স্মরণিকায় জিয়া প্রথম রাষ্ট্রপতি, উপাচার্যের গাড়ি ভাংচুর - Women Words

স্মরণিকায় জিয়া প্রথম রাষ্ট্রপতি, উপাচার্যের গাড়ি ভাংচুর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের স্মরণিকায় জিয়াউর রহমানকে প্রথম রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের গাড়ি ভাঙচুর করেছেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। উপাচার্যের বাসভবনের সামনে শুক্রবার বিকেল তিনটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় উপাচার্য গাড়ির ভেতরে থাকলেও তিনি আহত হন নি।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আজ একটি স্মরণিকা প্রকাশ করে। স্মরণিকায় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৯৫ বছর উদ্‌যাপন কমিটির সদস্যসচিব রেজাউর রহমানের লেখা ‘স্মৃতি অম্লান’ শিরোনামে নিবন্ধ ছিল। এই নিবন্ধে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের পরিচিতি তুলে ধরতে গিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি, সাবেক সেনা প্রধান ও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।’
এর প্রতিবাদে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জুমার নামাজের পর মধুর ক্যানটিন থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। তারা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে তাঁর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাসায় ঢোকার পথে বিকেল তিনটার দিকে বিক্ষোভের মুখে পড়েন উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁর গাড়ির কাচ ভাঙচুর করেন। এ সময় উপাচার্যের দেহরক্ষী আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করেন। তখন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। নেতা-কর্মীদের শান্ত করার চেষ্টা করে বিফল হন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আবিদ আল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন। উপাচার্য পরে গাড়ি নিয়ে বাসভবনে ঢুকতে সক্ষম হন।
এর আগে দুপুরে টিএসসিতে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আলোচনা সভা চলছিল। তখন রেজাউরের লেখাটি ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার দৃষ্টিতে আসে। এ নিয়ে প্রতিবাদ জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী,শিক্ষক ও ছাত্রলীগ নেতারা। তখন আরেফিন সিদ্দিক ওই স্মরণিকা বাজেয়াপ্ত করার ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে তিনি স্মরণিকা কমিটিও বাতিল ঘোষণা করেন।
সভা শেষে দুপুর ১২টা থেকে পৌনে একটা পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রেজাউর রহমানকে তাঁর কার্যালয়ে তালাবন্দী করে রাখেন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। প্রতিবাদ স্বরূপ তারা স্মরণিকায় আগুন ধরিয়ে দেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আমজাদ আলী ঘটনাস্থলে যান এবং রেজাউর রহমানকে তালামুক্ত করে বের করে নিয়ে যান।

সূত্রঃ প্রথম আলো