ফজিলাতুন নেছা শাপলা Archives - Women Words

Tag: ফজিলাতুন নেছা শাপলা

সে চলে গেল, বলে গেল না

সে চলে গেল, বলে গেল না

ফজিলাতুন নেছা শাপলা সে ঢেউয়ের মত ভেসে গেছে, চাঁদের আলোর দেশে গেছে। যেখান দিয়ে হেসে গেছে, হাসি তার রেখে গেছে রে। খুব দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আজ লিখতে বসেছি। একটুও লেখার মত অবস্থায় নেই আমি। তবুও লিখছি, লেখাটা যদি কারো কাজে লাগে। মেয়েটাকে একটু একটু চিনতাম। প্রজাপতির মত ছিল।খুব আদুরে।চঞ্চল। চোখ-মুখ আলোকিত। কী মায়াময় চেহারা! হঠাৎই মেয়েটা চলে গেল নাফেরার দেশে।কি তার সুখ, কী তার দুঃখ কিছুইজানা গেলনা। অভাগী জানলনা, একদিন সে আগুন হতে পারত। জ্বলে ওঠার আগেই দপ করে নিভে গেল। কতটুকু জেনেছিল সে জীবনের? ১৮ বছর বয়স মানেই মানেনা কোনো বাধা।এই বয়সে যা খুশি তাই করে ফেলা যায়, অতকিছু ভাবা্ভাবির সময় ওদের নেই।যদিও মেয়েটার ১৮ হয়নি তার বয়স ছিল মাত্র ১৫। মেয়েটা এক গভীর বেদনা নিয়ে, সবকিছু অমীমাংসিত রেখে, ‘বসন্তের বাতাসটুকুর মত প্রাণের পরে পরশ রেখে চলে গেল, কিছু বলে গেলনা’।যে চলে গেছে, তাকে নিয়ে আর লিখতে চাইনা।
পাঠ্য পুস্তকে চাই যৌন শিক্ষা

পাঠ্য পুস্তকে চাই যৌন শিক্ষা

ফজিলাতুন নেছা শাপলা দেশে রোজ বিচ্ছিন্নভাবে ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও,সাম্প্রতিক সময়ে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশে বড় ধরণের তোলপাড় হয়ে গেল। সচেতন ও সুশীল সমাজের প্রত্যেকে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন বিভিন্ন ভাবে। সামাজিক ও গণমাধ্যম গুলোতে ধর্ষকদের শাস্তি চেয়ে সবাই মাঠ গরম করে রেখেছে।টেলিভিশন গুলোতে ধর্ষণের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত হয়েছে একাধিক টক শো।কেন ধর্ষণ এত বেড়ে গেল অথবা নারীরা কারণে অকারণে কেন ধর্ষিতা হবেন, সেটি নিয়ে দিনরাত চলছে অনেক ধরণের গবেষণা। কিন্তু সেই গবেষণার আড়ালে রয়ে যাচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সেটি হল-আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় অর্থাৎ সরকারী স্কুল-কলেজগুলোতে যৌন বিষয়ক জ্ঞান বা sexuality education কে অন্তর্ভূক্ত করা। যৌনতা মানেই যে রগরগে কোন  ব্যাপার নয়, যৌনতা আসলে কোন অশ্লীল বা বীভৎস ব্যাপার নয়, সেটি শেখানো জরুরি। এটি যে ছেলে-মেয়েদের স্বাভাবিক বিকাশের একটি ধাপ সে
উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের জন্য বাবা-মা’র করণীয়

উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের জন্য বাবা-মা’র করণীয়

ফজিলাতুন নেছা শাপলা যাদের উঠতি বয়সী ছেলেমেয়ে আছে, সেসব ছেলেমেয়ে নিয়ে চিন্তায় পড়েন না, এমন বাবা-মা যেমন খুঁজে পাওয়া ভার। ঠিক একইভাবে এই বয়সের ছেলে মেয়েদের নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকা অথবা পাড়ার মুরুব্বিরা থাকেন মহা যন্ত্রণায়। উঠতি বয়সকে আমরা বইয়ের ভাষায় বলি কৈশরকাল। পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাবে অনেকেই বয়ঃসন্ধিক্ষণ (puberty) এবং কৈশরকাল (adolescent) শব্দ দুটোকে গুলিয়ে ফেলেন। আসলে শব্দ দুটো আলাদা আলাদা অর্থ বহন করে। ছেলে-মেয়েদের বিকাশের ক্ষেত্রে কৈশরকালকে  তিন ভাগে ভাগ করা হয়। ১০-১৩ বছর বয়সকে বলা হয় early adolescence time. ১৪-১৬ বছর বয়সকে বলা হয় mid adolescence time এবং ১৭-১৯ বছর বয়সকে বলা হয় late adolescence time. কৈশরকাল বা উঠতি বয়সে বাবা-মা’র সাথে ছেলেমেয়েদের শুরু হয়ে যায় নানা রকম দ্বন্দ্ব। অনেক বাবা-মা’ই আছেন যারা কিছুতেই মেনে নিতে পারেন না কেন এমন ঘটছে। এসময় ছেলে-মেয়েরাও যেমন প্রত্যাশিত আচরণ কর
নতুন দিনে, নতুন করে ভাবতে হবে…

নতুন দিনে, নতুন করে ভাবতে হবে…

ফজিলাতুন নেছা শাপলা কথায় আছে, কুসন্তান যদিও হয়-কুমাতা কখনও নয়। মা সন্তানের খারাপ চেয়েছেন, এরকম মা জগত সংসারে খুব কমই আছেন। কিন্তু মায়েরা সন্তানদের নিয়ে নানা বিড়ম্বনায় পড়েন, এরকম উদাহরণ আছে ভুড়ি ভুড়ি। দশ মাস দশ দিন সন্তান পেটে ধরে, পৃথিবীর আলো দেখানোর পর থেকে পুরো শৈশব জুড়ে মায়েদের নাওয়া-খাওয়া হারাম হয়, তার শিশুটিকে যত্ন-আত্তি করে বড় করে তুলতে। কারণ তখন শিশু থাকে সম্পূর্ণ পরনির্ভর। মা’র তাকে খাইয়ে দিতে হয়, ঘুম পাড়াতে হয়। গোসল করিয়ে দিতে হয় এরকম আরো কত কি! সেটা লিখে শেষ করা যাবেনা। শিশু যেই না দশ, এগারোতে পড়ে-মা তখন কেবলই ভাবতে শুরু করেন, যাক বাবা; শিশুটি এতদিনে একটু ঝরঝরে হতে শিখেছে, এখন নিশ্চই তার কষ্টটা একটু কমবে। তার শিশুটি ধীরে ধীরে বড় হয়ে উঠছে। ব্যাস! তখনই শুরু হয়ে যায় নতুন খেলা। একটু কান পাতলেই চারিদিকে শোনা যায়, গুঞ্জন। এই মা বলেন, গত বছরও ছেলে আমার কথা শুনত, এবছর আর শুনছে না। ওই