না ফেরার দেশে প্রথম ফরাসি বন্ডকন্যা - Women Words

না ফেরার দেশে প্রথম ফরাসি বন্ডকন্যা

জেমস বন্ড ফ্র্যাঞ্চাইজির চতুর্থ ছবি ‘থান্ডারবল’ (১৯৬৫) দেখে থাকলে ক্লদিন অজেরকে ভোলার কথা নয়। কিংবদন্তি এই ফরাসি অভিনেত্রী আর নেই। গত ১৮ ডিসেম্বর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির তথ্যানুযায়ী, দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন ক্লদিন। তার এজেন্সি টাইম আর্ট এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মডেল হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ক্লদিন অজের। ১৯৫৮ সালে মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় ফ্রান্সের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। ওই আসরের প্রথম রানার-আপ স্বীকৃতি লেখা হয় তার নামের পাশে। মডেলিংয়ের গণ্ডি পেরিয়ে অভিনয়ে সুনাম কুড়াতে থাকেন ক্লদিন। ১৯৬২ সালে ‘দ্য আয়রন মাস্ক’ ছবিতে নজর কাড়েন তিনি। এর তিন বছর পর বন্ডকন্যা হিসেবে বড় পর্দায় হাজির হওয়ার সুবাদে দুনিয়াজোড়া খ্যাতি চলে আসে তার হাতের মুঠোয়। ‘থান্ডারবল’ ছবিতে ডমিনো চরিত্রে দেখা গেছে তাকে।

ফরাসি তারকাদের মধ্যে ক্লদিন অজেরই প্রথম বন্ডকন্যা হওয়ার রেকর্ড গড়েছিলেন। পরে জানা যায়, ডমিনো চরিত্রটি ইতালিয়ান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ক্লদিনের জন্য ডমিনোর জাতীয়তা বদলে দেওয়া হয় চিত্রনাট্যে।

বন্ডকন্যাদের অভিনয় প্রতিভার গুনগান খুব কমই শোনা যায়। বরং সাঁতার পোশাকে তাদের শারীরিক উপস্থিতি নিয়েই বেশি হইচই হয়। তবে ক্লদিন অজেরকে মলিয়েরের নাটকে দেখেই ছবিটিতে কাজ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ১৯৬৫ সালে এক টিভি সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেই এই তথ্য জানান।

‘থান্ডারবল’ মুক্তির পর ষাট ও সত্তর দশকে ফরাসি ও ইতালিয়ান চলচ্চিত্রে সফল ক্যারিয়ার কাটিয়েছেন ক্লদিন অজের। তার বিখ্যাত ছবির তালিকায় রয়েছে ‘দ্যাট ম্যান জর্জ অ্যান্ড ফ্লিক স্টোরি’ (১৯৭৫) ও ‘অ্যা ফিউ আওয়ার্স অব সানলাইট’ (১৯৭১)।