রাজধানীর গুলশানে জঙ্গি হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার তাহমিদ হাসিব খানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শেষে শনিবার এ আদেশ দেন আদালত।
ঢাকার মহানগর হাকিম দেলোয়ার হোসেন এই আদেশ দেন। ছয় দিনের রিমান্ড শেষে আজ তাঁকে আদালতে হাজির করেন গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক হুমায়ুন কবীর।
হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় হামলার ঘটনায় গত ১৩ আগস্ট নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমের আট দিনের রিমান্ড ও কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তাহমিদ হাসিব খানের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
গত ৪ আগস্ট পুলিশ জানায়, গুলশানে হামলার ঘটনায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় হাসনাত ও তাহমিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাঁদের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।
গত ১ জুলাই হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। জঙ্গিরা দেশী-বিদেশী নাগরিকদের জিম্মি করে ২০ জনকে হত্যা করে। জঙ্গিদের ছোড়া বোমায় পুলিশের দুই কর্মকর্তাও নিহত হন। ২ জুলাই সকালে সেনা কমান্ডোরা অভিযান চালিয়ে রেস্তোরাঁটি থেকে ১৩ জনকে উদ্ধার করেন। তাঁদের মধ্যে আটজনকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হলেও হাসনাত ও তাহমিদ ছাড়া অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
৮ জুলাই পুলিশ হাসনাত ও তাহমিদকে ছেড়ে দেওয়ার কথা জানায়, কিন্তু তাদের পরিবারের সদস্যরা জানান যে তাঁরা বাসায় ফিরে যাননি।
গুলশানের ওই রেস্তোরাঁয় ১ জুলাইয়ের জিম্মি দশার একটি ভিডিওচিত্র প্রকাশের পর হাসনাতের বিরুদ্ধে হামলায় সম্পৃক্ততার সন্দেহের কথা উঠে আসে ফেইসবুকে। গুলশানের ঘটনার একদিন আগে দেশে ফিরেন তাহমিদ। ঘটনার দিন ইফতারের পর বন্ধুদের সঙ্গে তিনি ওই ক্যাফেতে গিয়েছিলেন বলে পরিবারের ভাষ্য।
ঘটনার কয়েকদিন পর ঢাকার পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া এই দুজনের হামলায় সম্পৃক্ততার সন্দেহের কথা জানিয়েছিলেন।