ভ্রমণ Archives - Women Words

ভ্রমণ

বাংলাদেশি পাসপোর্টে ১০০ দেশ ঘুরেছেন আজমেরি

বাংলাদেশি পাসপোর্টে ১০০ দেশ ঘুরেছেন আজমেরি

'আমি সারা পৃথিবীর সব দেশে আমার পায়ের চিহ্ন রাখতে চাই। এবং সেটা করতে চাই বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়েই।' কথাগুলো বাংলাদেশি বিশ্বপর্যটক কাজী আসমা আজমেরির। এ পর্যন্ত বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে ১০০-র বেশি দেশে ঘুরেছেন তিনি। তার পরিকল্পনা, পৃথিবীর সব দেশ সফরের। কেন বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে বিশ্বভ্রমণের পরিকল্পনা করেছেন তিনি? এ প্রশ্ন করলে কাজী আজমেরি বলেন, আমি ২০১০ সালে ভিয়েতনাম গিয়েছিলাম, ইচ্ছে ছিল সেখান থেকে কম্বোডিয়া যাবো। কিন্তু ইমিগ্রেশনের লোকেরা আমার রিটার্ন টিকেট নেই এবং বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেখে আমাকে সে অনুমতি দেয় নি।" "সেদেশের ইমিগ্রেশন আমাকে ২৩ ঘন্টা জেলে বন্দী করে রাখে। আমি খুব কান্নাকাটি করেছিলাম।" "ওই ২৩ ঘন্টা জেলে থাকার সময়ই আমি চিন্তা করলাম, আমাকে এমন কিছু করতে হবে যাতে বাইরের মানুষ বাংলাদেশের পাসপোর্টকে সম্মানের চোখে দেখবে, তাদের হয়রানি করবে না" - বলছিলেন কাজী আজমেরি। বাং
ঘুরে আসুন সুনামগঞ্জ

ঘুরে আসুন সুনামগঞ্জ

রোমেনা লেইস সুনামগঞ্জ বাংলাদেশের উত্তর পূর্ব দিকে অবস্থিত। আকাশের গায়ে হেলান দিয়ে যেখানে বিশাল নীল পাহাড় ঘুমায়। পাহাড় থেকে নেমে আসা বারাক নদী শহরের চোখে যেন সুরমার টান। আগে সুনামগঞ্জ জেলার নাম ছিল বনগাঁও। সুনাম উদ্দিন মতান্তরে সুনামদি নামে জনৈক সিপাহী একটি গঞ্জ বা বাজার প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৭৭ সালে সুনামগঞ্জ মহকুমা প্রতিষ্ঠত হয়। ১৯৮৪ সালে জেলায় রূপান্তরিত হয়। আয়তন ১৪২৮.৪২ বর্গমাইল আর জনসংখ্যা ২০১১ র আদমশুমারী অনুযায়ী ২০,১৩,৭৩৮। সুনামগঞ্জের অন্যতম আকর্ষনীয় পর্যটন কেন্দ্র টাঙ্গুয়ার হাওর।,ডলুরা স্মৃতি সৌধ।। এ ছাড়া ও দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে  হাছন রাজার বাড়ি,নারায়ণতলা মিশন, পণাতীর্থ স্মৃতি ধাম,বাঁশতলা শহীদ স্মৃতিসৌধ,লাউড়েরগর, শিমুলবাগান, টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্প উল্লেখযোগ্য। কীভাবে যাবেন ঢাকা থেকে সিলেটে যেতে পারেন বিমানে,ট্রেনে বা বাসে ।নিজে ড্রাইভ করেও যেতে পারেন।সিলেট থেক
সাগরকন্যা রোড আইল্যান্ড

সাগরকন্যা রোড আইল্যান্ড

রোমেনা লেইস রোড আইল্যান্ড (Rhode Island)।  পুরো নাম রোড আইল্যান্ড ও প্রভিডেন্স লোকালয় (Rhode Island and Providence Plantations) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্য। প্রভিডেন্স (Providence) এর রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। State of Rhode Island and Providence Plantations সবচেয়ে ছোট অঙ্গরাজ্য কিন্তু নামটি দীর্ঘ। ওশেন স্টেট এর ডাকনাম। এর পূর্ব দিকের বর্ডারে কানেক্টিকাট, উত্তর পশ্চিম দিকে ম্যাসাচুসেটস আর একদিকে নিউইয়র্কের সাথে short maritime অর্থাৎ সামুদ্রিক একটা বর্ডার আছে। আটলান্টিক ঘিরে আছে রোড আইল্যান্ডকে ।  আমাদের পঞ্চাশটি স্টেট ভ্রমণের এটি তেরোতম।মজার ব্যাপার প্রথম যে তেরোটি অঙ্গরাজ্যের সমন্বয়ে যুক্তরাষ্ট্র গঠিত হয় ১৭৭৬ এর মে মাসে, রোড আইল্যান্ড সেই তেরোটির একটি। দাস বাণিজ্যের অন্যতম ক্ষেত্র ছিলো রোড আইল্যান্ড । এর দৈর্ঘ্য ৪৮ মাইল আর প্রস্থ ৩৭মাইল। জারিমথ পাহাড় এই রাজ্যের সবচেয়ে উঁচ
মিলনমেলায় আসা যাওয়ার পথের ধারে (৪)

মিলনমেলায় আসা যাওয়ার পথের ধারে (৪)

মিলনমেলা ভেঙ্গে গেলো। প্যান্ডেল ছেড়ে স্কুলের মাঠে এসে জড়ো হলাম। বন্ধু, বড়বোন কিংবা ছোটবোনদের কাউকেই ছাড়তে ইচ্ছে করছে না। কিন্তু বাস্তবতা অনেক কঠিন।চমন আর তামান্নাসহ বিজুআপা, শাহানাআপা, বেবীদি, সীমাদি, শেফা আপা, রুনা, তুলিকা, তুলনা, মহুয়া, শাম্মী, খাইরুন, রেহানা, লাকি, শাম্মী, সঞ্চিতাদি  বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করা পর্যন্ত স্কুলমাঠেই থাকলাম। মিলনমেলা ভাঙলেও তার রেশ চলতেই থাকলো। মিলনমেলায় যোগ দিতে সব বাড়িতেই মেয়েরা ফিরে এসেছে। নায়না কানাডা থেকে এসেছে। নাসিরউদ্দিন চাচার মেয়ে । সিটি ফার্মেসীর বাসা বললে এক নামে চিনে সবাই। ওদের বাসায় দুপুরে দাওয়াত। শাহী আয়োজন । দাওয়াতে উপস্থিত হওয়ার পর একে একে মিলনমেলায় আসা বোনদের সকলেই আসলেন।আবারো সবাই একসাথে বসে গল্প, আড্ডা চললো। রাতের বেলায় আবার লন্ডন থেকে আসা খাইরুনের বাসায় দাওয়াত। খাইরুনের বাসায় আমরা তিনবোন পৌঁছে দেখি তানিম আর ছবি আগেই পৌঁছে গেছে। এ
মিলনমেলায় আসা যাওয়ার পথের ধারে (৩)

মিলনমেলায় আসা যাওয়ার পথের ধারে (৩)

রাত আর যেন কাটে না। কখন স্কুলে যাব। বন্ধুদের হাতে হাত রেখে বসবো। ২৪ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে আটটায় স্কুলে গিয়েই ফটোসেশন শুরু হলো। অনুষ্ঠান তখনো শুরু হয়নি। স্মৃতিচারণ পর্বে আমাদের বন্ধু এডভোকেট মাহফুজা বেগম সাঈদা স্মৃতিচারণ করছিলো। তারপর মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো হয় মাউশির প্রাক্তন মহাপরিচালক প্রফেসর দিলারা হাফিজকে। দিলারা আপা সবাইকে নিয়ে গেলেন সেই ষাটের দশকে । উনার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে স্মৃতিচারণ পর্ব শেষ হলো। এরপর ছাত্রীদের পারফরমেন্স পর্ব শুরু হলো। প্রথমেই মঞ্চে উঠলো ৮২ ব্যাচ। "আমাদের দেশটা স্বপ্নপুরী, সাথী মোদের ফুলপরী" নিয়ে। ঝলমলে রোদওঠা সৃবর্ণ সকাল। মেয়েরা সব ব্যাচে ব্যাচে নানা রঙে সাজিয়েছে নিজেদের। নীল ,সবুজ গোলাপী,কমলা ,লাল ,সোনালী বেগুনী। মঞ্চ আলো করছে একের পর এক ব্যাচ। সামনে বয়স অতিক্রম করে একসাথে নেচে চলছে সকলে। আমাদের বন্ধু ডাক্তার লুৎফুন্নাহার জেসমিন বিদায় নিয়ে চলে গেছে আগের রাতেই। তাই
বিডি সাইক্লিস্টের বিশ্ব রেকর্ড

বিডি সাইক্লিস্টের বিশ্ব রেকর্ড

গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে 'লংগেস্ট সিঙ্গেল লাইন অব বাইসাইকেল মুভিং' ক্যাটাগরিতে নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশের সাইক্লিস্টদের বৃহৎ সংগঠন 'বিডি সাইক্লিস্ট'। গত ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসে ১১৮৬ জন সাইক্লিস্ট নিয়ে একক সারিতে সাইকেল চালিয়ে এই রেকর্ড গড়ে গ্রুপটি। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড এর অফিশিয়াল সাইটে এই ঘোষণা দেয়া হয়। উল্লেখ্য, ৯৮৪ জন নিয়ে এর আগের  রেকর্ডটি ছিলো বসনিয়ার।
মিলনমেলায় আসা যাওয়ার পথের ধারে (২)

মিলনমেলায় আসা যাওয়ার পথের ধারে (২)

রূপু,সিপির সাথে সাথে তিমনও আসলো। পরদিন ডিনারের দাওয়াত দিয়ে গেলো। রূবিনাও রেহানা কে সাথে নিয়ে বিমানের ফ্লাইটে এসেছে আজই। রুনার সাথে তখনো দেখা হয়নি। রিহা্র্সেলে ছিলো।রুনা আসলে চলে গেলাম স্কুলে ।রাতের উৎসবের আমেজে সেজেছে স্কুল ।চুণিমুনি লাইট দিয়ে পুরা স্কুল সাজানো রূপকথা জানালো আমার লেখা থিম সং নাকি সবার খুব প্রিয়।গেয়েও শোনালো সে। মন আমার ছুটে গেলো স্কুলেই। ঘুম ভাঙলো দেরিতে। "সারা পথের ক্লান্তি আমার সারা দিনের তৃষা কেমন করে মেটাব যে খুঁজে না পাই দিশা-” রূপুদের বাসায় মিলনমেলার জেসমিনআপা,রীনাদি,আরতিদি,অঞ্জলীদি, রুশিআপা,লিজিখালা,নার্গিস আরও অনেকের সাথে দেখা হলো। কী আনন্দ কী আনন্দ । সেই বালিকাবেলায় যেন ফিরে গেছি সবাই । সংসার ছেড়ে এসে মুক্ত বিহঙ্গ সবাই।কারো বাড়ি ফেরার তাড়া নেই।সবাই গান গাইছে।ধামাইল দিচ্ছে। আহা এতো আনন্দ । সঞ্চিতা দিদি এলেন। স্কুলে গেলাম সবাই মিলে। আই ডি কার্ড সংগ্রহ করতে এসেছে স
মিলনমেলায় আসা যাওয়ার পথের ধারে (১)

মিলনমেলায় আসা যাওয়ার পথের ধারে (১)

জনএফ কেনেডী বিমানবন্দর থেকে আমার ফ্লাইট ১৬ ডিসেম্বর দুপুর দুটোয়। ওইদিন ভোররাত থেকেই স্নো পড়া শুরু হলো। সকাল এগারোটায় এয়ারপোর্টে পৌঁছে বোর্ডিং পাস নিয়ে ওয়েটিং এরিয়ায় বসে আছি। তুষারপাতের মধ্যেই প্রথম ঘোষণা আসলো আধঘন্টা দেরিতে যাত্রা শুরু করবো আমরা। পরে তিনদফা পিছানোর পর দেখা গেলো বিকাল পাঁচটা পনেরোয় যাত্রা করলাম। বিমান ভ্রমণ কখনো আমি উপভোগ করিনা। কিন্ত এবারই প্রথম, জানি না পাইলটের কারিশমায় না আবহাওয়ার কারণে খুব আরামদায়ক ভ্রমণ ছিলো। আবুধাবি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে স্থানীয় সময় দুপুর দুইটায় নামলো ইত্তেহাদ এয়ারওয়েজের বিমানটি। আর বের হয়ে শুনলাম আমার কানেক্টিং ফ্লাইট অলরেডি বাংলাদেশের পথে যাত্রা করেছে। আমাদের সবাইকে হোটেল প্রিমিয়ার ইন এ রাখার ব্যবস্থা করেছে ইত্তেহাদ । হোটেলে পৌঁছে লাগেজ রেখে নিচের লাউঞ্জে চলে গেলাম। ইত্তেহাদের পক্ষ থেকে আমাদের একটি কার্ড দিয়েছে যা দেখিয়ে আমরা লাঞ্চ ,ডিনার ক
নায়াগ্রার জল আর আমাদের বন্ধুতা

নায়াগ্রার জল আর আমাদের বন্ধুতা

রোমেনা লেইস স্কুলবেলা ভূগোল বইয়ের মাধ্যমে প্রথম শুনেছিলাম নায়াগ্রা জলপ্রপাতের নাম। এটি যে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহৎ জলপ্রপাত তাও সে সময় জানা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সীমানায় অবস্থান এটির। তিনটি জলপ্রপাত মিলে নায়াগ্রা। এরমধ্যে দুটো যুক্তরাষ্ট্রে অন্যটি কানাডায়। দ্য স্টেট অব নিউইয়র্ক এর বাফেলো সীমান্তে পড়েছে দুটি ফলস। আর কানাডার অন্টারিও প্রভিন্সে পড়েছে একটি ফলস। হর্স সু ফলস কানাডা সাইডে আর আমেরিকান সাইডে পড়েছে আমেরিকান ফলস আর ব্রাইডাল ভেইল ফলস। নায়াগ্রা ফলসের সমস্ত জল বয়ে নিয়ে আসে লেক অন্টারিও আর লেক এ্যারী। তারপর প্রায় একশ সত্তর ফুট উপর থেকে ঝাঁপিয়ে পড়া জলরাশিই তৈরি করে এক অনুপম সৌন্দর্য। না কোন পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝর্নাধারা নয়। আস্ত একটা বিশাল নদী আচমকাই একশ সত্তর ফুট উপর থেকে নেমে গেছে। সারাদিন ধরে দেখেও তৃষ্ণা মেটে না। অবিরাম বয়ে চলা সেই জলের যেন ক্লান্তি নেই। পাথরের চূর্ণ জলে মিশে
জর্জ ওয়াশিংটনের আঙ্গিনায়

জর্জ ওয়াশিংটনের আঙ্গিনায়

যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম এসেছিলাম তখনই পরিকল্পনা করে রেখেছিলাম দেশটির অর্ধশত স্টেট ঘুরে দেখার। যখনই সুযোগ পাই সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নেমে পড়ি। এবারের ঈদের ছুটিতেও তার ব্যতিক্রম হলো না। ভার্জিনিয়া, ম্যারিল্যান্ড, ওয়াশিংটন ডিসি ঘুরা হয়ে গেল। শেরেবাংলা বয়েজ স্কুলে যখন শিক্ষকতা করতাম সেই সময়ের সহকর্মী সোনালী থাকে ভার্জিনিয়ায়। একই সময়ে আমরা যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলাম। মাঝে একবার সে নিউইয়র্কে বেড়াতে এলো। আমার বাসায় উঠেছিল সেবার। তখনই ভার্জিনিয়ায় ঘুরতে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে রেখেছিল। আমাদের আর যাওয়া হয়নি। ঈদের নামাজ শেষে খাওয়া-দাওয়া সেরে রোদ ঝলমলে সকালে আমরা সপরিবারে রওয়ানা হলাম ভার্জিনিয়া। ভ্যারাজোনা ব্রীজ দিয়ে নিউইয়র্ক ছেড়ে স্ট্যাটেন আইল্যান্ড হয়ে যখন যাচ্ছিল তখন বেশ লাগছিল। নিউইয়র্কের ব্যস্ত রাস্তা আর কোলাহল পেছনে ফেলে ততক্ষণে আমরা চলে এসেছি খোলামেলা এপলেশিয়ান মাউন্টেইন রেঞ্জে। আঁকাবাকা পথ পেরিয়ে বেল