নববর্ষের প্রথম প্রহরে ভারতের বেঙ্গালুরুর কাম্মানহালি এলাকায় এক তরুণীর সাথে যৌন হয়রানির ঘটনার ‘মূল হোতাকে’ শনাক্ত করেছে পুলিশ। মূল হোতা সহ যে সাতজনকে আটক করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক খবরে এ তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত বাকি তিনজন হল আয়াপ্পা, রাজু ও চিন্নু।
খবরে প্রকাশ পায়, মূল হামলাকারী বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। নাম লিনো। তিনি স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী। আর তাঁর বন্ধু আয়াপ্পা। মূল হামলাকারী যখন ৩১ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটাচ্ছিলেন, আয়াপ্পা তখন একটি স্কুটারে অপেক্ষা করছিলেন।
পুলিশ জানায়, রাজু ও চিন্নু নামে আরও দুজন যৌন হয়রানির ওই ঘটনায় অংশ নেন। তাঁদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ আরও বলছে, গ্রেপ্তারকৃত চারজন বেঙ্গালুরুর পূর্বাঞ্চলের বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে একজন কুরিয়ারের কর্মী ও অন্যজন হোটেলে কাজ করেন।
যৌন হয়রানির শিকার তরুণীটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বলে জানা গেছে। তিনি একজন ছাত্রী। যদিও তিনি পুলিশের কাছে কোন অভিযোগ দায়ের করেন নি।
যৌন হয়রানির ঘটনা যেখানে ঘটেছে, তার পাশের একটি বাড়ির সিসিটিভির ফুটেজে ওই রাতের ঘটনা ধরা পড়ে। ওই বাড়ির এক বাসিন্দা পুলিশের কাছে সিসিটিভির ফুটেজ দিলে শ্লীলতাহানির প্রমাণ পাওয়ার পর মঙ্গলবার রাতে মামলা দায়ের করে পুলিশ। এই ঘটনায় আরও গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ ডিসেম্বর বেঙ্গালুরুর এমজি রোডে হাজারো মানুষের সমাগম হয়। সেখানে কয়েকজন তরুণী ও নারীর শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সাহায্যের জন্য চিৎকার করেও কারও সাড়া পাননি নারীরা। ঘটনাস্থলে থাকা প্রায় দেড় হাজার পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করেছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
এ ঘটনা প্রসঙ্গে বেফাঁস মন্তব্য করে তোপের মুখে পড়েছেন সমাজবাদী দলের বিধায়ক আবু আজমি ও কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর। তাঁরা দুজনই শ্লীলতাহানির জন্য তরুণীদের ‘ছোট পোশাককে’ দায়ী করেছেন।