বাংলাদেশ থেকে পোশাক কেনা অব্যাহত রাখবে অ্যালায়েন্স - Women Words

বাংলাদেশ থেকে পোশাক কেনা অব্যাহত রাখবে অ্যালায়েন্স

বাংলাদেশ থেকে পোশাক কেনা অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক তৈরি পোশাক ক্রেতাদের জোট অ্যালায়েন্স। সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার পরও বাংলাদেশ থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেবে না জোটের সদস্যরা।
আজ বুধবার ‘অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটি’র পক্ষ থেকে এ আশ্বাস দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএফপি।  উত্তর আমেরিকার দুই ডজনের বেশি ফ্যাশন ব্র্যান্ড ও রিটেইলারদের প্রতিনিধিত্বকারী এই জোটে ওয়ালমার্ট ও গ্যাপের মতো বড় ক্রেতা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। রানা প্লাজা ধসের পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরিতে সহযোগিতা করতে ২০১৩ সালে জোটটি গঠিত হয়। সদস্য। ১ হাজার ১ শর বেশি শ্রমিক রানা প্লাজার ওই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন।

সম্প্রতি ঢাকার গুলশানে একটি রেস্তোরাঁয় ২০ জিম্মিকে হত্যার পর পোশাকশিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে  তৈরি হয় শঙ্কা। বিশেষ করে নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে নয়জন ছিলেন ইতালীয় নাগরিক, যাঁরা পোশাক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

এ জোটের বাংলাদেশ প্রতিনিধি জেমস মরিয়ার্টিকে উদ্ধৃত করে মঙ্গলবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, “সদস্য কোম্পানিগুলো আগের পথেই থাকবে।”

বাংলাদেশে দায়িত্ব পালন করে যাওয়া সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মরিয়ার্টি  এক টেলিকনফারেন্সে বলেন, ‘পোশাকশিল্পে কাজ করা বাংলাদেশের লাখ লাখ নারী-পুরুষের নিরাপত্তাবিধান করা আবশ্যক। যেহেতু আমরা আমাদের কর্মী ও ঠিকাদারদের নিরাপত্তাবিধান নীতি পর্যালোচনা ও হালনাগাদ করেছি, সেহেতু বাংলাদেশের পোশাক কারখানার নিরাপত্তা উন্নয়নে আমাদের কাজ পূর্ণ গতিতেই চলতে থাকবে।’

বেশ কয়েকজন নেতৃত্বস্থানীয় রপ্তানিকারক গুলশান হামলার পর জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক এই হামলার ঘটনায় কিছু ক্রেতা বাংলাদেশে আসা স্থগিত করেছেন। তাঁরা বাংলাদেশের পরিবর্তে ব্যাংকক কিংবা দুবাই এর মতো বিকল্প জায়গায় ব্যবসায়িক বৈঠক করতে চাইছেন।

তবে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) বলছে, বাংলাদেশি পোশাকের সবচেয়ে বড় ক্রেতা এইচঅ্যান্ডএমের মতো রিটেইলাররা ঢাকা থেকে কার্যাদেশ বাতিল করবে না বলে তাদের আশ্বস্ত করেছে।

মরিয়ার্টি আরও বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, যারা এ ধরনের হামলা চালাচ্ছে, তাদের সংখ্যা হাতে গোণা এবং তাদের তেমন পক্ষে কোনো সমর্থন নেই।”

অ্যালায়েন্সের ২৮টি সদস্য কোম্পানি বাংলাদেশের যেসব গার্মেন্ট থেকে পোশাক কেনে, তেমন ৭০০ কারখানায় কর্মপরিবেশের উন্নয়নে কাজ করছে এই জোট। ২০১৮ সালের মধ্যে সেসব কারখানার নিরাপত্তা তদারকি শেষ করার কথা রয়েছে এই জোটের।

মরিয়ার্টি জানান, অ্যালায়েন্স বাংলাদেশে তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ অব্যাহত রাখবে।

সূত্রঃ প্রথম আলো, বিডিনিউজ। ছবিঃ আলজাজিরা