করার অধিকার আছে। ইউনিসেফের অর্থায়নে দেশব্যাপী মাল্টিপল ইনডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে-২০১৯ ডাটাবেজের তথ্যের ভিত্তিতে করা গবেষণা নিবন্ধটি গত ৪ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যের ‘বায়োমেড সেন্ট্রাল সাইক্যাট্রি’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর কাছ থেকে পাওয়া সহিংসতার হার পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ২০ শতাংশ, ইউরোপসহ ধনী দেশগুলোতে ২২ শতাংশ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধীনে আমেরিকা অঞ্চলে ২৫ শতাংশ, আফ্রিকা অঞ্চলে ৩৩ শতাংশ, পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে ৩১ শতাংশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ৩৩ শত
দুর্গা পূজায় ৪ নারী পুরোহিত, মায়ের হাতে মায়ের পুজো

দুর্গা পূজায় ৪ নারী পুরোহিত, মায়ের হাতে মায়ের পুজো

কলকাতার বিখ্যাত ৬৬ পল্লীর দুর্গা পূজা নজির তৈরি করতে চলেছে। এবার দুর্গা পূজায় ৬৬ পল্লী দুর্গোৎসবে পৌরোহিত্য করবেন নারী পুরোহিত নন্দিনী ভৌমিক, রুমা রায়, সেমন্তী ব্যানার্জি ও পৌলোমী চক্রবর্তী। কলকাতার তথা এই বঙ্গের কয়েক শতকের পুরনো রেওয়াজ ভাঙতে চলেছেন এই চার নারী। আপাতত এই নতুন ট্রেন্ড নিয়েই মশগুল নেটদুনিয়াও। সকলেই চাইছেন শারদ উৎসবে ও অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নারীদের পৌরহিত্যের এই রেওয়াজ ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হোক, আর পাঁচটা ক্ষেত্রের মত ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পুরাতন সংস্কারকে ঝেড়ে ফেলে নতুনকে স্বাগত জানিয়ে ভারতকে পথ দেখাক বাংলা। নিত্যনতুন ছকভাঙা কনসেপ্ট সামনে এনে প্রতি বারই চমকে দেয় ৬৬ পল্লী। এক অর্থে বললে এবার তাদের চমক এটাই বারোয়ারি পূজায় নারীদের পৌরোহিত্য।‌ ক্লাবের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে,সনাতনী নিয়ম মেনে পুজোর সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান হবে, আর এটাই এবারের থিম। নারী পুরোহিতদের এই দলের প্রধা
আমার শহরের রাস্তায়, আমি কতটা নিরাপদ?

আমার শহরের রাস্তায়, আমি কতটা নিরাপদ?

জুডি রোজারিও দিনটি ৭ই জুন। অফিস শেষে গেলাম সিদ্ধেশ্বরী। আমার ওরাল সার্জারির সেলাই খুলতে। মা বারবার সঙ্গে যেতে চাইলেও, নিজেই একা একা চলে যাই।নিজেকে অনেক সাহসী মনে হচ্ছিল ওয়েটিং রুমে বসে থাকতে থাকতে। মিস্টার বিনের ডেন্টিস্ট এপিসোডের ভিডিও ক্লিপ দেখতে থাকি বসে বসে। আমার কল আসা সত্ত্বেও রিসিপশনের আপুকে বলি, 'আমি ডক্টর রবি কে দেখাবো , উনি ফ্রি হলেই যাবো ' (কারণ উনি আমাকে বলেছিলো যে আমার মাড়ি অবশ করে নিবে, টের পাব না। ) শেষ করে মা কে জানালাম কাজ শেষ, বাসায় ফিরবো, ফোনে চার্জ নাই, অফ হয়ে গেলে টেনশন যেন না করে। কিছুক্ষন বসলাম, অ্যানাসথেসিয়া স্প্রেতে,ভারী হওয়া গাল টা নিয়ে। নিচে নেমে সিএনজি অটোরিক্সা না পেয়ে বেইলি রোডের দিকে হাঁটা শুরু করলাম। কেউ যেতে চায়না, যখন মেইন রোডের প্রায় কাছাকাছি, একটু চিন্তায় পড়লাম যে হায় হায় বাসায় যাবো কিভাবে ! ঠিক তখনি মেইন রোডের দিকে থেকে একটা ছেলে (কদম ছাঁট চুল, শ
করোনাকালের কাহিনী

করোনাকালের কাহিনী

সৈয়দা আফরোজা আমার মেয়েটি আজ প্রায় দুই মাস হতে চলল ঘরবন্দি হয়ে আছে সুদূর যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে, সেখানে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে সে এখন মাস্টার্স করছে। অনেক দিন পর এবার ওর কাছে গিয়ে দেড় মাসের মতো থেকে এলাম। আসার আগের দিন ও মিউ মিউ করে বলেছিল আরো কয়েকটা দিন ওর সঙ্গে থেকে যেতে। ওর বাবা মেয়ের চাওয়াকে না করে না কখনো, কিন্তু এবারে তিনি আর রাজি হলেন না। একটু অবাক হলাম তার অনাগ্রহ দেখে, অন্যদিকে আমারও কেমন যেন অস্বস্তি হচ্ছিল; তাই দেশে ফিরে এলাম ২৮ ফেব্রুয়ারিতে। ঢাকায় বিমানবন্দরে নেমেই শুনলাম আমার বড় দুলাভাই মারা গেছেন আমি রওনা দেওয়ার আগের দিন। আর এ জন্যই মেয়ে চাইলেও তার বাবা এবার আর আমার আমেরিকা থাকার সময় বাড়াতে রাজি হননি। আমার কাছে অনেকের দাবি থাকে তাদের একুশের বইমেলায় নিয়ে যাওয়া ও বই কিনে দেওয়া। হাতে মাত্র এক দিন ২৯ তারিখ (লিপইয়ার), আমার জন্যই যেন অপেক্ষা করছিল দিনটি। একসময় একুশের বইমেলা
করোনায় চীনে নারীর মৃত্যু তুলনামূলক কম: গবেষণা

করোনায় চীনে নারীর মৃত্যু তুলনামূলক কম: গবেষণা

উইমেন ওয়ার্ডস ডেস্ক :: চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর প্রথম প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮২ হাজার ৮৫৮। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৪ হাজার ৬৩৩ জন। করোনার অ্যাক্টিভ কেস ৬৪৭টি। অপরদিকে এখনও গুরুতর অবস্থায় রয়েছে ৫০ জন। তবে দেশটিতে আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। করোনা থেকে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ৭৭ হাজার ৫৭৮ জন। এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে করোনা নিয়ে একটি ছোট আকারের গবেষণা চালিয়েছে চীন। ওই গবেষণা থেকে উঠে এসেছে যে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে যতজনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে অধিকাংশই পুরুষ। অর্থাৎ চীনে এখন পর্যন্ত নারীদের তুলনায় পুরুষের মৃত্যুর হার বেশি। নতুন ওই গবেষণায় থেকে ধারণা পাওয়া যায় যে, নারীর তুলনায় আক্রান্তের দিক দিয়েও এগিয়ে রয়েছে পুরুষরা। চীন বলছে, এটি এক
বিদায়ী বছরে ১ হাজার ৪১৩ জন ধর্ষিত

বিদায়ী বছরে ১ হাজার ৪১৩ জন ধর্ষিত

আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নিচ্ছে ২০১৯ খ্রিস্টাব্দ। এই বিদায়ী বছরে বাংলাদেশে এক হাজার ৪১৩ জন নারী ধর্ষিত ও ৩৮৮ জন মানুষ বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। বছরের শেষদিনে আজ ৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবারজাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বাংলাদেশ মানবাধিকার পরিস্থিতি-২০১৯: আসক’র পর্যবেক্ষণ’ শিরোনামে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান ‘আইন ও সালিশ কেন্দ্র’ (আসক)। আসকের জ্যেষ্ঠ উপ-পরিচালক নিনা গোস্বামী প্রতিবেদন তুলে ধরে বলেন, সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালে সারা দেশে ধর্ষণ ও দলবেঁধে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক হাজার ৪১৩ জন নারী। এর মধ্যে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছেন ৭৬ জন এবং ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন ১০ জন। ২০১৮ সালে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন ৭৩২ নারী এবং ২০১৭ সালে এ সংখ্যা ছিল ৮১৮। গত বছরের তুলনায় ২০১৯ সালে শিশু নির্যাতনের ঘটনাও বেড়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে অন
বছরজুড়েই চলেছে নারীর প্রতি সহিংসতা

বছরজুড়েই চলেছে নারীর প্রতি সহিংসতা

ইশরাত জাহান ঊর্মি এ বছরের এপ্রিলে সারাদেশকে নাড়া দেন নুসরাত নামে মাদ্রাসায় পড়া এক তরুণী। ধর্ষণ-নির্যাতন তো অনেকই হয় কিন্তু নুসরাত অনন্য। নুসরাতকে বলা হচ্ছে বহ্নিশিখা। আমরা বলছি, নুসরাত এক বহ্নিশিখা। পহেলা বৈশাখের ঠিক আগে আগে এই নারীটি তার মাদ্রাসা অধ্যক্ষের যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদ করেন। থানায় মামলা করেন। এই ‘অপরাধে’ তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় অধ্যক্ষের লোকেরা। কয়েকদিন হাসপাতালে যুদ্ধ করে অবশেষে মারা যান নুসরাত। কিন্তু এই মৃত্যু শোকের চেয়েও বেশি বয়ে আনে দ্রোহ আর ক্ষোভ। সারাদেশেই বিক্ষোভ হয়। এর ফলে নুসরাতের খুনিদের বিচারের রায় দ্রুত হয়। বরিশালে মিন্নি নামে এক তরুণীর স্বামীকে তার সামনেই কুপিয়ে মারা হয়। স্বামী রিফাত শরীফকে খুন হতে দেখে সে। আজব প্রশাসন এক সময় আসল ঘটনা আড়াল করে মিন্নিকেই গ্রেপ্তার করে। বছর শেষে এসব খবরের সঙ্গে যুক্ত হয় গত বছর বনানীর একটি হোটেলে দুই নারীকে ধর্ষণ করা আপন জুয়েলার্সের ম