খাদিজা হত্যা চেষ্টা: পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণ ২৬ ফেব্রুয়ারি - Women Words

খাদিজা হত্যা চেষ্টা: পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণ ২৬ ফেব্রুয়ারি

সিলেটে কলেজছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসকে হত্যাচেষ্টা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করেছেন আদালত। সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মাহফুজুর রহমান এ তথ্য জানান।

আজ রোববার মামলার আসামি বদরুলের উপস্থিতিতে খাদিজার সাক্ষ্য গ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু খাদিজা আদালতে উপস্থিত হওয়ার মতো সুস্থ না থাকায় তার পক্ষে আদালতে হাজির হওয়ার সময় বাড়ানোর আবেদন করা হয়। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক সাইফুজ্জামান হিরো সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেন আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি।

বর্তমানে সাভারের পক্ষাঘাত পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) চিকিৎসাধীন আছেন খাদিজা। সেখানকার চিকিৎসক ডা. সাঈদ জানান, খাদিজার শারীরিক ও মানসিক অবস্থার দিকে চিন্তা করে আদালতের নিকট আরও এক মাসের সময়ের আবেদন জানানো হয়েছে। আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে কথা বলে খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুসের মাধ্যমে এই আবেদন জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

চিকিৎসক আরও জানান, খাদিজাকে প্রতিদিন তিন ঘণ্টা করে থেরাপি দেয়া হয়, এ অবস্থায় তাকে আদালতে হাজির করা যাবে না। এ ছাড়াও সাক্ষ্য দেয়ার মতো যে মানসিকতা প্রয়োজন, তা এখনো বিবেচনাধীন।

সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরো গত ১৫ ডিসেম্বর খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলার ভিকটিম খাদিজা বেগম নার্গিসকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন। এর আগেও খাদিজাকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দিলে চিকিৎসকের ছাড়পত্র না পাওয়ায় তাকে হাজির করা হয়নি।

ইতোমধ্যে মামলার ৩৭ সাক্ষীর মধ্যে ৩৩ সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।

গত বছরের ৩ অক্টোবর সিলেটের এমসি কলেজে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খাদিজাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম। এ ঘটনায় খাদিজার চাচা আব্দুল কুদ্দুস মামলা করেন।

হামলার পর ঢাকায় এনে স্কয়ার হাসপাতালে কয়েক দফা অস্ত্রোপচারের পর কিছুটা সুস্থ হলে খাদিজাকে সাভারের সিআরপিতে পাঠানো হয়।

বদরুলকে একমাত্র আসামি করে গত ৮ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২৯ নভেম্বর বদরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলার বিচার শুরু হয়। ৫ ডিসেম্বর শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ।