রিমান্ড শেষ, চলছে হাসনাত করিমের দেওয়া তথ্যের যাচাই-বাছাই - Women Words

রিমান্ড শেষ, চলছে হাসনাত করিমের দেওয়া তথ্যের যাচাই-বাছাই

গুলশান হামলার মামলায় গ্রেফতার বেসরকারি নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তাকে নতুন করে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেনি পুলিশ।

হাসনাত করিমের আইনজীবীরা তার জামিনের আবেদন করলে আদালত আগামী বুধবার জামিনের শুনানির দিন ধার্য করে।

গুলশান হামলায় হাসনাত করিমই প্রথম ব্যক্তি যাকে আসামী হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাকে গত ১৩ আগস্ট যখন এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়, তখন পুলিশ জানিয়েছিল যে গুলশান হামলায় হাসনাত করিমের সম্পৃক্ততার প্রাথমিক প্রমাণ তারা পেয়েছে। এরপর তাকে ৮ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আগে তাঁকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আট দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল।

ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র মাসুদুর রহমান বলেছেন, রিমান্ডে হাসনাত করিমের কাছ থেকে গুলশান হামলা সম্পর্কে নানা তথ্য পেয়েছেন তারা এবং সেসব তথ্যের এখন যাচাই-বাছাই চলছে।
এই মুহুর্তে আর রিমান্ডের আবেদন না করলেও পরবর্তীতে প্রয়োজন হলে পুলিশ পুনরায় রিমান্ডের জন্য আবেদন করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে হাসনাত করিমের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, করিমের জামিনের জন্য তাঁরা আদালতে আবেদন করেছেন। আইনজীবী মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন বলেছেন যে তাঁরা জামিন আবেদনে দাবী করেছেন, করিম একজন শিল্পপতি এবং তাঁর যে সামাজিক অবস্থান বিবেচনা করে তিনি এই হামলায় জড়িত থাকার কথা নয়।

আইনজীবীরা আরও দাবী করেছেন, করিম হৃদরোগে আক্রান্ত। সেইসাথে তাঁরা একজন মার্কিন বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এক্সপার্ট বা শরীরের ভাষা বিশেষজ্ঞের একটি মতামতও জমা দিয়েছেন, যাতে মূলত: বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে করিমের সাথে হামলাকারীদের ছবি প্রকাশিত হয়েছে তার একটি ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে যে, তাদের মতে এসব ছবির দ্বারা হাসনাত করিমের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায় না।

হাসনাত করিম ছাড়াও গুলশান হামলার পর ফিরে আসা এক তরুণ তাহমিদ হাসিব খানও এখনও সন্দেহভাজন হিসেবে কারাগারে রয়েছেন। তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে দুই দফা রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল। তবে এখনও মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়নি।

এর বাইরে সন্ত্রাসী হামলার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে পুলিশ তামিম চৌধুরী নামে কানাডিয়-বাংলাদেশি একজন এবং নুরুল ইসলাম মারজান নামে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক ছাত্রের নাম এবং ছবি প্রকাশ করেছে। তাদের বিষয়ে তথ্য দেয়ার জন্য পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে।

নাম উল্লেখ না করলেও, পুলিশ বলছে, তারা গুলশান হামলায় জড়িত কয়েকজনকে শনাক্ত করেছে এবং তাদের গ্রেপ্তারেরও চেষ্টা চালাচ্ছে। সূত্র :বিবিসি