চট্টগ্রামের শিক্ষার্থী হিমাদ্রী হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড - Women Words

চট্টগ্রামের শিক্ষার্থী হিমাদ্রী হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

চট্টগ্রামের মেধাবী শিক্ষার্থী হিমাদ্রী মজুমদার হিমুকে হত্যার দায়ে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. নুরুল ইসলাম রোববার বিকেল চারটার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন।

এই পাঁচজন হলেন শাহ সেলিম ওরফে টিপু, শাহাদাত হোসেন, মাহাবুব আলী, টিপুর ছেলে জুনায়েদ রিয়াদ ও তাঁর বন্ধু জাহিদুল ইসলাম। তাঁদের মধ্যে কারাগারে আছেন প্রথম তিনজন। বাকি দুইজন পলাতক।

হিমাদ্রীর বাবা প্রবীর মজুমদার এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

অপরদিকে, মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া শাহ সেলিম রায় শুনে আদালত প্রাঙ্গণে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানান তিনি।

এর আগে গত ২৮ জুলাই এবং ১১ আগস্ট এই মামলার রায় ঘোষণার তারিখ পেছানো হয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১২ সালের ২৭ এপ্রিল এ-লেভেলের শিক্ষার্থী হিমাদ্রীকে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে আসামী টিপুর বাসার পাঁচতলার ছাদে নিয়ে মারধর করা হয়। পরে তাঁর ওপর হিংস্র কুকুর লেলিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তাঁকে ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। ঢাকার একটি হাসপাতালে ওই বছরের ২৩ মে মারা যান হিমাদ্রী।

এ ঘটনায় হিমাদ্রীর মামা অসিত কুমার দে পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ৩০ অক্টোবর পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। আদালত ২০১৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয় ২০১৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি । গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর মামলার যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়ে শেষ হয় ১৬ জুলাই।

মৃত্যুর আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেওয়া হিমুর বক্তব্যের রেকর্ড গত বছরের ১৪ অক্টোবর ও এ বছরের ৩০ জুন আদালতে বাজিয়ে শোনানো হয়।

হিমুর পরিবারের সদস্যরা জানান, হিমু মাদকবিরোধী সংগঠন ‘শিকড়’ এর সঙ্গে যুক্ত ছিল। মাদকবিরোধী দৃঢ় অবস্থান নেওয়ায় মাদকাসক্ত বন্ধুরা তাকে হত্যা করে।