বাড্ডায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যা: গ্রেপ্তার ১ - Women Words

বাড্ডায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যা: গ্রেপ্তার ১

ঢাকার বাড্ডা এলাকায় সাড়ে তিন বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এই অভিযোগে আজ সোমবার এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমএ জলিল বিবিসি বাংলার শায়লা রুখসানাকে জানান,গতকাল রোববার রাতে বাড্ডা এলাকার একটি ঘরের পাশের বাথরুম থেকে তানহা নামে শিশুটির মরদেহ তারা উদ্ধার করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের খবর পেয়েই তারা শিশুটিকে উদ্ধার করতে যান।

এই ঘটনায় এক ব্যক্তিকে আজ সোমবার গ্রেপ্তা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষে থেকে জানানো হয়, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম মো: শিপন। গত রাত একটার দিকে গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ওই ব্যক্তি গ্রেফতার হয়।

পুলিশ কর্মকর্তা এমএ জলিল জানান, “ঘটনার সময় শিশুটির বাবা তার কর্মস্থলে ছিল। তার মা বাসায় ছিল। বিকালে আমড়া খাওয়ার পর শিশুটি বলে বাইরে খেলে আসি। সন্ধ্যার পর প্রতিবেশীর কাছ থেকে মা জানতে পারে তার মেয়েকে বাথরুম থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে”।

উদ্ধারের পর শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আজ সোমবার দুপুরে মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিপন তানহাকে ধর্ষণের পর হত্যার দায় স্বীকার করেছে। তানহাদের পাশের আরেকটি বাড়ির এক কক্ষে ভাড়া থাকত শিপন তাঁর স্ত্রী। দিনমজুরের কথা বলে ওই বাসায় থাকলেও চকবাজার থানার একটি ডাকাতির মামলায় পাঁচ বছর কারাগারে ছিল শিপন। গতকাল রোববার বিকেল পাঁচটার দিকে শিপনের কক্ষের সামনে দিয়ে নিজেদের ঘরে ফিরছিল তানহা। সময় খাবারের লোভ দেখিয়ে শিশুটিকে টান দিয়ে নিজের কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন শিপন। তানহা চিৎকার করলে সঙ্গে সঙ্গে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে। এরপর বাসার শৌচাগারের কমোডে শিশুটির লাশ ফেলে যায় শিপন। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সেখান থেকে তানহার লাশ উদ্ধার করা হয়

শিপন হত্যার আলামত নষ্টের চেষ্টা করে জানিয়ে আবদুল বাতেন বলেন, হত্যার পর ঘরের বিছানার রক্তাক্ত চাদর, নিজের পরনের গেঞ্জি লুঙ্গি বালতিতে ভিজিয়ে রাখে শিপন

পুলিশ স্থানীয় লোকজনের ভাষ্যমতে, শিশুটির বাবামা আদর্শনগরে টিনশেড বাড়ির একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকেন। বাড়িটির অনেকগুলো ঘরের প্রায় প্রতিটিতেই একটি করে পরিবার থাকে। সবার ব্যবহারের জন্য বাথরুম একটি

শিশু তানহার মরদেহ রাত থেকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। আজ বিকেলের দিকে শিশুটির পোস্ট মর্টেম শুরু করেন চিকিৎসকেরা। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পোস্ট মর্টেম চলছিল।

এদিকে বাড্ডায় শিশুটির বাসা ও এলাকা ঘুরে শায়লা রুখসানা দেখেছেন সেখানকার মানুষের মনে ক্ষোভ কাজ করছে। নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কজন।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি মো: শিপনের স্ত্রী জানিয়েছেন তিনি এ ঘটনার বিচার চান।

সূত্র: বিবিসি বাংলা, প্রথম আলো