ধর্ষিত শিশুটির সংক্রমণ সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা - Women Words

ধর্ষিত শিশুটির সংক্রমণ সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা

দিনাজপুরে ধর্ষিত হওয়া পাঁচ বছরের শিশুটির প্রজনন অঙ্গের সংক্রমণ রক্তের মাধ্যমে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ার (সেপটিসিমিয়া) আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা। তাকে পুষ্টিকর খাবার দিচ্ছেন তারা। সংক্রমণ রোধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুটির জন্য গঠিত নয় সদস্যবিশিষ্ট মেডিকেল দলের সদস্যরা আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিভিন্ন ব্যবস্থাপত্রের সুপারিশ করেছেন। সেটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

সকালে শিশুটির বাবা বলেন, মেয়ের চিকিৎসাসহ যাবতীয় খরচ সরকার বহন করছে। আজ মেয়ে কেমন আছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওসিসিতে মেয়ের কাছে যে যাব, আমার তো খুব খারাপ লাগে। আমার বুকের ভিতর তো ফাটি যাতিছে।’

মেডিকেল বোর্ডের সদস্য হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান আশরাফ-উল হক বলেন, শিশুটি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে। বীভৎস কায়দায় ধর্ষণের পর একটি খেতের মধ্যে নোংরা জায়গায় ফেলে রাখা হয়েছিল। তার রক্ত সংক্রমণ বা সেপটিসিমিয়া হওয়ার ভয় আছে। তবে শিশুটি ধীরে ধীরে ভালো হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, পার্বতীপুর উপজেলার সিঙ্গীমারী জমিরহাট গ্রামের ওই শিশু বাড়ির সামনে থেকে গত ১৮ অক্টোবর নিখোঁজ হয়। শিশুটিকে খুঁজে না পেয়ে ওইদিন রাতে পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার বাবা।

পরদিন ভোরে বাড়ির পাশে একটি হলুদ ক্ষেত থেকে মেয়েটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পার্বতীপুর ল্যাম্প হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পাঠানো হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে গত মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস (ওসিসি) সেন্টারে ভর্তি করা হয়।

শিশুটির বাবা গত ২০ অক্টোবর রাতে একই গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪২) ও আফজাল হোসেন কবিরাজকে (৪৮) আসামি করে পার্বতীপুর মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন।

মামলার প্রধান আসামি সাইফুলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও অপর আসামি এখনও পলাতক। শিশুটি সাইফুলকে বড় জ্যাঠা বা বড় আব্বু বলে ডাকত বলে শিশুটির পরিবার দাবি করে।

শিশুটির মাথা, গলা, হাত ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শরীরে ছিল কামড়ের দাগ। আর ঊরুতে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়ার ক্ষত।

সূত্র: প্রথম আলো