রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর Archives - Women Words

Tag: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

রবীন্দ্রনাথ কোনোদিন আমাকে কল করেননি

রবীন্দ্রনাথ কোনোদিন আমাকে কল করেননি

ডাঃ রাজীব দে সরকার ঘুম ভাঙলো একা একাই। একটু ঘেমে গিয়েছি। চোখ খুলে একবার মনে হলো, নিজের ঘরটাকেও চিনতে পারছি না। মোবাইলটা বাজছে। সম্ভবতঃ এ কারণেই ঘুম ভেঙ্গেছে। - হ্যালো, কে? (ঘুম এখনো কাটেনি আমার কন্ঠে) - আমি শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। জোড়াসাঁকোর। তুমি এক সময় আমার কবিতা পড়েছো। - ও, কি চাই? আমি ভ্যাকসিন সংক্রান্ত কাজে জড়িত নই। - আমার ভ্যাকসিন লাগবে না, বাবা। ("বাবা" বলায় একটু ঘুম কাটিয়ে কথা বলার চেষ্টা করলাম। কারন রোগীদেরকে 'বাবা' বলে সম্বোধন করতেন আমার সার্জারীর গুরু) - ও, কেন ফোন দিয়েছেন, কেউ কি অসুস্থ? - হ্যাঁ অসুস্থ। সেটা বলতেই ফোন দেওয়া। - জ্বী, বলুন। আমি শুনছি। - বৈদ্য রাজীব, তোমার সমাজের একদল পুরুষ খুব অসুস্থ। - আচ্ছা কাল হসপিটালে পাঠিয়ে দেবেন, দেখে দেবো। - পারবে তো দেখে দিতে? আচ্ছা, একটা প্রশ্নের উত্তর দাও তো। তোমরা কবিতা পড়া ছেড়ে দিলে কেন?
’বাইশে শ্রাবণ’ এবং শান্তিনিকেতন

’বাইশে শ্রাবণ’ এবং শান্তিনিকেতন

মিতু বালা “বাইশে শ্রাবণ” শুনলেই মনের মধ্যে হাজার ভাবনা খেলা করে, তা কেবল মৃত্যু ভাবনা'য় সীমাবদ্ধ থাকে না। রবি ঠাকুরের পদচারণা বৃহত্তর জগৎ জুড়ে। তাই মৃত্যু নিয়ে তাঁর ধ্যান-ধারণা ছিলো ব্যতিক্রম। মৃত্যুর মধ্যেও যে সৌন্দর্য আছে এবং এটাও যে সহজ সাবলীল তা বোধহয় রবীন্দ্র সৃষ্ট সাহিত্যই প্রথম আমাদের জানান দিয়েছিলো। তিনি মৃত্যুকে খুব সুন্দর ভাবে গ্রহণ করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের কাব্য মানস পটে মৃত্যু চিন্তার নানা ভাবের প্রতিফলন ঘটেছিলো। মৃত্যুকে কখনও তিনি বন্ধু রূপে কল্পনা করেছেন, কখনও সখা কিংবা প্রেমিকের রূপে ভেবেছেন। আবার কখনও মৃত্যুকে “অতি নিচ”,“অনুদার”,“সর্বগ্রাসী” বলে কটুকাটব্য করেছেন। পারিবারিক ভাবে মৃত্যু শোকে বারবার জর্জরিত হয়েছেন। তাই মৃত্যু ভাবনা উড়ো মেঘের মতো ঘুরেফিরে এসে নাঁড়া দিয়েছে তাঁর মানস লোকে। জীবনের শেষ বেলার উপলব্ধি অবশ্য কিছুটা দার্শনিক গোছের ছিলো; কিছুটা সংশয়,অস্পষ্টতা, উদাসীনতা