ধর্ষণ ও খুন থেকে বাঁচাতে শ্বেতিদের জন্য দুর্গ - Women Words

ধর্ষণ ও খুন থেকে বাঁচাতে শ্বেতিদের জন্য দুর্গ

আফ্রিকার দেশ তাঞ্জানিয়ায় শ্বেতী রোগীদের নিয়ে কিছু অন্ধবিশ্বাস প্রচলিত আছে। ধারণা করা হয়, বিরল রোগ থেকে বাঁচতে শ্বেতী রোগীদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ জাদুকরি কাজ করে। ফলে তারা মাঝে-মাঝেই নির্মম খুনের শিকার হচ্ছে। খুন করার পর তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ খুনিরা কালা জাদুকরদের কাছে বিক্রি করে দেয়। শুধু তাই নয়, তাঞ্জানিয়ায় থাকা প্রচুর এইডস রোগী হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়ায় শ্বেতী রোগে আক্রান্ত কোন নারীকে ধর্ষণ করার জন্য। তাদের বিশ্বাস, শ্বেতী নারীর সঙ্গে সঙ্গম করলে এইডস ভালো হয়ে যায়।
এ ছাড়াও তাঞ্জানিয়ায় অনেক শ্বেতীরোগীকে জন্মের সময়ই খুন করা হয়। অনেক সময় বিভিন্ন প্রথায়ও তাদের জীবন উৎসর্গ করা হয়। ফলে দেশটিতে থাকা বিপুল সংখ্যক শ্বেতীরোগী এক ভয়াবহ দুর্দশার সঙ্গে তাদের দিন অতিবাহিত করে। কেউ কেউ গ্রাম থেকে পালিয়ে যায়, লুকিয়ে থাকে। এমনও দেখা যায়, কোন পরিবারে কোন শ্বেতী শিশু জন্মালে পুরো পরিবারই আত্মগোপনে চলে যায়। তবে, সম্প্রতি এই বিষয়টি নিয়ে তাঞ্জানিয়ার সরকার কিছু পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। এজন্য শ্বেতীরোগীদের আশ্রয় শিবির খোলা হয়েছে। যা দূর্গের মতো তাদের সুরক্ষা দিচ্ছে। এমনই একটি শ্বেতি সুরক্ষা দুর্গ হলো কাবাঙ্গা শরনার্থী কেন্দ্র।
tanzania-02-women-wordsফটোসাংবাদিক এ্যানা প্যালাসিয়াস (৪৩) ২০১২ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে তিন বার কাবাঙ্গা কেন্দ্র ভ্রমণ করেন। তার ক্যামেরায় উঠে এসেছে সেখোনে অবস্থান করা শ্বেতরোগীদের বেশ কিছু আলোকচিত্র। শনিবার (১ অক্টোবর) তার বেশকিছু আলোকচিত্র নিয়ে ডেইলি মেইল একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্যালাসিয়াস ওই এলাকাটির ক্রমোন্নয়নের কথা জানিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, তাঞ্জানিয়ায় প্রায় ৮ হাজার শ্বেতিরোগী রয়েছে। তবে, প্রকৃত সংখ্যাটা আরও বেশি। কারণ এ রোগে আক্রান্তরা তাদের লুকিয়ে রাখতেই বেশি আগ্রহবোধ করে।

সূত্র : ডেইলি মেইল, আমাদের সময়