জাপানের ইসেশিমায় বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে শিল্পোন্নত সাত দেশের অংশগ্রহণে জি৭ সম্মেলন। এতে অংশ নিচ্ছেন জি৭-এর সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানরা। সম্মেলন উদ্বোধনের পর বিশ্বনেতাদের নিয়ে ইসেশিমায় অবস্থিত দুই হাজার বছরের পুরনো একটি মন্দির পরিদর্শনে যান শিনজো অ্যাবে। এ সময় তারা সেখানে বৃক্ষরোপণ অভিযানেও অংশ নেন। এ মন্দিরটি জাপানের শিন্তো ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র তীর্থস্থান।
এর আগে দিনের শুরুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, ব্রিটিশ ডেভিড ক্যামেরন, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রানজিকে স্বাগত জানান জাপানের প্রধানমন্ত্রী।
দুইদিনের এই সম্মেলনে বিশ্ব অর্থনীতির পাশাপাশি স্বাস্থ্য, সন্ত্রাসবাদ, দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যু, সাইবার নিরাপত্তা, নারীর ক্ষমতায়ন, শরণার্থী সংকট, সমুদ্রসীমার নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে।
এর আগে বুধবার রাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে বৈঠক করেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও কানাডার জাস্টিন ট্রুডো’র সঙ্গেও মতবিনিময় করেন জাপানি নেতা।
শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা পারমাণবিক বোমার নিষ্ঠুরতার স্বাক্ষরবাহী শিরোশিমা শহর পরিদর্শন করবেন। হিরোশিমা হচ্ছে সেই শহর যেখানে ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট ‘লিটল বয়’ নামক পারমাণবিক বোমার বিস্টেম্ফারণ ঘটানো হয়েছিল। তাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার মানুষ। সেদিন যারা কোনওভাবে বেঁচে যান, তাদের আজীবন বয়ে বেড়াতে হয় মৃত্যু যন্ত্রণা। হিরোশিমায় স্থাপিত বিভিন্ন স্থাপনা সেই যন্ত্রণা ও ক্ষতের সাক্ষী হয়ে আছে এখনও। বস্তুত প্রাণঘাতী ও ব্যাপক ধ্বংসাত্মক এই কর্মকাণ্ডের একক দায় ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। শুক্রবার এই শহরটিতেই যাচ্ছেন ওবামা। হিরোশিমায় এই সফরকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এর আগে অবশ্য তিনি হিরোশিমায় পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপের জন্য ক্ষমা চাইতে অস্বীকৃতি জানান।
সূত্র: বিবিসি।