বেনাপোল বন্দরের আগুন নিয়ন্ত্রণে, বড় ক্ষতির আশঙ্কা - Women Words

বেনাপোল বন্দরের আগুন নিয়ন্ত্রণে, বড় ক্ষতির আশঙ্কা

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের পণ্যাগারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রোববার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ২৩ নম্বর গুদামে আগুন লাগে। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

বেনাপোল ফায়ারস্টেশনের ওয়্যার হাউস ইন্সপেক্টর মো. কাওসার আলী জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখন ডাম্পিংয়ের কাজ চলছে। কী কারণে আগুন লেগেছে তা জানা যায়নি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও বলা যাচ্ছে না। ।

বন্দরের পরিচালক নিতাই চন্দ্র সেন বলেন, পাঁচমিশালি পণ্য ছিল ওই গুদামে। এগুলোর মধ্যে প্রসাধন ও রাসায়নিক সামগ্রী বেশি ছিল। এসিআই ও গোদরেজ কোম্পানির পণ্য বেশি ছিল। আগুনে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তিনি।

বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে সেখানে আগুন লেগেছে বলে তাঁর ধারণা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২৩ নম্বর শেড থেকে প্রথমে  ধোঁয়া উঠতে শুরু করে এবং পরে সেখানে আগুন জ্বলে ওঠে। এক পর্যায়ে আগুন গুদাম থেকে পাশের বেনাপোল পোর্ট থানা ভবনে ছড়িয়ে পড়ে।

আগুন লাগার পরপরই বেনাপোল ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে যায়। পরে ঝিকরগাছা, মনিরামপুর ও যশোর থেকে আরও কয়েকটি ইউনিট যোগ দেয়।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টার সময় গুদামের পাশে থাকা একটি খালি ট্রাক পুরোপুরি পুড়ে যায়।

২৩ নম্বর শেডে রাখা পণ্যের পাশাপাশি গুদামের পাশে খোলা আকাশের নিচে রাখা বিভিন্ন মালামাল ভস্মিভূত হয়েছে বলে জানান বন্দর থানার ওসি অপূর্ব হাসান।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলছেন, পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগানোর সন্দেহ তারা উড়িয়ে দিতে পারছেন না।

তিনি বলেন, “এর আগেও বেনাপোল বন্দরে এভাবে সন্দেহজনক আগুন লেগেছে। প্রতিবারই বন্দর কর্তৃপক্ষ শর্ট সার্কিটের কথা বলেছে।”

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ-ভারতের বাণিজ্যের প্রায় ৭০ থেকে ৮০ ভাগ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে হয়ে থাকে। বছরে প্রায় ১২ লাখ পাসপোর্টধারী যাত্রী ও দেড় লাখ ট্রাক পণ্য নিয়ে বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে যাতায়াত করে।

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছর বেনাপোল হয়ে ১৭ লাখ ৬৪ হাজার টন পণ্য আসা-যাওয়া করেছে।

সূত্র: প্রথম আলো, বিডিনিউজ২৪